আই টু ডাই, ইউ টু লিভ.........।
পিলোপনেশীয় যুদ্ধে এথেন্সের পরাজয়ের পর খ্রিষ্টপূর্ব ৩৯৯ সালে এথেন্সের শাসকগোষ্ঠী দার্শনিক সক্রেটিসের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলে। তাকে করা হয় বিচারের মুখোমুখি। তার বিরুদ্ধে মুখ্য অভিযোগ : তিনি রাষ্ট্রের তরুণ সম্প্রদায়ের মনে প্রতিষ্ঠিত রাষ্ট্র এবং সমাজব্যবস্থা সম্পর্কে সন্দেহ, অবিশ্বাস ও অশ্রদ্ধার ভাব সৃষ্টি করে চলেছেন। তিনি তরুণদের মনে ন্যায় কাকে বলে, অন্যায় কী, এরূপ মৌলিক প্রশ্ন জাগিয়ে তুলছেন। সক্রেটিস কুতার্কিক। তিনি তরুণসমাজকে দুর্নীতিগ্রস্ত করে তুলেছেন।
এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে তিনি বিচারকদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। বিচারকদের বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে; তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। এথেন্সের কেন্দ্রবিন্দুতে বসেছে এ আদালত। আদালতের বিচারক সংখ্যা ৫০০। বিচারকরা আসীন কাঠের বেঞ্চিতে। বিচারকদের চার পাশ ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়। সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী তিন এথেনীয় নাগরিকও সেখানে হাজির। তিন অভিযোগকারীকে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করে বক্তব্য রাখার জন্য তিন ঘণ্টা সময় দেয়া হয়। এরপর সক্রেটিসকে সময় দেয়া হবে তিন ঘণ্টা সময়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খণ্ডনের জন্য।
অভিযোগ খণ্ডন করে ৭০ বছর বয়সী সক্রেটিস বিচারকদের সামনে বক্তব্য রাখবেন। চার পাশে থমথমে ভাব। বিচারকরা অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয়ের বক্তব্য-যুক্তিতর্ক শুনবেন। এরপর বিচারকরা অভিযোগের সত্য-মিথ্যা নির্ধারণে ভোটের মাধ্যমে তাদের রায় জানাবেন। বিচারকদের সামনে দু’টি গোলাকার কলসি। একটিতে লেখা guilty, আর অপরটিতে not guilty। বিচারকরা তাদের ইচ্ছেমতো যেকোনো একটি কলসে তাদের নিজ নিজ চাকতি ফেলে সক্রেটিসের বিচারের রায় সমাধা করবেন। এভাবে ভোটাধিকারভিত্তিক আদালতের রায়ে সক্রেটিসের পক্ষে ২২০ বিচারক ও বিপক্ষে ২৮০ বিচারকের ভোট পড়ে। অতএব বিচারে সক্রেটিস দোষী সাব্যস্ত হন। এথেনীয় আইন অনুযায়ী এটাই ছিল রায় ঘোষণার পদ্ধতি।
বিচারকদের কোনো বক্তব্য দেয়ার সুযোগ ছিল না। এরপর এলো সক্রেটিসের শাস্তি নির্ধারণের পালা। অভিযোগকারী সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ড দাবি করে। সক্রেটিসকে সুযোগ দেয়া হয়, তার বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তি হতে পারে, সে ব্যাপারে পরামর্শ রাখার জন্য। অনেকে ধরে নিয়েছিলেন সক্রেটিস হয়তো বলবেন তাকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে নির্বাসনে দেয়া হোক। তা না করে সক্রেটিস বরং সেদিন বলেছিলেন, তিনি ভণ্ড জ্ঞানীদের মুখোশ খুলে দিচ্ছেন। সক্রেটিসের নিজের ভাষায় :
এথেনীয় আইন অনুযায়ী তার মৃত্যুদণ্ড সেখানেই কার্যকর করা হয়। আর সক্রেটিস নিজ হাতে হেমলক বিষপানে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। মৃত্যুর আগে তিনি বিষপাত্র হাতে নিয়ে বলেছিলেন :
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে তিনি বিচারকদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে। বিচারকদের বিচারে দোষী প্রমাণিত হলে; তার মৃত্যুদণ্ড হতে পারে। এথেন্সের কেন্দ্রবিন্দুতে বসেছে এ আদালত। আদালতের বিচারক সংখ্যা ৫০০। বিচারকরা আসীন কাঠের বেঞ্চিতে। বিচারকদের চার পাশ ঘিরে উৎসুক জনতার ভিড়। সক্রেটিসের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী তিন এথেনীয় নাগরিকও সেখানে হাজির। তিন অভিযোগকারীকে তাদের অভিযোগ উত্থাপন করে বক্তব্য রাখার জন্য তিন ঘণ্টা সময় দেয়া হয়। এরপর সক্রেটিসকে সময় দেয়া হবে তিন ঘণ্টা সময়, তার বিরুদ্ধে অভিযোগ খণ্ডনের জন্য।
অভিযোগ খণ্ডন করে ৭০ বছর বয়সী সক্রেটিস বিচারকদের সামনে বক্তব্য রাখবেন। চার পাশে থমথমে ভাব। বিচারকরা অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী উভয়ের বক্তব্য-যুক্তিতর্ক শুনবেন। এরপর বিচারকরা অভিযোগের সত্য-মিথ্যা নির্ধারণে ভোটের মাধ্যমে তাদের রায় জানাবেন। বিচারকদের সামনে দু’টি গোলাকার কলসি। একটিতে লেখা guilty, আর অপরটিতে not guilty। বিচারকরা তাদের ইচ্ছেমতো যেকোনো একটি কলসে তাদের নিজ নিজ চাকতি ফেলে সক্রেটিসের বিচারের রায় সমাধা করবেন। এভাবে ভোটাধিকারভিত্তিক আদালতের রায়ে সক্রেটিসের পক্ষে ২২০ বিচারক ও বিপক্ষে ২৮০ বিচারকের ভোট পড়ে। অতএব বিচারে সক্রেটিস দোষী সাব্যস্ত হন। এথেনীয় আইন অনুযায়ী এটাই ছিল রায় ঘোষণার পদ্ধতি।
বিচারকদের কোনো বক্তব্য দেয়ার সুযোগ ছিল না। এরপর এলো সক্রেটিসের শাস্তি নির্ধারণের পালা। অভিযোগকারী সক্রেটিসের মৃত্যুদণ্ড দাবি করে। সক্রেটিসকে সুযোগ দেয়া হয়, তার বিরুদ্ধে কী ধরনের শাস্তি হতে পারে, সে ব্যাপারে পরামর্শ রাখার জন্য। অনেকে ধরে নিয়েছিলেন সক্রেটিস হয়তো বলবেন তাকে মৃত্যুদণ্ড না দিয়ে নির্বাসনে দেয়া হোক। তা না করে সক্রেটিস বরং সেদিন বলেছিলেন, তিনি ভণ্ড জ্ঞানীদের মুখোশ খুলে দিচ্ছেন। সক্রেটিসের নিজের ভাষায় :
‘রাষ্ট্ররূপ মন্থরগতি অশ্বের জন্য আমি হচ্ছি বিধিদত্ত এক ড্যাঁশ পোকা। অতএব তাকে পুরস্কৃত করাই উচিত।''এমনি পরিস্থিতিতে তার ওপর চাপ আসে বাস্তবভিত্তিক কোনো শাস্তির পরামর্শ দিতে। তখন তিনি চাপের মুখে বলেন, তাকে মোটা দাগে জরিমানা করা যেতে পারে। বিচারকরা শেষ পর্যন্ত তার মৃত্যুদণ্ডই ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পর তাকে কাছাকাছি একটি কারাগারে নেয়া হয়।
এথেনীয় আইন অনুযায়ী তার মৃত্যুদণ্ড সেখানেই কার্যকর করা হয়। আর সক্রেটিস নিজ হাতে হেমলক বিষপানে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেন। মৃত্যুর আগে তিনি বিষপাত্র হাতে নিয়ে বলেছিলেন :
I to die, you to live, but only God knows who is correct.
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৭ টি
০৩ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৪:৪১
অনেক গুণী মানুষকে হারাতে হয়েছে আবার অনেক কুলাঙ্গারও আইনের কারনে আয়েসে জেলে বসে অনেকটা স্বাভাবিক মৃত্যু পাচ্ছে। এটাই তো আফসোসের কথা।
০৩ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৫:১৫
সক্রেটিস সঠিক ছিল।পরবর্তীতে প্রতারক,মিথ্যাবাদী শাসকদের বিচার হয়েছিল সেই সাথে বলা হয়েছিল,সক্রেটিস ছিল সত্যের কান্ডারী