এবার টার্গেট মারজান, তবুও মূল আসামীকে ধরা যাবে না?
একে একে ভুল পথেই ব্যাস্ত হয়ে যাচ্ছে প্রশাসন। জঙ্গিবাদ একটি ধর্মের চূড়ান্ত পরিনতি। ধর্মটি নিজেই প্রচার করে তার সর্বাত্মক অনুসারীরা সর্বশেষ নিজের জীবনই বিলিয়ে দেয়। এমন একটি পাগলামো সৃষ্টি করার পর কর্তাকে না খুজে কৃতদাসদের খুজে চলেছে বিশ্ব। সেই সাথে বাংলাদেশ একই পথে মাশুল গুনতে চলেছে। আজ সত্য বলা যাচ্ছে না। সত্য বললে নিজের মাথার ভয় সৃষ্টি হচ্ছে! এ কেমন দেশ, কেমন সভ্যতা? অথচ জঙ্গিবাদী অনুভূতির রক্ষক সেজে বসে আছে বাংলাদেশের প্রশাসন! ভাবা যায়?
একটি জঙ্গি যখন তার ধর্মের বানী উচ্চারণ করে নিজের জীবন শেষ করে দিচ্ছে তখনও জঙ্গি সংশ্লিষ্টতায় খোঁজা হচ্ছে এক বা একাধিক মানুষকে। এক একটি জঙ্গি ধৃত অবস্থায় শত শত ধর্মীয় বই সহযোগে এরেস্ট হচ্ছে। বলা হচ্ছে এগুলো জেহদী বই। প্রশ্ন হচ্ছে, পুলিশ কি জেহাদ শব্দটি জঙ্গিদের কাছেই শুনেছে? নাকি শিশু কাল থেকেই শুনে আসছে? যদি তারা এদেশের আবহাওয়া পেয়ে থাকে তাহলে প্রত্যেকটি পুলিশ সদস্যই শিশুকাল থেকে জিহাদ/জেহাদ শব্দ শুনে বড় হয়েছে। এই পুলিশ বাহিনী খুব ভালো করেই জানে যে, এটি একটি ধর্মীয় শব্দ। আর ঐ ধর্মে এই শব্দটিকে খুব সম্মান করা হয়। তাহলে আসামী কি ঐ ধর্ম নয়? সে ধর্মটি গুলশানে নীরিহ মানুষকে হত্যায় উৎসাহ দিয়েছে? একে একে নীরিহ পুরোহিত ও বুদ্ধিবৃত্তিক মানুষদের হত্যায় পুরস্কার ঘোষণা করেছে, সে কি আসামী নয়?
সকল যুক্তি ও বাস্তবতা বলছে বিশেষ ঐ ধর্মটি আজ সারা বিশ্বে জেহাদের নামে সন্ত্রাসের প্রচন্ডতা সৃষ্টি করেছে। তবুও স্পষ্ট করে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা হচ্ছে না। ফলে যে শরিষা দিয়ে ভূত খেদাবেন সেই শরিষার মাঝে দিব্যি ভুতের আতুর ঘর হয়ে আছে। আজ পুলিশের বড় বড় কর্তারা তাদের সন্তানদের পূন্যের লোভে জঙ্গি শিক্ষা কেন্দ্রে পাঠাচ্ছেন। আজ জঙ্গি ধরছেন তো কাল জঙ্গি বাবা হিসেবে মুখ লুকাচ্ছেন! একই অবস্থা পুলিশ থেকে মন্ত্রী সর্বত্রই।
যেখানে জঙ্গিরা স্পষ্ট ভাবে শত্রু ঘোষণা করে মানুষ হত্যা করছে সেখানে তাদের স্পষ্ট হুমকিকে নানা কায়দায় অস্পষ্ট করে দিয়ে নিজ নিজ ঘরে শত্রু তৈরির কোন মানে থাকতে পারে বলে মনে হয়না। নতুন করে মারজান নিয়ে ব্যাস্ত হবেন না! প্লিজ মানুষকে বাঁচান। খোদ জঙ্গিদেরও মানুষ করুন। ধর্মের নামে চলা কুসংস্কার ও অযৌক্তিক ব্যবসার পথ বন্ধ করে আসুন সবাই যুক্তির পথে মুক্তি খুজি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৩ টি
১৪ আগস্ট ’১৬ রাত ০২:০৫
ধর্ম শান্তির কথা বলে। এভাবে ধর্মকে বিতর্কিত করবেন না। জঙ্গিবাদের নামে যারা বিতর্কিত করেছে এবং জঙ্গি দমনের নামে নামে যারা বিতর্কিত করছে উভয়েই একই কাজ করছে।