মেয়ের বাবা হিসাবে চিন্তিত!
নিরাপত্তাই প্রথম,সবকিছুর উর্ধে। যেকোন বড় বড় স্থাপনা তৈরির সময় নিয়মাবলির সাথে এই লেখাটি বড় হরফে লেখা থাকে। নিজের জিবনই যদি বিপন্ন হয়,তাহলে কার জন্য আমি অর্থ উপার্জন করবো বলেন। আবার একই ভাবে,আমার পরিবার পরিজনকে নিরাপত্তাহীনতায় রেখে অন্যের সেবা করে, কি লাভ বলেন। আমিতো আমার পরিবারের জন্যই সকাল থেকে সন্ধ্যা নাগাদ রাষ্ট্রের গোলামী করছি,রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য! কিন্তু সেই রাষ্ট্র যদি আমার পরিবারের প্রতিটি মানুষকে নিরাপত্তা না দেয়,আমাকে নিরাপত্তা না দেয়, তাহলে কোথায় যাই বলেন ! আমার মেয়ের বয়স বর্তমানে পাঁচ বছর। আমি অথবা আমার অর্ধাঙ্গী মানে মেয়ের মা তাকে সাথে করে স্কুলে নিয়ে যায়-আসে। তাকে স্কুলে দিয়ে অধির আগ্রহে বসে থাকি আমার মেয়ের অপেক্ষায়,কখন সে স্কুল থেকে বের হবে,অতপর তাকে নিয়ে বাড়ি ফিরবো। কিন্তু আমার মেয়ের বয়স যখন বারো কিংবা চৌদ্দ হবে,তখন কি হবে,সেটা নিয়ে বড় চিন্তিত আমি! কোন লম্পট পুরুষ যদি তার গতিরোধ করে শ্লীলতাহানী করে,সে যদি হয় পুলিশ,বিডিআর অথবা সেনাবাহিনীর! আর মহান রাষ্ট্রের আপসহীন মহান নারী অধিপতি যদি লম্পটের সাথে আপস করে ফেলেন,তাহলে একজন মেয়ের বাবা হিসাবে চিন্তিত হওয়া ছাড়া আর কি, করার আছে বলুন!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৫ টি
২৭ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৫:২৭
এই প্রশ্নের জবাব দেয়ার ন্যুনতম সাহস এই রাষ্ট্রের নাই। ধিক শত ধিক!!!
৩০ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৪:৫১
আমার কথাটাই আপনি বলে দিলেন,ধন্যবাদ সাইক্লোন।তনু হত্যার বিচার চাই,করতে হবে