পুলিশ নামক “অজগর” সাপের মুখে গোটা রাষ্ট্র এবং সরকার...
আজকে আমাদের পুলিশবাহিনী ঠিক সেই অজগর সাপ হয়ে গেছে! বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের গ্রেফতার করে গ্রেফতার বাণিজ্য করে লোভ তৈরী হয়ে গেছে! এখন বিরোধী দলীয় নেতা কর্মীদের মাধ্যমে তেমন একটা গ্রেপতার বাণিজ্য করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় তারা এখন সাধারণ জনগনের উপর নজর দিয়েছে! কয়েকদিন আগে তার স্বীকার হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা রাব্বি এবং গতকাল যাত্রবাড়িতে স্বীকার হলেন ডিসিসি কর্মকর্তা বিকাশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা রাব্বির ঘটনা জানেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! তবুও আরও একবার মনে করিয়ে দেই। যেন আমাদের বাঙালী ভুলোমনটা আরও কিছুদিন এই ঘটনাটিকে ভালোভাবে স্মরন রাখে!
ভয়ে কুঁকড়ে আছে ২৭ বছরের যুবকের রাব্বি। লাল হয়ে যাওয়া চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছে। মাথার কাছে বন্ধু বসে আছেন। আর বন্ধুর কোলে মাথা দিয়ে শুয়ে আছেন যুবক রাব্বি। ছটফট করছেন। একটু পরপর পাশে বসা বন্ধুর হাত চেপে ধরছেন। হাত-পা ছুড়ছেন। অস্থির গলায় বলছেন, ‘আমি কোনো দোষ করি নাই। আমার কোনো দোষ ছিল না। আমি একটু ঘুমাব।’
গত বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় এভাবেই দেখা গেল বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের যোগাযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের এই কর্মকর্তা এখনো বিশ্বাস করতে পারছেন না, আসলেই পুলিশের হাত থেকে প্রাণ নিয়ে তিনি ফিরে আসতে পেরেছেন।
হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে রাব্বী কথা বলছিলেন খুব আস্তে আস্তে। কথা বলতে বলতে উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছিলেন। কখনো একই কথা বলছিলেন বারবার। আবার কখনো একেবারে চুপ।
গত শনিবার রাত ১১টার দিকে গোলাম রাব্বী মোহাম্মদপুরে তাঁর খালার বাসা থেকে কল্যাণপুরে নিজের বাসায় যাচ্ছিলেন। পথে হঠাৎ পেছন থেকে এক পুলিশ সদস্য তাঁর শার্টের কলার ধরে বলেন, ‘তোর কাছে ইয়াবা আছে।’ তিনি অস্বীকার করলে, তাঁকে ধরে কিছু দূরে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদ শিকদারের কাছে নিয়ে যান ওই পুলিশ সদস্য। এসআই মাসুদও তাঁকে বলেন, তাঁর (রাব্বী) কাছে ইয়াবা আছে। তিনি আবারও অস্বীকার করলে এসআই মাসুদসহ পুলিশ সদস্যরা তাঁকে নিয়ে টানাহেঁচড়া শুরু করেন। একপর্যায়ে তাঁকে জোর করে পুলিশের গাড়িতে তোলা হয়।
এরপরের কথা বলতে গিয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাবেক সংবাদ উপস্থাপক রাব্বী বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে সারাক্ষণ মনে হচ্ছে কে যেন আমাকে ধরতে আসছে। বাম পায়ে রডের বাড়ির ব্যথা আছে। মাথায়ও চিনচিন ব্যথা। ওই দিন যা হয়েছে তা ১০ বা ১৫টি বই লিখলেও কাহিনি শেষ করা যাবে না। শুধু বুঝতে পারছিলাম, “কাদের কেস”-এর মতো কিছু একটা হতে যাচ্ছে। একেকজন শরীরের একেক জায়গায় হাত দেয় আর বলতে থাকে ইয়াবা কই, মাদক কই, অস্ত্র কই? এসব বলে, আর মারে। পুলিশ ভ্যান এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় ঘুরতে থাকে। মোটা অঙ্কের টাকা চায়। একজন বলে, তোরে তো সম্মান দিছি, থানায় নিই নাই। তুই যে ইয়াবা ব্যবসায়ী এইটা জানলে তো তোর বিয়ে হবে না।’
পাঁচ বোনের এক ভাই গোলাম রাব্বী বলেন, তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে চাকরি করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন, টেলিভিশনে কাজ করেছেন এ পরিচয়গুলো পরিস্থিতি আরও খারাপ করে তোলে। পুলিশ সদস্যরা তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করতে থাকেন। কেউ কেউ তাঁকে মেরে ফেলার কথা বলেন। মানিব্যাগে টাকা ছিল না, তাই এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের আক্রমণের সময় পুলিশ সন্ত্রাসীদের গুলি করলে তা রাব্বীর পায়ে লাগে বলে চালিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনাও করে। ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ বলে মিথ্যা মুচলেকা দিতে চাপ দিতে থাকে।
একপর্যায়ে রাব্বী যাতে ফোন করে কাউকে আসতে বলেন তা জানায়। তবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, গণমাধ্যম বা বাংলাদেশ ব্যাংকের কাউকে ফোন দেওয়া যাবে না। রাব্বী জাহিদ নামের (নামের পাশে ডিইউ লেখা ছিল না) এক বড় ভাইকে ফোন দেন। জাহিদকে পুলিশ সদস্যরাই আসাদগেটে আসতে বলেন। তাঁরা ১০-১২ জন এসে রাব্বীকে উদ্ধার করেন। ভাগ্যক্রমে রাব্বীর মুঠোফোনটি পুলিশ সদস্যরা কেড়ে নেননি। রাব্বী এক ফাঁকে তাঁর পরিচিত কয়েকজনকে খুদে বার্তা দিয়ে শুধু লেখেন ‘কাদের কেস’( ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্যাতিত ছাত্র আব্দুল কাদের)।
গোলাম রাব্বী বলেন, ‘পুলিশ আমারে সার্চ করে নাই। কাউকেই করে না। ভ্যান নিয়ে ঘুরে। আমি যতক্ষণ ছিলাম দেখেছি, একেকজনকে ধরে, টাকা নেয়। যারা টাকা দিতে পারে না, তাদের থানায় নিয়ে যায়। মারধর করে।’
ঘটনার এখানেই শেষ নয়! গত বৃহষ্পতিবার মধ্যরাতে রাব্বিকে হুমকি দেয়া হয়। পুলিশের নির্যাতনে আহত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তা গোলাম রাব্বীকে মধ্যরাতে ছদ্মবেশে হাসপাতালে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দেয়া হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ১২টার পর দুই ব্যক্তি পূর্ব-পরিচিতের ভান করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাব্বীর কেবিনে যায়।
এরপর সরাসরি তার কাছে গিয়ে বসে। শারীরিক অবস্থা জানতে না চেয়ে প্রথমেই জিজ্ঞেস করে- ‘ঘটনার সময় ক্ষুদে বার্তায় ‘কাদের কেস’ (ইতিপূর্বে পুলিশি নির্যাতনের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল কাদের) বলতে কী বোঝাতে চেয়েছিলেন। আপনি যে এত কথা বলতেছেন, নিজের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তা করছেন? নির্যাতিত হওয়ার পর যারা এভাবে বাড়াবাড়ি করেছিল তাদের পরিণতি কী হয়েছিল জানেন। এ ধরনের ঘটনায় শেষে মেরে ফেলে দেয়া হয়। শেষে উল্টো মামলার শিকার হয়। হাত, পা ফেলে দেয়।’ তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে রাব্বী আরও বলেন, ‘আপনি কী মুসলমান?। তাহলে দুই রাকায়াত নফল নামাজ পড়ে ঘুমান। আমরা আবার আসব।’
এতো গেল রাব্বির ঘটনা। এবার দেখুন, ডিসিসি কর্মকর্তা বিকাশ চন্দ্র দাসের নির্যাতনের ঘটনা।
গতকাল, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শককে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে পুলিশ। মারধরের সময় বারবার নিজের পরিচয় দিলেও রক্ষা হয়নি তার। এ সময় পুলিশের এক উপ-পদির্শক (এসআই) তার গলা চেপে ধরেন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালের আইসিইউতে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়।
গতকাল ভোরে যাত্রাবাড়ীর মীরহাজীবাগ এলাকার সাবেক কমিশনার নবীউল্লাহর বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে। আহত বিকাশ চন্দ্র দাশ (৪৫) ডিসিসি (দক্ষিণ)’র পরিচ্ছন্নতা পরিদর্শক হিসেবে দায়িত্ব পালনে বের হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মাথায় ও নাকে গুরুতর আঘাত পেয়েছেন তিনি। ঘটনার পর থেকে অজ্ঞান রয়েছেন বিকাশ। এ ঘটনা তদন্তের জন্য পুলিশ সদর দপ্তরের উদ্যোগে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একজন এডিশনাল ডিআইজিকে প্রধান করে ওই কমিটি গঠন করা হয়।
গতকাল ঢামেক হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, দ্বিতীয় তলার একটি ওয়ার্ডের শয্যায় রাখা হয়েছে বিকাশ চন্দ্রকে। পাশে ছিলেন তার স্ত্রী সরস্বতী দাশ, স্ত্রীর বড় ভাই চন্দন দাশ ও বিকাশের ছোট ভাই সুজিত কুমার দাশ। সরস্বতী জানান, প্রতিদিনের মতো সিটি করপোরেশনের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজ দেখার জন্য ভোর ৪টার দিকে যাত্রাবাড়ীর দয়াগঞ্জের বাসা থেকে বের হন তিনি। তার পরেই এ ঘটনা ঘটে। বিকাশ যে মোটরসাইকেলে যাচ্ছিলেন তার সামনে-পেছনে সিটি করপোরেশন লেখা আছে। সেইসঙ্গে মোটরসাইকেলের নম্বরও রয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বরাত দিয়ে সরস্বতী ও সুজিত জানান, বিকাশের মোটরসাইকেল দেখে তিন জন সাদা পোশাকধারী পুলিশ তাকে থামতে ইশারা দেন। ওই দলের নেতৃত্বে ছিলেন যাত্রাবাড়ী থানার এসআই আরশাদ হোসেন আকাশ। অন্যদের মধ্যে ছিলেন মনোজ ও রাসেল।
মোটরসাইকেলটি থামাতেই, হাতে থাকা রোলার দিয়ে তার মাথা ও নাকে আঘাত করেন আকাশ। আশপাশের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তখন ছুটে যান। সরস্বতী জানান, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তখন চিৎকার করে বলেছে, স্যার মারবেন না। তিনি আমাদের ইন্সপেক্টর স্যার। এমনকি বিকাশ নিজে বারবার বলেছেন, আমি সিটি করপোরেশনে চাকরি করি। আমাকে মারবেন না, প্লিজ। কিন্তু রক্ষা হয়নি তার। পিস্তলের বাঁট দিয়ে মাথায় আঘাত করেন পুলিশ সদস্য। বেদম মারধরে মোটরসাইকেল থেকে নিচে পড়ে যান বিকাশ। একপর্যায়ে তার শরীরের বিভিন্নস্থানে পায়ের বুট দিয়ে আঘাত করা হয়। আঘাতের একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে যান।
এ সময় পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ডিসিসি’র দক্ষিণের কর্মকর্তাদের বিষয়টি ফোনে জানান। অল্প সময়ের মধ্যেই বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। খবর পেয়ে বিকাশের স্ত্রী সরস্বতী, ভাই সুজিতসহ স্বজনরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। সুজিত জানান, তারা গিয়ে দেখতে পান অজ্ঞান অবস্থায় একটি ভ্যানের মধ্যে রাখা হয়েছে তাকে। তার নাক-মুখ দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। এ সময় যাত্রাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অবনী শঙ্করসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে জড়ো হন। তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়।
হাসপাতালের শয্যায় থাকা বিকাশের নাকে তখনও জমাটবাঁধা রক্ত ছিল। একইভাবে মাথায় রক্তের দাগ। ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন বিকাশের স্ত্রী সরস্বতী। তিনি বলেন, আমি এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার স্বামীতো কোনো অপরাধী না। সরকারি দায়িত্ব পালন করতে বাসা থেকে বের হওয়ার পর কেন তাকে এভাবে মারধর করা হলো?
ঢামেক হাসপাতালে ডা. শফিকুল কবির খানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন বিকাশ। উন্নত চিকিৎসার জন্য সন্ধ্যায় তাকে ল্যাবএইড-এ স্থানান্তর করা হয়।
সরকারের পুলিশ বাহিনী যেভাবে সরকারী কর্মকর্তাদের গ্রাস করা শুরু করেছে, তাতে কবে যনে অজগর হয়ে সরকারকে-ই গিলে ফেলে এই পেটুয়া পুলিশ বাহিনী!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
১৬ জানুয়ারি ’১৬ রাত ০১:৩৬
এসব ঘটনায় অবাক হইনি মোটেই। এই দেশেই তো বঙ্গুবন্ধুকে মেরে ফেলা হয়েছে! দূর্ণীতির বিরুদ্ধে ঐক্য গড়ার ডাক দিয়ে বঙ্গবন্ধুও শহীদ হলেন! আসুন, এই দূর্বৃত্বদের সম্মিলিত ভাবে প্রতিরোধ করি।
১৬ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৪:১৫
সাধক:
পুলিশকে অন্ধ দোষারোপ করার মাঝে বিপ্লবী দর্শন থাকতে পারে, আদতে কোন কল্যাণ নেই। এক মাসুদ দিয়ে পুরো ডিপার্টমেন্টকে মূল্যায়িত করলে ভুল পারচেপশন তৈরী হবে। পুলিশ মানেই খারাপ লোক- এই দর্শন থেকে বের হয়ে আসতে হবে। তবে মাসুদদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
১৬ জানুয়ারি ’১৬ রাত ১০:৩০
সহমত। তবে এটা নিয়ন্ত্রন করা কঠিন ব্যাপার না। সরকার চাইলেই হয়। কিন্তু তা চাইবে কেন? পুলিশের উপর ভর করেইতো আছে সরকার। :(
১৭ জানুয়ারি ’১৬ রাত ০৮:০৭
রাষ্ট্র যখন পুলিশী রাষ্ট্র হয়ে যায় তখন কেউ আর নিরাপদ থাকেনা,এমনকি স্বয়ং পুলিশ পর্যন্ত!
১৮ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:০৪
মাছের রাজাও পুলিশ। নদীগুলোর দখলদার পুলিশ। মাছ বাজারের টেকাটুকা পুলিশের হাতে। পুলিশ হল সকল কিছুর আসল রাজা। সেই পুলিশের লগে লাইগেন না। হেরা খেপলে তো দেশও নাই হইয়া যাইব মনে কয়।
১৮ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:০৪
মাছের রাজাও পুলিশ। নদীগুলোর দখলদার পুলিশ। মাছ বাজারের টেকাটুকা পুলিশের হাতে। পুলিশ হল সকল কিছুর আসল রাজা। সেই পুলিশের লগে লাইগেন না। হেরা খেপলে তো দেশও নাই হইয়া যাইব মনে কয়।