ফাঁসি দিয়ে কোন আন্দোলনই বন্ধ করে দেয়া যায়না!
মুসলীম ব্রাদারহুডের রাষ্ট্র ক্ষমতা গ্রহনের বিষয়টিকে কোন ভাবেই মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনী নাসের,মোবারক ও পশ্চিমাদের মদদপুষ্ট বামপন্থি ও সেনাবাহিনী।ফলে ষঢ়যন্ত্রের দানা বাঁধতে থাকে কিভাবে মুরসীকে ক্ষমতা থেকে ফেলে দেয়া যায়।তারা আবারো সেনাবাহিনীকে গুটি হিসাবে ব্যাবহার করে এবং সফল হয়।মুরসী সহ শত শত নেতা কর্মীদের আবারো জেলে যেতে হয়।যে আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসিকে মুরসী সাহেব সেনাবাহিনী প্রধান বানালেন সেই মুরসিই ক্ষমতার লোভে বাম ও পশ্চিমাদের ইন্দনে সম্পুর্ন অগণতান্তিকভাবে জনগণের নির্বাচত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে হঠিয়ে ক্যুয়ের মাধ্যমে ক্ষমতা গ্রহন করে।ক্ষমতা গ্রহনের সাথে সাথে মুসলীম ব্রাদারহুডকে ধ্বংস করার জন্য সব ধরনের ষঢ়যন্ত্র করতে থাকে।মুরসি সহ সকল প্রথম কাতারের নেতাকর্মীদের জেলে পুরে ফেলেন।সারা মিশরে জরুরী অবস্থা জারি করে।মিছিল মিটিং সহ সব ধরনের গনতান্ত্রিক সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষনা করে।ইসলামী আন্দোলনের যুক্ত সকল ধনী ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ করে দেন।কয়েক শত আন্দোলনকারীকে সেনাবাহিনীর গুলিতে শহিদ করা হয়।শুরু হয় কিভাবে প্রথম কাতারের নেতাদের মেরে ফেলা যায় তার জন্য ষঢ়যন্ত্র।আবারো শুরু করে ফাঁসির রাজনীতি।প্রথমেই মুসলীম ব্রাদারহুডের প্রধান মোহাম্মদ বদিই,মুরসী ও বেলতাগিকে ফাঁসির নির্দেশ দেন সিসির আজ্ঞাবহ বিচার ব্যাবস্থা।ফাঁসির নির্দেশ প্রদানের মাধ্যমে মিশরের সিসি সরকার রেকর্ড গড়েন যা নিউজবুক অব ওয়ার্ল্ডে যায়গার পাবার যোগ্য।কারন মিশরের একটি আদালত এক রায়ে ১৩ শত ব্রাদারহুড কর্মীকে ফাঁসি প্রদান করা হয়।যা এখন পরযন্ত এক রায়ে বেশী মানুষের ফাঁসির রায়।ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেয়নি সিসি।ফাঁসি দিয়ে ইসলামী আন্ধোলন বন্ধ করে দেয়া যায়না জামাল নাসের ও মোবারকের শাসন আমল থেকে অন্তত পক্ষে সিসির শিক্ষা নেয়া উচিত ছিল।আজ হোক আর কাল হোক যেদিনই মিশরে নির্বাচন হবে মুসলীম ব্রাদাহুডই একক ভাবে নির্বাচিত হবে।এই ভয়েই হোসনি মোবারক নিষিদ্ধ করেছিল মুসলীম ব্রাদারহুডকে এবং সিসিও একই ভয়ে মুসলীম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করেছে।ইসলাম ও মুসলীম ব্রাদারহুড মিশরের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের মণিকোঠায় স্থায়ী যায়গা করে নিয়েছে।সিসির যদি সাহস থাকে তাহলে মুসলীম ব্রাদারহুডকে সমান সুযোগ দিয়ে নির্বাচন দিয়ে দেখুক মিশরের জনগণ কাদের রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়।রাষ্ট্রীয় হত্যাকান্ডের ফলে ইসলামী আন্দোলন কখনো দমে যায়না বরং হাজার হাজার ইসলাম প্রিয় মানুষ রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিদ্রোহকরে ইসলামী আন্দোলনের পতাকাতলে এসে জড়ো হতে থাকে।মিশর যার চলমান জ্বলন্ত উদাহরণ।
রুশ বিপ্লব ও তার প্রমাণ। লেলিনের বড় ভাইকে রাষ্ট্র শক্তি অন্যায় ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারলে লেলিন গণআন্দোলন গড়ে তুলে জারদের পতন ঘটান এবং পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করেন।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
রুশ বিপ্লব ও তার প্রমাণ। লেলিনের বড় ভাইকে রাষ্ট্র শক্তি অন্যায় ভাবে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারলে লেলিন গণআন্দোলন গড়ে তুলে জারদের পতন ঘটান এবং পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম কমিউনিজম প্রতিষ্ঠা করেন।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৩ টি
২৩ জুন ’১৬ বিকাল ০৩:০৬
পচাত্তর পরবর্তী সময়ে এদেশে রাজাকারের আবাদ ভালোই হয়েছে। কিছুই বলার নাই। প্রতিটা রাজাকারই চিঙ্গিস খানের মতই ভয়াবহ। সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিনাশ হোক।