মানবতায় বাঁচুক রমণী মোহন চাকমা(গেংখুলি)
বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের চাকমা সমাজের যে ক’জন চারণ কবি এখনো জীবিত আছেন তার মধ্যে গেংখুলি রমণী মোহন চাকমা একজন। সম্ভবত বয়জেষ্ঠ গেংখুলি শিল্পীও তিনি। বরেণ্য এই চাকমা লোকসংগীত শিল্পীর প্রকৃত নাম বরণ চান চাক্মা। তাঁর গায়কীতে মুগ্ধ হয়ে চাকমা রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় তাঁকে ‘‘রমণী মোহন শিল্পী” বলে আখ্যায়িত করেন। রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়িতে খ্যাতিমান এই গেংখুলির জন্ম ১৯৩৬ সালের ২০ এপ্রিল। ১৪ বছর বয়স থেকে তিনি গুণী সাধক কান্দারা চাক্মার কাছে তালিম নেন। তিনি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাঙ্গামাটিসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ‘গেংখুলি’ পরিবেশন করেছেন। দেশের বাইরে ভারত এবং মায়ানমারের বিভিন্ন প্রদেশে তিনি সংগীত পরিবেশন করেছেন। একজন ভিন্ন ধারার সংগীতের সাধক হিসেবে শিল্পবোদ্ধা এবং অনুরাগীদের কাছে তিনি অনেক আগে থেকেই আছেন জনপ্রিয়তার তুঙ্গে। বান্দরবান ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার পঁচিশ বছর পূর্তি (১৯৮৮-২০১৩) উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত রজত জয়ন্তী উৎসবে বিগত ১০ মে ২০১৪ তারিখে আয়োজিত 'ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকসাংস্কৃতিক উৎসব ২০১৩' তে তাঁকে "আজীবন সম্মাননা" প্রদান করে।
কিন্তু, আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, তিনি এখন শারীরিকভাবে খুব অসুস্থ। বর্তমানে রাঙ্গামাটিস্থ ভেদভেদি -শিমুলতলীর মাঝামাঝি এলাকায় তাঁর কন্যা সিমন্তিনী চাকমার বাসায় অবস্থান করছেন। গত সোমবার ১৬/০৯/১৯ তারিখ তাঁকে ভারত থেকে সেখানে পৌঁছানো হয়। তিনি গত এপ্রিলের পর ভারতের মিজোরামে যান। চাকমা ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল এর আওতাধীন দূর্গম ঢেবাছড়ার লুম্বই ঘাট এলাকায় তার আরেক কন্যা আনন্দ বালা চাকমা বাস করেন। সেখানে গিয়ে তিনি স্ট্রোকের শিকার হন। তাঁর অবস্থা জানতে গত ১৮/০৯/১৯ ইং জাক'র পক্ষ থেকে ঝিমিত ঝিমিত চাকমা ও রনেল চাকমা তার বাসায় যান। তাঁর বাম পাশ এখন সম্পূর্ণ চেতনহীন। অন্যের সাহায্য ছাড়া দাঁড়াতেই পারেন না। চোখে ঝাপসা দেখেন। নিভৃতচারী এই শিল্পীর দীর্ঘ মেয়াদী চিকিৎসা প্রয়োজন। সেই সাথে প্রয়োজন একটি মোটা একটা অংকের অর্থ। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সেই সামর্থ্য নেই। তাই তাঁকে সুস্থ করে তুলতে হলে আমাদের মত ভক্ত, অনুরাগীরাদেরকেই এগিয়ে আসতে হবে। জাক এই সুরসিক ইতিহাসবেত্তার সুচিকিৎসার জন্য ইতোমধ্যে সদস্য ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের মাধ্যমে একটি তহবিল গঠন করছিল। উত্তোলিত তহবিলের একটি অংশ সেখানে লোক মারফত তার চিকিৎসার জন্যও পাঠানো হয়েছিল। আসুন, আমরা সকল মানবতবাদী মানুষ গুণী এই সংগীত শিল্পীকে পুরোপরি সুস্থ করে তুলতে তার প্রতি সহায়তা আর সহানুভূতির হাত বাড়িয়ে দিই। আমার-আপনার-সবার প্রদত্ত সামান্য অর্থ সহায়তা হয়তো তার জন্য অনেক বড় অংকের একটা তহবিল গঠন করতে পারে। যা তাঁকে সুস্থ করে ফিরিয়ে আনতে পারে আমাদের মাঝে।
তাঁর চিকিৎসা এবং তহবিল সংক্রান্ত তথ্য জানার জন্য যোগাযোগ করুন :-
১। শিশির চাকমা- (০১৫৫৬-৫৩০ ৬৩৭)
২। ঝিমিত ঝিমিত চাকমা - (০১৮৩৯-৯২৭ ১৪৫)
৩। মৃত্তিকা চাকমা- (০১৮১৫-৬৬২ ৯২৮);
বিকাশ একাউন্টে যাঁরা টাকা পাঠাবেন তাদের সদয় অবগতির জন্য-
বিনয় চাকমা, অর্থ সম্পাদক, জাক - (০১৮২০-১৯৮ ৭৮০)। টাকা পাঠানোর পর অবশ্যই ফোন মারফত জানাবেন।
সকলের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.