প্রজ্ঞাপন জারি নিয়ে তালবাহানা চলবে না
প্রধানমন্ত্রীর কথাই যদি দেশে মানা না হয় তাহলে সে দেশ যে অকার্যকর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলে দিলেন কোটা নিয়ে কোন অগ্রগতি নেই। তাহলে কি আমাদের সাথে এভাবে প্রতারণা করে হয়েছে?
গত ৯ ই এপ্রিল সরকারের পক্ষে মাননীয় মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সাথে ছাত্রদের ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের মিটিং এ সরকারের পক্ষ থেকে ৭ মে এর মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির কথা বলা হয়েছিল।অামরা ও তা মেনে নিয়েছিলাম।
১১ ই এপ্রিল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মহান সংসদে কোটা বাতিলের যুগান্তকারী ঘোষণা দেন।সারা বাংলার ছাত্রসমাজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যুগোপযোগী এ ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে অানন্দ মিছিল করে,"মাদার অফ এজ্যুকেশন"উপাধি প্রদান করে।
কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার অাজ ২৬ দিন এবং সরকারের পক্ষ থেকে প্রজ্ঞাপন দেওয়ার সময় ৭ মে ও পার হয়ে গেছে। এতোদিনেও কোনো প্রজ্ঞাপন জারি হয় নাই।যা ছাত্রসমাজের মধ্যে "প্রজ্ঞাপন জারি" হবে কি না, এ নিয়ে সংশয়ের সৃষ্টি করেছে। কারন অতীতে ও দেখেছি ও বিভিন্ন সময়ে মিথ্যা অশ্বাস দিয়ে এ অান্দোলনকে থামিয়ে দেয়া হয়েছিল। অার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দিলেন। তারপর ও প্রজ্ঞাপন জারি করা হচ্ছে না কেন?
ছাত্রদেরকে এতো বোকা কিংবা অবুঝ ভাববেন না। ছাত্রসমাজ সবই বুঝে! ছাত্রদের যৌক্তিক নিয়ে দাবি নিয়ে অাপনারা যদি মনে করেন, কোটা বাতিলের কথা কিংবা প্রজ্ঞাপনের অাশ্বাস দিয়ে অান্দোলন থামিয়ে দিয়েছেন। এখন কোটা বাতিল বা প্রজ্ঞাপন জারি না করলে ও কোনো সমস্যা হবে না। তাহলে বলবো অাপনারা ভুল ভাবতেছেন।
শুরু থেকেই ষড়যন্ত্রকারী কুচক্রীমহল এ অান্দোলনকে বিতর্কিত করে, অান্দোলনকারীদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে অান্দোলনকে নস্যাৎ করার অনেক চেষ্টা করেছে। এমনকি সর্বশেষ ঢাবি ভিসি স্যারের বাসায় হামলা চালিয়ে ও দায়ভার অান্দোলনকারীদের উপর চাপিয়ে অান্দোলন বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলার ছাত্রসমাজ কাছে ব্যর্থ হয়েছে।
মনে রাখবেন অসংখ্য ভয়-ভীতি ,হুমকি, গুলি,রাবার বুলেট, টিয়ারগ্যাস উপেক্ষা করেই সারা দেশের ছাত্রসমাজ তাদের ন্যায্য দাবি অাদায়ে রাজপথে নেমেছে। দাবি অাদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল ষড়যন্ত্র /নাটক মোকাবিলায় ছাত্রসমাজ প্রস্তুত।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.