ভারতের আন্তনদী সংযোগ আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ
ভারত এক তরফা ভাবে আন্তনদী সংযোগ প্রকল্প করে উজান থেকে পানি সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা করেছে। যা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত ভয়াবহ অবস্থার সৃষ্টি করবে। এর আগে কলকাতা বন্দরের নাব্যতা বৃদ্ধির জন্য সর্বপ্রথম ফারাক্কা বাধ নির্মান করেছিলো ভারত। এরপর বরাক ও তিস্তায় ড্যাম নির্মান করেছে।
ইতিমধ্যে নানা আলোচনা ও স্বল্পমেয়াদী চুক্তির দ্বাআরা বাংলাদেশ কিছুটা ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারলেও ভারতের পানি সরানোর প্রকল্প থেমে থাকেনি। আন্তনদী সংযোগ এ পথে অত্যন্ত মারাত্মক উদ্যোগ। আন্তর্জাতিক অংগনে এর আগে এভাবে পানির আন্ত সংযোগের কথা কোন দেশই চিন্তা করেনি। ভারত যা করতে যাছে তার সমাধান আন্তর্জাতিক ভাবে হওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। কারন ইতিপূর্বে বাংলাদেশের ডাকে তারা সাড়া দেয়নি। শুধু বলেছিলো আলোচনার সময় হয়নি।
অথচ একে একে পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে চলেছে তারা। আন্তর্জাতিক পানি বন্টন নিয়ে অনেক গুলো দলিল রয়েছে। তার কিছু নিচে দেয়া হল-
ক. ১৯৬৬ সালে আন্তর্জাতিক আইন সমিতি কর্তৃক হেলসিঙ্কিতে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে এই মর্মে গৃহীত প্রস্তাব যে নিজ ভূখণ্ডে আন্তর্জাতিক নদী অববাহিকার পানির প্রয়োজনীয় ব্যবহারে প্রত্যেক অববাহিকাভুক্ত রাষ্ট্রের যুক্তিযুক্ত ও ন্যায্য অংশ পাওয়ার অধিকার রয়েছে, যা হেলসিঙ্কি বিধি নামে সুপরিচিতি লাভ করেছে;
খ. ১৯৭৩ সালে সাধারণ পরিষদের প্রস্তাব (UN.Doc.A/ 8730.1973) যার অধীন কোনো রাষ্ট্র এমন কিছু করবে না, যা তার এখতিয়ারের বাইরের কোনো অঞ্চলে উল্লেখযোগ্য ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলে;
গ. অনুরূপ একটি শর্ত যা জাতিসংঘের অর্থনৈতিক অধিকার ও দায়িত্ববিষয়ক সনদেও যুক্ত করা হয়েছে (ধারা-৩০ UN.Doc.A/RES/3281/XXIX, 1974);
ঘ. ১৯৭২ সালে স্টকহোমে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ মানব পরিবেশসংক্রান্ত সম্মেলন কর্তৃক গৃহীত নীতিমালা, যেখানে বলা হয়েছে যে এক দেশের কার্যক্রম অন্য দেশের পরিবেশ বিপন্ন করতে পারবে না;
ঙ. ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত আন্তর্জাতিক জলপ্রবাহ-সংক্রান্ত কনভেনশন।
আন্তর্জাতিক আইনের বিধান মেনেই পানি বন্টন বিষয়ে অনেক দ্বিপক্ষীয় চুক্তিও সম্পাদিত হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ভারত-নেপাল কসি নদী প্রকল্প চুক্তি (১৯৫৪), গন্দক সেচ ও জলবিদ্যুৎ চুক্তি (১৯৫৯) এবং ভারত-পাকিস্তানে সিন্ধু নদের পানিবণ্টন চুক্তি (১৯৬০)।
দ্রুত ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশের উচিৎ আন্তর্জাতিক ভাবেই এই সমস্যার সমাধানে মনযোগী হওয়া।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ২ টি
১৮ আগস্ট ’১৬ বিকাল ০৪:১১
সমমর্যাদা ও বন্ধুত্বের সাথেই সমস্যার সমাধান করা উচিৎ। প্রতিবেশীর সাথে সম্পর্ক নষ্ট করার ফল কোন দেশই ভোগ করতে পারেনা।