খুন গুম যেন প্রতিদিনের প্যাকেজঃ সরকারের কাজ কী?
মারা যাচ্ছেন প্রগতির ধারক বাহক ব্যাক্তিগণ। খুন হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। সরকার লুকোচুরি খেলছে জনগণের সাথে, নিহতের সাথে এবং মিডিয়ার সাথে! নেই কোন প্রতিকার নেই কোন তথ্য উদ্ঘাটন। প্রতিদিন হচ্ছে খুন, গুমের ঘটনা!
ধারাবাহিক প্রগতিশীল ও ব্লগার হত্যার মাঝেই সর্বশেষ খুন হলেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকী। কোন তথ্য জানা যাচ্ছেনা। উড়ো সংবাদে খবর হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের জঙ্গির নামে! অথচ খুনি খোদ বাংলাদেশে খুন করে বেড়াচ্ছে। কোন গ্রেফতার কিংবা অগ্রগতির খবর নেই। উপরন্তু সরকার প্রধান সমালোচনা করছেন মুক্তমনাদের! এক প্রকার খুনের বৈধতা দেয়ার মত করে কথা বলছেন! অবাক হতে হয়, যেখানে তারা উঁচু গলায় তাদের কৃতকার্যতার তথ্য হাজির করবেন! সেখানে কিনা উল্টো সমালোচনা নিয়ে হাজিরা দেন! কথায় আছে পেটে পড়লে পিঠে সয়। অথচ জনগণ দুই কুল হারিয়ে অথৈ সাগরে পড়ে গেছে।
নতুন করে খবর বের হল, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হত্যায় কোন তথ্য বের করতে পারেনি সরকার। কেবল একটা উড়ো স্বীকারোক্তি এসেছে। অন্যদিকে পুলিশ পরিচয়ে ঐ শিক্ষকের গ্রামের মসজিদ ও মাদ্রাসা থেকে দুইজনকে গ্রেফতারের ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে পুলিশ বলছে তারা গ্রেফতার করেনি।
স্বভাবতই প্রশ্ন জাগে, দেশের নিয়ন্ত্রণ এখন কার হাতে? কারা গুম করছে? কারা হত্যা করছে? সরকারের দ্বায়িত্বই বা কী? মাদ্রাসা ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন গুলো দায়ী হলে কেণ এই লুকোচুরি? গ্রেফতার করে অস্বীকার কেন? জনগণের বাচার অধিকারের চেয়ে জঙ্গি উত্থানের স্বীকারোক্তি কী বেশি গুরুতর হয়ে গেল? সরকার যদি জেনে থাকেন যে জঙ্গিরা এসব ঘটাচ্ছে তাহলে কন তারা প্রকাশ না করে এসব নিয়ে গোপন কার্যক্রম চালাচ্ছে?
এইসব অজানা প্রশ্ন গুলোর মীমাংসা খুবই জরুরি। আমি চাই, আমার জীবনের অধিকার নিশ্চিত হোক! আক্র সরকার সেই অধিকার নিশ্চিত করতে বাধ্য।
রহস্যজনক ঘটনাবলী নিয়ে প্রথম আলোর আজকের রিপোর্ট সাধারন মানুষ হিসেবে আমাদেরকে আতংকিত করে। আমরা স্বাভাবিক মৃত্যুর গ্যারান্টি পাবো তো?
প্রথম আলোর আজকের রিপোর্ট-
"রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক এ এফ এম রেজাউল করিম সিদ্দিকীর গ্রামের বাড়ির মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় এক মাদ্রাসার শিক্ষককে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয় দিয়ে ধরে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ মঙ্গলবার ভোররাতে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয় বলে পরিবার জানায়। তবে পুলিশ বলছে, তাঁদের আটক করা হয়নি।
ওই দুই ব্যক্তি হলেন দরগামাড়িয়া জামে মসজিদের ইমাম রায়হান আলী (৩২) ও খাজাপাড়া গ্রামের মাদ্রাসার শিক্ষক মুনসুর রহমান (৪৮)।
দরগামাড়িয়া গ্রামের জামে মসজিদের ইমাম ও স্থানীয় ফোরকানিয়া হাফেজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক রায়হান আলীর স্ত্রী শাহারা খাতুনের ভাষ্য, ভোররাতে পাঁচ থেকে ছয়জন সাদাপোশাকের লোক আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে বাড়িতে ঢুকে স্বামীকে ধরে নিয়ে যান। কী কারণে নিয়ে যাওয়া হয়, তা তিনি জানেন না।
খাজাপাড়া গ্রামের মাদ্রাসার শিক্ষক মুনসুর রহমানের স্ত্রী ফজিলাতুন্নেসার ভাষ্য, তাঁর স্বামীকেও একই কায়দায় ভোররাতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।"
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৭ টি