প্রমথ চৌধুরী লিখে গেছেন,
"ব্যাধীই সংক্রামক, স্বাস্থ্য নহে!"

এই কথার যথার্থতা খুঁজে পাই
যখন দেখি একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে বা মেয়ে উঠে পড়ে লেখে যায় তার কাছের সো কলড হাইক্লাস বন্ধুটির চালচলন, বেশ-ভূষা, আচার-আচরণ এবং বাচনভঙ্গী অনুকরণে।
ফলস্বরূপ, সেই ছেলেটি বা মেয়েটি হারিয়ে ফেলে তার স্বকীয়তা,
তার মূল্যবোধ, নীতিবোধ, আত্মসম্মানবোধ এমনকি স্বাভাবিক মানবতা বোধও।
তার চোখে লেগে থাকে ঘোর, এক রঙীন দুনিয়ার পেছনে ঘুরতে ঘুরতে তার ভেতরে বাসা বাঁধে কতিপয় ব্যাধি, যেমন- উচ্ছৃঙ্খল চলাফেরা,
নেশাদ্রব্যে আসক্তি, অপচয়, পিতামাতার অবাধ্যতা
,উন্নাসিকতা, অহংকার, হীনমন্যতা, ঔদ্ধত্য ।
যে ব্যাধিগুলো তার ভেতরে সংক্রমিত হয়েছে সেই তথাকথিত আপার ক্লাস বন্ধুটির কাছ থেকে।
ভদ্রতা, নম্রতা, মার্জিত আচরণ করাকে এরা নিজেদের দূর্বলতা ভাবতে থাকে, যেমনটি ভাবে তার উচ্চ শ্রেণীর (!) বন্ধুরা।
হীনমন্যতা বাসা বাঁধে নিজের অজান্তে,
যখন দেখে তার উঁচু মর্যাদার বন্ধুটি
দামি পোশাক, দামি খাদ্য, দামি ব্যবহার্য বস্তু
মেঘ না চাইতেই জলের মত পাচ্ছে,
আর তার ভাগ্যে জুটছে ফুটপাথের রুটিকলা
(রিক্সাওয়ালার নাস্তা!!!),
ভ্যানপ্লাজা'র চটি জুতো,
নিউমার্কেট এর রিজেক্টেড গার্মেন্টস পোশাক।
এই হীনমন্যতা তাকে পরিবার বিদ্বেষী করে তোলে,
অবাধ্য করে তোলে।

বাবা-মা কে নির্দ্বিধায় প্রশ্ন করে ফেলে,
"তোমরা আমাকে কি দিয়েছো????"

ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ