হুমায়ুন ফরিদী ও কিছু স্মৃতি!
যার অভিনয় দেখে ভয়ে কাঁপতাম আর অন্তর্ধানে কাঁদতাম সেই হল বাংলাদেশের কালজয়ী অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী। তিনি জীবিত অবস্থায় ২৫০ টির ও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন। হুমায়ুন ফরিদী ছবিতে কাজ করবেন আর সেই ছবি ফ্লপ করবে,এটা চিন্তা করাও ছিল এক ধরনের বোকামী। জাহাঙ্গীরনগর কালচারাল অঙ্গন জয় করে ঢাকার সংস্কৃতিতে পা দেবার সাথে সাথে আলোড়ন পড়ে যায়,ঢাকা কাঁপাতে আসছেন হুমায়ুন ফরিদী। কাঁপিয়েছিলেন ও তাই। অভিনয়ের নতুন ধারা যোগ করে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। মাতৃত্ব ছবিতে কাজের মাধ্যমে ২০০৩ সালে তিনি লাভ করেন,জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। আজ ও যখন বিশ্বপ্রেমিক ছবি সহ অন্যন্যা ছবিগুলো দেখি মনের অজান্তেই চোখবেয়ে অশ্রু ঝড়ে। তিনি যেদিন মরে যান সেদিন থেকে প্রায় এক সপ্তাহ চোখের জল সংবরণ করা সম্ভব হয়ে ওঠেনি,মনে হলেই কেঁদে ফেলতাম আর ভাবতাম,জীবনের তাহলে কি কোন অর্থ নেই! যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন রাজার মত করেই জিবন যাপন করতেন। মনে যা চাইতো তাই করতো,স্বাধীনতা বলতে যা বুঝায়। তিনি আসলে কেমন ছিলেন তার কাছের মানুষগুলোই ভালো বলতে পারবেন। আসুন হুমায়ন ফরিদী সম্পর্কে কিছু অজানা মজার স্মৃতি জেনে নেই।
#হুমায়ুন ফরিদী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে অনেক দোকানে বাঁকি খেতেন। যেটা আমরা সবাই করে থাকি ক্যাম্পাস লাইফে। চৌধুরী নামের এক চা বিক্রেতার কাছে ফরিদী ভাই প্রায়ই চা,বিস্কুট,সিগারেট বাঁকি খেতে খেতে মোটমুটি কিছু টাকা জমে গিয়েছিল। হঠাৎ করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে ঢাকায় চলে যান ফরিদী,বাঁকি টাকাগুলো না দিয়েই। দীর্ঘদিন পরে ক্যাম্পাসে এসে চৌধুরীর দোকানে চা খেতে আসলে,ঠাট্রাচ্ছলে চৌধুরী বলে বসে,ফরিদী ভাই কিছু টাকা পাইতামতো সেই অনেকদিন হইলো,দিবেন? ফরিদী ভাই বলেছিলেন,টাকা চাইলেতো এখনই দিতে পারি কিন্তু দিবোনা! কেন জানিস,যখন আমি বাংলাদেশের বিখ্যাত জনদের একজন হবো তখন যাতে বলতে পারিস,আমি চা বিক্রেতা চৌধুরী, এ্ই হুমায়ুন ফরিদীর কাছ থেকে টাকা পাই! এখনো এই ঘটনা সবার মুখেই শোনা যায় বিশেষ করে যখন ফরিদীর বিষয়ে আলোচনার সুত্রপাত হয়।
#একদিন আফজাল হোসেন ও ফারুক ভাইয়ের সাথে স্যুটিংয়ের ফাকে হুমায়ুন ফরিদী নিয়ে আলোচনা শুরু হলেই আফজাল হোসেন ভাই সবাইকে থামিয়ে বললেন শোনো,আমার দেখা সবচেয়ে ট্যালেন্টড অভিনেতা ছিলেন ফরিদী ভাই। আমি বললাম ভাই দু একটা কাহিনী যদি বলতেন উপকৃত হতাম। আফজাল ভাই বললেন তাইলে শোনো,একদিন স্যুটিং শেষ করে প্রাইভেট কারে আমি,ফরিদী ভাই সহ আরো দুজন রংপুর থেকে গভির রাতে ঢাকায় ফিরছিলাম। পলাশবাড়ি না পৌছতেই ছিনতাইয়ের শিকার। টর্চলাইট জ্বালিয়ে গাড়ির ভিতর মারতেই তাদের চোখ পড়ে ফরিদী ভাইকে। একবাক্যে সবাই বলতে থাকে আরে হুমায়ুন ফরিদী ভাইনা!সত্যিই যখন দেখলো হুমায়ুন ফরিদী তখন তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে,আমরা বুঝতে পারিনি ফরিদী ভাই,আপনার চলে যেতে পারেন। এই যাত্রায় ফরিদী ভায়ের সৌজন্য বেঁচে যাই।
কিন্তু পলাশবাড়ি পার হয়ে আরেকটি ছিনতাই কবলিত জোন ছিল সেটা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুললে,ফরিদী ভাই আমাদের আশ্বস্ত করে বলে,এটা আমার উপর ছেড়ে দে তোরা। এ কথা বলেই ফরিদী ভাই সবাইকে নির্দেশ দিলেন,আমরা যেন প্যান্ট,শার্ট খুলে সবাই সেন্ডু গেনজি আর লুঙ্গি পড়ে নেই। কথা যা কাজ তাই। যথারিতী যায়গামত ছিনতাইকারীরা আমাদের গাড়ি আটকে দেয়। যার যা আছে দিয়ে দিতে বললে ফরিদী ভাই বলতে থাকেন,ভাই আমাদের টাকা পয়সা যা ছিল দু-দফায় সবকিছু ছিনতাইকারীরা কেঁড়ে নিয়েছে। গায়ের গেনজি ও পড়নে লুঙ্গি ছাড়া আমাদের আর কিচ্ছু নেই,চাইলে খুলে দিতে পারি। ছিনতাইকারীরা ভালো করে পরিদর্শন করার পরে যখন ফরিদীর কথা ও কাজে মিল দেখলো তখন ছেড়ে দেয়। সত্যিই,ফরিদী ভায়ের উপস্থিত বুদ্ধির জুড়িমেলা ভার ছিল।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
#হুমায়ুন ফরিদী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে অনেক দোকানে বাঁকি খেতেন। যেটা আমরা সবাই করে থাকি ক্যাম্পাস লাইফে। চৌধুরী নামের এক চা বিক্রেতার কাছে ফরিদী ভাই প্রায়ই চা,বিস্কুট,সিগারেট বাঁকি খেতে খেতে মোটমুটি কিছু টাকা জমে গিয়েছিল। হঠাৎ করে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে ঢাকায় চলে যান ফরিদী,বাঁকি টাকাগুলো না দিয়েই। দীর্ঘদিন পরে ক্যাম্পাসে এসে চৌধুরীর দোকানে চা খেতে আসলে,ঠাট্রাচ্ছলে চৌধুরী বলে বসে,ফরিদী ভাই কিছু টাকা পাইতামতো সেই অনেকদিন হইলো,দিবেন? ফরিদী ভাই বলেছিলেন,টাকা চাইলেতো এখনই দিতে পারি কিন্তু দিবোনা! কেন জানিস,যখন আমি বাংলাদেশের বিখ্যাত জনদের একজন হবো তখন যাতে বলতে পারিস,আমি চা বিক্রেতা চৌধুরী, এ্ই হুমায়ুন ফরিদীর কাছ থেকে টাকা পাই! এখনো এই ঘটনা সবার মুখেই শোনা যায় বিশেষ করে যখন ফরিদীর বিষয়ে আলোচনার সুত্রপাত হয়।
#একদিন আফজাল হোসেন ও ফারুক ভাইয়ের সাথে স্যুটিংয়ের ফাকে হুমায়ুন ফরিদী নিয়ে আলোচনা শুরু হলেই আফজাল হোসেন ভাই সবাইকে থামিয়ে বললেন শোনো,আমার দেখা সবচেয়ে ট্যালেন্টড অভিনেতা ছিলেন ফরিদী ভাই। আমি বললাম ভাই দু একটা কাহিনী যদি বলতেন উপকৃত হতাম। আফজাল ভাই বললেন তাইলে শোনো,একদিন স্যুটিং শেষ করে প্রাইভেট কারে আমি,ফরিদী ভাই সহ আরো দুজন রংপুর থেকে গভির রাতে ঢাকায় ফিরছিলাম। পলাশবাড়ি না পৌছতেই ছিনতাইয়ের শিকার। টর্চলাইট জ্বালিয়ে গাড়ির ভিতর মারতেই তাদের চোখ পড়ে ফরিদী ভাইকে। একবাক্যে সবাই বলতে থাকে আরে হুমায়ুন ফরিদী ভাইনা!সত্যিই যখন দেখলো হুমায়ুন ফরিদী তখন তারা ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে,আমরা বুঝতে পারিনি ফরিদী ভাই,আপনার চলে যেতে পারেন। এই যাত্রায় ফরিদী ভায়ের সৌজন্য বেঁচে যাই।
কিন্তু পলাশবাড়ি পার হয়ে আরেকটি ছিনতাই কবলিত জোন ছিল সেটা আমাদের উদ্বিগ্ন করে তুললে,ফরিদী ভাই আমাদের আশ্বস্ত করে বলে,এটা আমার উপর ছেড়ে দে তোরা। এ কথা বলেই ফরিদী ভাই সবাইকে নির্দেশ দিলেন,আমরা যেন প্যান্ট,শার্ট খুলে সবাই সেন্ডু গেনজি আর লুঙ্গি পড়ে নেই। কথা যা কাজ তাই। যথারিতী যায়গামত ছিনতাইকারীরা আমাদের গাড়ি আটকে দেয়। যার যা আছে দিয়ে দিতে বললে ফরিদী ভাই বলতে থাকেন,ভাই আমাদের টাকা পয়সা যা ছিল দু-দফায় সবকিছু ছিনতাইকারীরা কেঁড়ে নিয়েছে। গায়ের গেনজি ও পড়নে লুঙ্গি ছাড়া আমাদের আর কিচ্ছু নেই,চাইলে খুলে দিতে পারি। ছিনতাইকারীরা ভালো করে পরিদর্শন করার পরে যখন ফরিদীর কথা ও কাজে মিল দেখলো তখন ছেড়ে দেয়। সত্যিই,ফরিদী ভায়ের উপস্থিত বুদ্ধির জুড়িমেলা ভার ছিল।
এ ধরনের হাজারো স্মৃতিকে পেছনে ফেলে ২০১৩ সালের আজকের দিনে চিরদিনের জন্য স্মৃতির ফ্রেমে স্থায়ী যায়গা করে নেন বাংলা চলচ্চিত্রের সাড়া জাগানো কিংবদন্তী অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী। যেখানেই থাক ভালো থাক আমার প্রিয় অভিনেতা হুমায়ুন ফরিদী।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৫ টি
১৩ ফেব্রুয়ারি ’১৬ সন্ধ্যা ০৬:৫৯
আমাদের বহু আবেগ সৃষ্টি করে হারিয়ে গেছেন তিনি। হুমায়ুনের অবদান ভুলবার নয়।