গুলিস্তানের চিত্রই গোটা দেশের চিত্র
গত পরশু দিন থেকে গুলিস্তানে অবস্থিত সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ঢাকা ট্রেড সেন্টারে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। একপক্ষে ট্রেড সেন্টারের বৈধ দোকানদার ও ব্যবসায়ী আর অন্য পক্ষে অবৈধ দখলদার হকার।
প্রথম দিনই সঙ্গঘর্ষের কারনে ঢাকা ট্রেড সেন্টার বন্ধ করে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে উল্টো হকারদের পক্ষ থেকে করা হয় মামলা! সেই মামলায় এরেস্ট দেখিয়ে আটক করা হয় মার্কেটের দোকানদার দের! আশ্চর্যজনক হলেও উল্টো যাত্রার এই দৃশ্য দেখা গেছে গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টারে। যেখানে আইনের রক্ষক হবার করা সেখানে পুলিশের এই বিপরিত আচরন দেশে নতুন নয়। এর মূলে রয়েছে অবৈধ আয় বা চাঁদা। জানা গেছে গুলিস্তান কেন্দ্রীক হকারদের নিকট থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেয় পুলিশ। আর ঘটনার কেন্দ্র ঢাকা ট্রেড সেন্টারের আশপাশের হকারদের কাছ থেকে গৃহীত মাসিক চাঁদার পরিমান সর্বোচ্চ ৯০ লাখ টাকায় গিয়েও ঠেকে! প্রথম আলোর এক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। অন্যদিকে মার্কেটের বৈধ দোকানদারদের নিকট থেকে পুলিশের একচেটিয়ে কোন আয় নেই। ফলে বিপুল অবৈধ অর্থের উৎস বন্ধ হবার ভয়েই পুলিশ অবৈধ হকারদের পক্ষ হয়ে কাজ করছে। বন্ধ করে দিচ্ছে ট্রেড সেন্টার, এরেস্ট করছে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদেরকে।
প্রথম আলোর একটি রিপোর্ট মতে হকারদের নেতা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা। এই নেতা দাবি করেছেন পুলিশ তাদের সাথে ভালো আচরন করেছে। অন্যদিকে পুলিশের আদায় করা মোটা অংকের টাকার বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন। অন্যদিকে ট্রেড সেন্টারের দোকানী পক্ষ ঐ রিপোর্টারের নিকট তাদের নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ করেন। ফলে বৈধ মালিক পক্ষের বিপরীতে অবৈধ হকার পক্ষের দিকে পুলিশের এই অবস্থানের কারনটি কারো অজানা নয়। আর পুলিশের দূর্নিতির কারনে আইনের এই অপপ্রয়োগ দিনে দিনে আইন ও পুলিশের ওপর মানুষের বিতশ্রদ্ধ ভাব বাড়িয়ে তুলছে।
নিছক অবৈধ চাঁদার কারনে আইনকে ডাইভার্ট করে পুলিশী স্বেচ্ছাচারিতা যেভাবে মানুষকে গ্রাস করে নিচ্ছে তার আশু সমাধান জরুরি। নচেৎ সরকার, প্রশাসন ও আইনের প্রতি মানুষের ন্যুনতম ভরসাও শেষ হয়ে যাবে।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
প্রথম দিনই সঙ্গঘর্ষের কারনে ঢাকা ট্রেড সেন্টার বন্ধ করে দেয় পুলিশ। অন্যদিকে উল্টো হকারদের পক্ষ থেকে করা হয় মামলা! সেই মামলায় এরেস্ট দেখিয়ে আটক করা হয় মার্কেটের দোকানদার দের! আশ্চর্যজনক হলেও উল্টো যাত্রার এই দৃশ্য দেখা গেছে গুলিস্তানের ঢাকা ট্রেড সেন্টারে। যেখানে আইনের রক্ষক হবার করা সেখানে পুলিশের এই বিপরিত আচরন দেশে নতুন নয়। এর মূলে রয়েছে অবৈধ আয় বা চাঁদা। জানা গেছে গুলিস্তান কেন্দ্রীক হকারদের নিকট থেকে মোটা অংকের চাঁদা নেয় পুলিশ। আর ঘটনার কেন্দ্র ঢাকা ট্রেড সেন্টারের আশপাশের হকারদের কাছ থেকে গৃহীত মাসিক চাঁদার পরিমান সর্বোচ্চ ৯০ লাখ টাকায় গিয়েও ঠেকে! প্রথম আলোর এক রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে। অন্যদিকে মার্কেটের বৈধ দোকানদারদের নিকট থেকে পুলিশের একচেটিয়ে কোন আয় নেই। ফলে বিপুল অবৈধ অর্থের উৎস বন্ধ হবার ভয়েই পুলিশ অবৈধ হকারদের পক্ষ হয়ে কাজ করছে। বন্ধ করে দিচ্ছে ট্রেড সেন্টার, এরেস্ট করছে দোকান মালিক ও ব্যবসায়ীদেরকে।
প্রথম আলোর একটি রিপোর্ট মতে হকারদের নেতা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা। এই নেতা দাবি করেছেন পুলিশ তাদের সাথে ভালো আচরন করেছে। অন্যদিকে পুলিশের আদায় করা মোটা অংকের টাকার বিষয়টিও তিনি স্বীকার করেন। অন্যদিকে ট্রেড সেন্টারের দোকানী পক্ষ ঐ রিপোর্টারের নিকট তাদের নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ করেন। ফলে বৈধ মালিক পক্ষের বিপরীতে অবৈধ হকার পক্ষের দিকে পুলিশের এই অবস্থানের কারনটি কারো অজানা নয়। আর পুলিশের দূর্নিতির কারনে আইনের এই অপপ্রয়োগ দিনে দিনে আইন ও পুলিশের ওপর মানুষের বিতশ্রদ্ধ ভাব বাড়িয়ে তুলছে।
নিছক অবৈধ চাঁদার কারনে আইনকে ডাইভার্ট করে পুলিশী স্বেচ্ছাচারিতা যেভাবে মানুষকে গ্রাস করে নিচ্ছে তার আশু সমাধান জরুরি। নচেৎ সরকার, প্রশাসন ও আইনের প্রতি মানুষের ন্যুনতম ভরসাও শেষ হয়ে যাবে।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ২ টি