সব চোরের এক রা'

মাত্র এক গ্রাহককে মূলধনের দ্বিগুণ ঋণ দেয়ায় জনতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে শিগগিরই ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। সোমবার জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে গণগ্রন্থাগার দিবসের আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জনতা ব্যাংক একক গ্রাহককে ঋণসীমা অতিক্রম করে ব্যাংকের মূলধনের দ্বিগুণ ঋণ দিয়েছে। এ বিষয়ে জনতা ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাতই ব্যাংকটিকে শেষ করে দিয়েছেন বলেও মন্তব্য করেছেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাত আমাকে বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ঋণ গ্রহীতা ভালো পার্টি।’
উল্লেখ, জনতা ব্যাংক এক গ্রাহককেই মাত্র ৬ বছরে দিয়েছে ৫ হাজার ৫০৪ কোটি টাকার ঋণ ও ঋণসুবিধা। নিয়মনীতি না মেনে এভাবে ঋণ দেয়ায় বিপদে পড়েছে ব্যাংকটি। আর গ্রাহকও ঋণ পরিশোধ করতে পারছেন না।
ভাগ্যবান এই গ্রাহক হচ্ছে এননটেক্স গ্রুপ। এর পেছনের মূল ব্যক্তি হচ্ছেন মো. ইউনুস (বাদল)। তিনি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। তারই স্বার্থসংশ্লিষ্ট ২২ প্রতিষ্ঠানের নামে সব ঋণ নেয়া হয়। তার মূল ব্যবসা বস্ত্র উৎপাদন ও পোশাক রফতানি।
জনতা ব্যাংকের মোট মূলধন ২ হাজার ৯৭৯ কোটি টাকা। মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দেওর সুযোগ আছে। অর্থাৎ এক গ্রাহক ৭৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পেতে পারেন না। দেয়া হয়েছে মোট মূলধনের প্রায় দ্বিগুণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবুল বারকাতের চেয়ারম্যান থাকার সময় এই অর্থ দেয়া হয়। ২০০৯ সালের ৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ বছর জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি।
এ সময় ব্যাংকের পর্ষদ সদস্য ছিলেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সাবেক সহসম্পাদক নাগিবুল ইসলাম ওরফে দীপু, টাঙ্গাইলের কালিহাতী আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী যুবলীগ নেতা আবু নাসের প্রমুখ।
এই সরকারের আমলে চলছে ব্যাংকিং খাতে ব্যাপক অস্থিরতা। একদিকে যেমন চলছে সরকারি ব্যাংকগুলোতে লুটপাট। অন্যদিকে একের পর এক বেসরকারি ব্যাংক দখল করছে ডিজিএফআই নেতৃত্বে সরকার। আবার এদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীর, মুন্তাসির মামুন, ছাত্রলীগ নেতা নাজমুলসহ কিছু সরকার দলীয় লোক খেয়ে ফেলেছে ফারমার্স ব্যাংকের সব আমানত। ব্যাংকটি এখন দেউলিয়া।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ১ টি
১২ ফেব্রুয়ারি ’১৮ রাত ১২:০৯
ফিয়া:
এইসব হাজার কোটি টাকা লোপাটের কোন বিচার নেই। বেগম জিয়ার কেন ব্যাংকে টাকা থেকে গিয়েছে এই নিয়ে বিচার হয়েছে।