চোখের সামনে ভাসে যুদ্ধাপরাধী!দায়ী কে?
১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চরম সংকটের মধ্য দিয়ে তাদের অস্তিত্ব বাঁচিয়ে রেখেছে। এমন কোন বাঁধা নেই, যা তাদের ছুয়ে যায়নি। গুম,খুন,নির্যাতন ও হয়রানী থেকে শুরু করে সব ধরনের নির্যাতন জামায়াতে ইসলাম কে সহ্য করতে হয়েছে। সর্বশেষ তাদের দাবি,বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ড ও অবিচারের শিকার। কারন হিসাবে তারা বলছে,সরকার বিচার বিভাগের মাধ্যমে সংগঠনের নিবন্ধন বাতিল করেছে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপিয়ে জামায়াতের শীর্ষনেতাদের ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারছে। যেখানে কোন ধরনের আর্ন্তজাতিক আইনের অনুসরন করা হয়নি,আর্ন্তজাতিক বিচারক নিয়োগ দেয়া হয়নি। সবকিছু মিলিয়ে জামায়াতী ইসলামের সকল শ্রেনীর নেতৃবৃন্দ আজ ঘর ছাড়া পাখি। ভোরের অপেক্ষায় তারা যেন চাতক পাখি।তবুও ভোর হয়না,অন্ধকারের সময়সীমা যেন বেরেই চলেছে! যাদের চিরুনী অভিযানের মাধ্যেমেও খুজে পাওয়া যায়না অথচ পত্রিকা মেলে ধরলেই তাদের ছবি,টেলিভিশন খুললেই তাদের চিত্র,টকশোতে জামায়াত ছাড়া আলোচনা যেন প্রানহীন। এত কিছুর পরেও চোখ মেললেই ভেসে ওঠে জামায়াতের কথা। কিন্তু কেন?
এ প্রসঙ্গে কথা বলার পূর্বে মনে পড়ে গেল বেন্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের কথা।তিনি বলেছিলেন কখনো সমালোচকদের কে সমালোচনা থেকে বিরত থাকতে বাঁধা দিবেনা।কারন
১.সে অন্যের সমালোচনা করতে গিয়ে নিজের ভাল দিকগুলোর প্রচার করার সময়ই পাবেনা।ফলে যার সমালোচনা করছে তার লাভ।
২.অন্যের সমালোচনা করতে গিয়ে সমালোচক অন্যের প্রচারটাই বেশি করছে।আর প্রচারে প্রসার কে না জানে!
৩.সমালোচকের সমালোচনা অনেক সময় রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহায়ক হয়ে থাকে।এ জন্য সমালোচকদের সমালোচনা বন্ধ করে দিওনা।
এখন আপনারাই বলেন, সরকার জামায়াতের সমালোচনা করতে গিয়ে কথায় কথায় জামায়াতের কথা বলছে আর মিডিয়া সেটা চোখ বুজে প্রচার করছে,ফলে চব্বিশ ঘন্টাই সরকার ও মিডিয়ার কল্যানে সাধারন-অসাধারন মানুষজনের মুখে ও চোখে সর্বদাই জামায়াতী ইসলামের চেহারাই ভাসতে থাকে।কিভাবে?
বাংলাদে্শের যেকোন প্রান্তেই সহিংসতা ঘটুকনা কেন,সরকার কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই একতরফা ভাবে দায় চাপিয়ে দেয় বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামের উপর। চট্রগ্রামের এইট মার্ডার! এটা শিবিরের কাজ? তেষট্রি জেলায় বোমা হামলা! এটা জামায়াত-শিবিরের কাজ? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারুক হত্যাকান্ড! নিঃসন্দেহে শিবিরের কাজ? সারা দেশে পেট্রলবোমা হামলা! জামায়াত-শিবির এর জন্য দায়ী। এভাবে প্রতিটা অন্যায়ের জন্য চোখ বুজে সরকার যখন সকল দায়ভার জামায়াতের উপর ন্যাস্ত করে আমাদের একচোখা মিডিয়াও তখন জামায়াতকে দায়ী করে পত্রিকা-টেলিভিশন হেডলাইন করে বসে থাকে। অন্যন্য ঘটনার সময় কিছুটা হলেও অনুসন্ধান করে নিউজ করে কিন্ত জামায়াতের ব্যাপারে এ ধরনের কোন বালাই নেই। ফলে ঘুম থেকে উঠেই পত্রিকাতে চোখ দিলেই ভেসে ওঠে বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামের কথা।
আগামী কাল বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামের কেন্দীয় নেতা আব্দুল কাদের মৌল্লার রায়-সকল পত্রিকার শিরোনাম।কিছুদিন পরে ঘোষনা হল ফাঁসির রায়-পত্রিকার শিরোনাম। অতপর যখন ফাঁসি হল টানা এক সপ্তাহ বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম।টেলিভিশন ও অন্যন্য মিডিয়ারও একই অবস্থা। এ ধরনের মাতামাতি কতটা নৈতিক বা অনৈতিক সেটা অবশ্য ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। তাও ভালো যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আমাদের মিডিয়াগুলো খুব বেশি ফ্লাশব্যাক করেনা। যদি করতো তাহলে শুধু ভাসতোইনা চোখের মণিতে হয়তোবা লেগে থাকতো যুদ্ধপরাধী ও তাদের সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামের নাম। ফ্লাশব্যাক না করার যথেষ্ঠ কারন আছে আমাদের সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার। এতে করে জামায়াত নির্দোষ প্রমানিত হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে বলেই তারা এ পথে হাঁটেনা বলে মনে করেন,বিশেষজ্ঞ মিডিয়া কর্মীরা।
বাংলাদেশের রাজনীতিক সংকট নিয়ে যেকোন টকশোতে উল্লেখযোগ্য সময় ধরে আলোচনা-সমালোচনা হয়ে থাকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম নিয়ে। সেটা আবার পূনঃপ্রচারও করে থাকে,যাতে করে মিস করা পাবলিক দেখতে পারে।
পাঁচ-ছয় জনের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী পথ-সভার বক্তব্যও মিডিয়া দেখাচ্ছে,লিখছে বা শোনাচ্ছে!
রাজাকারের শিরোমনি বলে খ্যাত, অধ্যাপক গোলাম আজমকে লাইফ সাপের্টে রাখার বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর বের করা,তার ধারাবাহিক সাক্ষাতকার গ্রহন ও দেখানো এবং মৃত্যু পরবর্তীতে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপষ্থিতিতে জানাজার নামাজ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়েছে,এ ধরনের মাতামাতিকে, ব্যাক্তিগত ভাবে আমি অনৈতিকই বলবো। অনৈতিক বলছি এ কারনে যে, আপনি যাদের মানবতাবিরোধী অপরাধী বলছেন আবার আপনিই তাদের নিয়ে পজিটিভ রিপোর্ট করছেন।বিষয়টা অনেকটা স্ববিরোধীতার সামিল। এটা যে শুধু মিডিয়ার দোষ তা না,সারাদিন যুদ্ধাপরাধীদের চৌদ্দগোষ্ঠির নাম নিশানা যারা মুছে ফেলতে চায়, তারাই আবার একসাথে বসে চা চক্কর করে। নিজের একমাত্র কন্যাকে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধরাধীর ছেলের সাথে বিয়ে দিচ্ছে। অনেক মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহকেরা যুদ্ধাপরাধীদের সাথে ব্যাবসা বানিজ্যে লিপ্ত। এটাও আবার মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে! যদিও নেতিবাচক ভাবে প্রচার করছে কিন্ত হয়ে যাচ্ছে ইতিবাচক ।কারন অপ-প্রচার ওতো, একধরনের প্রচার,যা বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে দিচ্ছে।
আজ থেকে কিছুদিন আগের কথা ,বাংলাদেশ জামায়াতি ইসলাম খারাপ ভালো যাই করুক মিডিয়াতে তার কোন যায়গা হতোনা। রাস্তায় পিশে তাদের মেরে ফেললেও কোন রিপোর্ট হতোনা। মানুষ জানতেই পারতোনা চলমান রাজনৈতিক কারনে, সরকার ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের হাতে কতজন জামায়াতের নেতাকর্মী মারা গেছেন। ফলে জামায়াতের প্রচার বলেন আর অপ-প্রচার বলেন, কোনটাই হতোনা সেভাবে এখন যেভাবে হয়। এতে করে তারা থাকতো লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা একটি রাজতিক দল। আজ সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতার কোন বালাই নেই। সবাই কেমন জানি এ্যাক্টিভিস্ট সাংবাদিক হয়ে গেছে। ফরহাদ মাজহার যার অন্যতম প্রমান। জামায়াতী ইসলাম নিয়ে মিডিয়া যখন অতিরিক্ত মাতামাতি করে তখন সেটাকে এ্যাক্টিভিস্ট সাংবাদিকদের অনৈতিক মাতামাতি বলেই আমার কাছে প্রতিয়মান হয়।
এ্যাক্টিভিস্ট সাংবাদিকগণ কি ধরনের মাতামাতি করছে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সেদিকে নজর দেইঃ-
#ATN BANGLA অধ্যাপক গোলাম আজমের তিন পর্বের সাক্ষাতকার প্রকাশ করে। যেখানে গোলাম আজম পরিস্কার করতে পেরেছেন বলে মনে হয় ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে কেন তারা ১৯৭১ সালে স্বাধিনতার বিরোধিতা করেছিল। সারা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের কাছে দায়ীত্ব নিয়ে সেটা প্রচার করে এটিএন বাংলা। একই কাজ করেছিল ইটিভি।এসব মিডিয়া ভেবেছিল,কখন না কখন গোলাম আজম মারা যান,কাজেই মারা যাওয়ার পূর্বে কেন তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন সেটা জাতিকে জানানো খুব জরুরী। একজন রাজাকারের শিরোমনির সাক্ষাতকার ছাপানো বা দেখানো কোনভাবেই নৈতিক বলে আমার কাছে মনে হয়না।
#আরেক যুদ্ধাপরাধের অপরাধে দন্ডিত ব্যক্তি হলেন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ওনাকে জাতীয় সংসদের সাইড বেঞ্চ থেকে যখন রাজাকার বলা হয় তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন,“কেউ যদি আমার বর্তমানে আমাকে রাজাকার প্রমান করতে পারে তাহলে সেচ্ছায় সাংসদ পদ ছেড়ে দেব। আর একাত্তর সালের কোন কাঁদা মাওলানা সাঈদীর গায়ে লাগে নাই”। তার পরের দিনই জনকন্ঠ পত্রিকার ব্যাকপেজে বড় করে সাঈদীর অপেন চ্যালেন্জ নামে বড় নিউজ ছাপা হয়েছিল। এটাও যে প্রগতিশীল সমাজের জন্য জরুরী ছিল সেটা আমি মানতে নারাজ ।আবার ইটিভিও তাকে নিয়ে একটা ইন্টাভিউ প্রচার করেছিল।
#যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির জন্য যে ট্রাইবুনাল গঠিত হয়েছে সেই ট্রাইবুনাল বাতিলের জন্য যখন জামায়াতী ইসলাম বিক্ষোভ মিছিল করে সেটাও বাংলাদেশের প্রায় সব গুলো মিডিয়া প্রচার করে। যা এই জাতির জন্য খুবই হতাশা জনক পাশাপাশি লজ্জাজনক। তাদের ডাকে সারা দিয়ে নিউজের জন্য অপেক্ষা করাটাও আমার কাছে অনৈতিক মনে হয়।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
এ প্রসঙ্গে কথা বলার পূর্বে মনে পড়ে গেল বেন্জামিন ফ্রাঙ্কলিনের কথা।তিনি বলেছিলেন কখনো সমালোচকদের কে সমালোচনা থেকে বিরত থাকতে বাঁধা দিবেনা।কারন
১.সে অন্যের সমালোচনা করতে গিয়ে নিজের ভাল দিকগুলোর প্রচার করার সময়ই পাবেনা।ফলে যার সমালোচনা করছে তার লাভ।
২.অন্যের সমালোচনা করতে গিয়ে সমালোচক অন্যের প্রচারটাই বেশি করছে।আর প্রচারে প্রসার কে না জানে!
৩.সমালোচকের সমালোচনা অনেক সময় রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহনে সহায়ক হয়ে থাকে।এ জন্য সমালোচকদের সমালোচনা বন্ধ করে দিওনা।
এখন আপনারাই বলেন, সরকার জামায়াতের সমালোচনা করতে গিয়ে কথায় কথায় জামায়াতের কথা বলছে আর মিডিয়া সেটা চোখ বুজে প্রচার করছে,ফলে চব্বিশ ঘন্টাই সরকার ও মিডিয়ার কল্যানে সাধারন-অসাধারন মানুষজনের মুখে ও চোখে সর্বদাই জামায়াতী ইসলামের চেহারাই ভাসতে থাকে।কিভাবে?
বাংলাদে্শের যেকোন প্রান্তেই সহিংসতা ঘটুকনা কেন,সরকার কোন ধরনের তদন্ত ছাড়াই একতরফা ভাবে দায় চাপিয়ে দেয় বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামের উপর। চট্রগ্রামের এইট মার্ডার! এটা শিবিরের কাজ? তেষট্রি জেলায় বোমা হামলা! এটা জামায়াত-শিবিরের কাজ? রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারুক হত্যাকান্ড! নিঃসন্দেহে শিবিরের কাজ? সারা দেশে পেট্রলবোমা হামলা! জামায়াত-শিবির এর জন্য দায়ী। এভাবে প্রতিটা অন্যায়ের জন্য চোখ বুজে সরকার যখন সকল দায়ভার জামায়াতের উপর ন্যাস্ত করে আমাদের একচোখা মিডিয়াও তখন জামায়াতকে দায়ী করে পত্রিকা-টেলিভিশন হেডলাইন করে বসে থাকে। অন্যন্য ঘটনার সময় কিছুটা হলেও অনুসন্ধান করে নিউজ করে কিন্ত জামায়াতের ব্যাপারে এ ধরনের কোন বালাই নেই। ফলে ঘুম থেকে উঠেই পত্রিকাতে চোখ দিলেই ভেসে ওঠে বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামের কথা।
আগামী কাল বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামের কেন্দীয় নেতা আব্দুল কাদের মৌল্লার রায়-সকল পত্রিকার শিরোনাম।কিছুদিন পরে ঘোষনা হল ফাঁসির রায়-পত্রিকার শিরোনাম। অতপর যখন ফাঁসি হল টানা এক সপ্তাহ বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম।টেলিভিশন ও অন্যন্য মিডিয়ারও একই অবস্থা। এ ধরনের মাতামাতি কতটা নৈতিক বা অনৈতিক সেটা অবশ্য ব্যাখ্যা সাপেক্ষ। তাও ভালো যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে আমাদের মিডিয়াগুলো খুব বেশি ফ্লাশব্যাক করেনা। যদি করতো তাহলে শুধু ভাসতোইনা চোখের মণিতে হয়তোবা লেগে থাকতো যুদ্ধপরাধী ও তাদের সংগঠন বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামের নাম। ফ্লাশব্যাক না করার যথেষ্ঠ কারন আছে আমাদের সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়ার। এতে করে জামায়াত নির্দোষ প্রমানিত হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে বলেই তারা এ পথে হাঁটেনা বলে মনে করেন,বিশেষজ্ঞ মিডিয়া কর্মীরা।
বাংলাদেশের রাজনীতিক সংকট নিয়ে যেকোন টকশোতে উল্লেখযোগ্য সময় ধরে আলোচনা-সমালোচনা হয়ে থাকে, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম নিয়ে। সেটা আবার পূনঃপ্রচারও করে থাকে,যাতে করে মিস করা পাবলিক দেখতে পারে।
পাঁচ-ছয় জনের বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী পথ-সভার বক্তব্যও মিডিয়া দেখাচ্ছে,লিখছে বা শোনাচ্ছে!
রাজাকারের শিরোমনি বলে খ্যাত, অধ্যাপক গোলাম আজমকে লাইফ সাপের্টে রাখার বিষয়ে গণমাধ্যমে খবর বের করা,তার ধারাবাহিক সাক্ষাতকার গ্রহন ও দেখানো এবং মৃত্যু পরবর্তীতে লক্ষ লক্ষ মানুষের উপষ্থিতিতে জানাজার নামাজ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়েছে,এ ধরনের মাতামাতিকে, ব্যাক্তিগত ভাবে আমি অনৈতিকই বলবো। অনৈতিক বলছি এ কারনে যে, আপনি যাদের মানবতাবিরোধী অপরাধী বলছেন আবার আপনিই তাদের নিয়ে পজিটিভ রিপোর্ট করছেন।বিষয়টা অনেকটা স্ববিরোধীতার সামিল। এটা যে শুধু মিডিয়ার দোষ তা না,সারাদিন যুদ্ধাপরাধীদের চৌদ্দগোষ্ঠির নাম নিশানা যারা মুছে ফেলতে চায়, তারাই আবার একসাথে বসে চা চক্কর করে। নিজের একমাত্র কন্যাকে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধরাধীর ছেলের সাথে বিয়ে দিচ্ছে। অনেক মুক্তিযুদ্ধের ধারক-বাহকেরা যুদ্ধাপরাধীদের সাথে ব্যাবসা বানিজ্যে লিপ্ত। এটাও আবার মিডিয়া ফলাও করে প্রচার করছে! যদিও নেতিবাচক ভাবে প্রচার করছে কিন্ত হয়ে যাচ্ছে ইতিবাচক ।কারন অপ-প্রচার ওতো, একধরনের প্রচার,যা বাংলাদেশ জামায়াতী ইসলামকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে দিচ্ছে।
আজ থেকে কিছুদিন আগের কথা ,বাংলাদেশ জামায়াতি ইসলাম খারাপ ভালো যাই করুক মিডিয়াতে তার কোন যায়গা হতোনা। রাস্তায় পিশে তাদের মেরে ফেললেও কোন রিপোর্ট হতোনা। মানুষ জানতেই পারতোনা চলমান রাজনৈতিক কারনে, সরকার ও সরকারদলীয় ক্যাডারদের হাতে কতজন জামায়াতের নেতাকর্মী মারা গেছেন। ফলে জামায়াতের প্রচার বলেন আর অপ-প্রচার বলেন, কোনটাই হতোনা সেভাবে এখন যেভাবে হয়। এতে করে তারা থাকতো লোকচক্ষুর অন্তরালে থাকা একটি রাজতিক দল। আজ সাংবাদিকতার নীতি নৈতিকতার কোন বালাই নেই। সবাই কেমন জানি এ্যাক্টিভিস্ট সাংবাদিক হয়ে গেছে। ফরহাদ মাজহার যার অন্যতম প্রমান। জামায়াতী ইসলাম নিয়ে মিডিয়া যখন অতিরিক্ত মাতামাতি করে তখন সেটাকে এ্যাক্টিভিস্ট সাংবাদিকদের অনৈতিক মাতামাতি বলেই আমার কাছে প্রতিয়মান হয়।
এ্যাক্টিভিস্ট সাংবাদিকগণ কি ধরনের মাতামাতি করছে যুদ্ধাপরাধীদের নিয়ে সেদিকে নজর দেইঃ-
#ATN BANGLA অধ্যাপক গোলাম আজমের তিন পর্বের সাক্ষাতকার প্রকাশ করে। যেখানে গোলাম আজম পরিস্কার করতে পেরেছেন বলে মনে হয় ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে কেন তারা ১৯৭১ সালে স্বাধিনতার বিরোধিতা করেছিল। সারা বাংলাদেশের আপামর জনসাধারনের কাছে দায়ীত্ব নিয়ে সেটা প্রচার করে এটিএন বাংলা। একই কাজ করেছিল ইটিভি।এসব মিডিয়া ভেবেছিল,কখন না কখন গোলাম আজম মারা যান,কাজেই মারা যাওয়ার পূর্বে কেন তিনি মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিলেন সেটা জাতিকে জানানো খুব জরুরী। একজন রাজাকারের শিরোমনির সাক্ষাতকার ছাপানো বা দেখানো কোনভাবেই নৈতিক বলে আমার কাছে মনে হয়না।
#আরেক যুদ্ধাপরাধের অপরাধে দন্ডিত ব্যক্তি হলেন মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। ওনাকে জাতীয় সংসদের সাইড বেঞ্চ থেকে যখন রাজাকার বলা হয় তখন তিনি জবাবে বলেছিলেন,“কেউ যদি আমার বর্তমানে আমাকে রাজাকার প্রমান করতে পারে তাহলে সেচ্ছায় সাংসদ পদ ছেড়ে দেব। আর একাত্তর সালের কোন কাঁদা মাওলানা সাঈদীর গায়ে লাগে নাই”। তার পরের দিনই জনকন্ঠ পত্রিকার ব্যাকপেজে বড় করে সাঈদীর অপেন চ্যালেন্জ নামে বড় নিউজ ছাপা হয়েছিল। এটাও যে প্রগতিশীল সমাজের জন্য জরুরী ছিল সেটা আমি মানতে নারাজ ।আবার ইটিভিও তাকে নিয়ে একটা ইন্টাভিউ প্রচার করেছিল।
#যুদ্ধাপরাধীদের শাস্তির জন্য যে ট্রাইবুনাল গঠিত হয়েছে সেই ট্রাইবুনাল বাতিলের জন্য যখন জামায়াতী ইসলাম বিক্ষোভ মিছিল করে সেটাও বাংলাদেশের প্রায় সব গুলো মিডিয়া প্রচার করে। যা এই জাতির জন্য খুবই হতাশা জনক পাশাপাশি লজ্জাজনক। তাদের ডাকে সারা দিয়ে নিউজের জন্য অপেক্ষা করাটাও আমার কাছে অনৈতিক মনে হয়।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৫ টি