জামায়াতের শক্তির উৎস!
স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধীতাকারী,গণহত্যার দায়ে যাদের ফাঁসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে মারা হচ্ছে,তাদেরতো সাপোর্টার থাকার কথা ছিলনা। সাপের্টার থাকলেও সেই সংখ্যাটাতো জ্যামিতিক হারে বাড়ার কথা ছিলনা। ছিলনা বাংলাদেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে তাদের সমর্থন পুষ্ট ছাত্র সংগঠন ছাত্রশিবিরের আধিপত্য স্থাপনের সুযোগ। হুহু করে বেড়ে উঠছে ইসলামী মুল্যবোধে বিশ্বাসী অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান সহ সামাজিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। যেসব প্রতিষ্ঠানের অর্থের উপর দাড়িয়ে জামায়াতে ইসলাম তাদের দ্বীন প্রতিষ্ঠানের আন্দোলনকে তীব্র গতিতে এগিয়ে নিচ্ছে। একদিকে জামায়াতের নেতাদের কে মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য যখন ফাসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে মারা হচ্ছে অন্যদিকে তাদের রাজনৈতিক ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষনা করার সার্বিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন সরকার মহোদয়। এমতাবস্থায় উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতকে তো ভোট দিয়ে নির্বাচিত করার কথা ছিলনা। সরকার যাকে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদন্ড দিলেন সেই সাঈদীর ছেলে শামিম সাঈদীতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবার কথা নয়! কারা ভোট দিয়ে তাকে সহ অনেক জামায়াত নেতাকে নির্বাচিত করলেন। একশ্রেণীর লোক নাকি বহুশ্রেণীর লোকের ভোটের মাধ্যমে তারা নির্বাচিত হলেন! একশ্রেণী বলতে যদি শুধু জামায়াত ইসলামী বুঝানো হয় কিংবা তাদের সাপোর্টারকে বুঝানো হয়, তাহলে মনে হয় ভুল হবে। কারন শুধু জামায়াতীদের ভোটে এতগুলো চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান জয়ী হওয়া সম্ভব নয়। তাদের ভোটের আনুপাতিক হার সেটাই বলে। তাহলে কি গণ মানুষের কাছে জামায়াত ইসলাম দিন দিন গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে! যদি সেটাই সত্য হয় তাহলে এর কারন কি?
আদর্শের প্রতি অটুট থাকা
সাম্যের ধর্ম ইসলাম যতদিন না রাষ্ট্রীয় বিধান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ততদিন আন্দোলন চলবে। কোন অশুভ শক্তিই জামায়াতকে এ পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবেনা। যাদের জিবন,মরণ,চাওয়া-পাওয়া সবকিছু তাদের সৃষ্টিকর্তার জন্য, তারাইতো অটুট থাকবে তাদের আদর্শের উপর। যারা এই জিবনের কষ্টের মাধ্যমে পরজিবনের সুখ-শান্তি ক্রয় করতে চায় তাদেরকে আদর্শ থেকে বিচ্যুত করা সম্ভব নয়!
সামান্য বিপদে ছন্নছাড়া হয়ে গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এমনও হয়েছে দীর্ঘদিন তাদেরকে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। আবার এমনও হয়েছে জানের নিরাপত্তার জন্য রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন অথবা সরকারী দলে নাম লিখিয়েছেন। ১৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের মত ত্যাগী দেশ প্রেমিক দলের নেতাদের কে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নী। মৃত্যুর ভয়ে অনেকে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে,দল ত্যাগ করে মোস্তাকের সরকারে যোগদান করেছে। এভাবে আর যাইহোক, আদর্শের প্রতি অটুট থাকা যায়না। যদিও আওয়ামী-বিএনপির আদর্শের ব্যাপারে সবারই সন্দেহ আছে। ক্ষমতার মসনদে বসে নিজের পকেট ভারী করাই যাদের আদর্শ,তাদের প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে কি করে! জিয়া হত্যার পরে একই অবস্থা হয়েছে বিএনপির। তাদের অনেকেই জাতীয়তাবাদী দল ত্যাগ করে সামান্য স্বার্থের জন্য স্বৈরশাসক এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছিল। একমাত্র রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, শত আপদ-বিপদেও ইসলামী মূলীবোধের উপর অটুট থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড বেগবান করেছে। ব্যাক্তি স্বার্থের কাছে দলীয় বা সামষ্টিক স্বার্থকে জলাঞ্জলী দেওয়ার রেকর্ড জামায়াতী ইসলামের নেই। স্বাধিনতার পরে তাদের রাজনৈতিক স্বাধিনতা কেড়ে নেওয়া হলেও স্বাভাবিক গতিতে গোপনে গোপনে রাজনৈতিক কর্মকান্ড ঠিকই পরিচালনা করেছেন। বর্তমান সময়ে যখন আওয়ামীলীগ সরকার তাদের রাজনৈতক নিবন্ধন বাতিল করছে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে মারছে তখনও জামায়াত রাজনীতি থেকে পিছে হঠে যায়নি। বরং তাদের আন্দোলন কে আরো গতিশীল করেছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। জিবন দিয়ে হলেও আদর্শের প্রতি অটুট থাকার যে নিদর্শন জামায়াত দেখাতে পেরেছে সেটাই জামায়াতকে আপামর শ্রেণীর মানুষের কাছে দিনকে দিন গ্রহনযোগ্য করে তুলছে।
শুধু জামায়াত নয়,পৃথিবীর যেকোন দলই যদি সর্বদা তাদের আদর্শের উপর অটল থাকে,তাহলে আপামর জনসাধারণের কাছে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করতে বাধ্য।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
আদর্শের প্রতি অটুট থাকা
সাম্যের ধর্ম ইসলাম যতদিন না রাষ্ট্রীয় বিধান হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হচ্ছে ততদিন আন্দোলন চলবে। কোন অশুভ শক্তিই জামায়াতকে এ পথ থেকে বিচ্যুত করতে পারবেনা। যাদের জিবন,মরণ,চাওয়া-পাওয়া সবকিছু তাদের সৃষ্টিকর্তার জন্য, তারাইতো অটুট থাকবে তাদের আদর্শের উপর। যারা এই জিবনের কষ্টের মাধ্যমে পরজিবনের সুখ-শান্তি ক্রয় করতে চায় তাদেরকে আদর্শ থেকে বিচ্যুত করা সম্ভব নয়!
সামান্য বিপদে ছন্নছাড়া হয়ে গেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এমনও হয়েছে দীর্ঘদিন তাদেরকে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নি। আবার এমনও হয়েছে জানের নিরাপত্তার জন্য রাজনীতি ছেড়ে দিয়েছেন অথবা সরকারী দলে নাম লিখিয়েছেন। ১৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে আওয়ামী লীগের মত ত্যাগী দেশ প্রেমিক দলের নেতাদের কে রাজনীতির ময়দানে দেখা যায়নী। মৃত্যুর ভয়ে অনেকে বাংলাদেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে,দল ত্যাগ করে মোস্তাকের সরকারে যোগদান করেছে। এভাবে আর যাইহোক, আদর্শের প্রতি অটুট থাকা যায়না। যদিও আওয়ামী-বিএনপির আদর্শের ব্যাপারে সবারই সন্দেহ আছে। ক্ষমতার মসনদে বসে নিজের পকেট ভারী করাই যাদের আদর্শ,তাদের প্রতি মানুষের আস্থা থাকবে কি করে! জিয়া হত্যার পরে একই অবস্থা হয়েছে বিএনপির। তাদের অনেকেই জাতীয়তাবাদী দল ত্যাগ করে সামান্য স্বার্থের জন্য স্বৈরশাসক এরশাদের জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেছিল। একমাত্র রাজনৈতিক দল জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, শত আপদ-বিপদেও ইসলামী মূলীবোধের উপর অটুট থেকে রাজনৈতিক কর্মকান্ড বেগবান করেছে। ব্যাক্তি স্বার্থের কাছে দলীয় বা সামষ্টিক স্বার্থকে জলাঞ্জলী দেওয়ার রেকর্ড জামায়াতী ইসলামের নেই। স্বাধিনতার পরে তাদের রাজনৈতিক স্বাধিনতা কেড়ে নেওয়া হলেও স্বাভাবিক গতিতে গোপনে গোপনে রাজনৈতিক কর্মকান্ড ঠিকই পরিচালনা করেছেন। বর্তমান সময়ে যখন আওয়ামীলীগ সরকার তাদের রাজনৈতক নিবন্ধন বাতিল করছে এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ফাসির কাষ্ঠে ঝুলিয়ে মারছে তখনও জামায়াত রাজনীতি থেকে পিছে হঠে যায়নি। বরং তাদের আন্দোলন কে আরো গতিশীল করেছে বিভিন্ন পদ্ধতিতে। জিবন দিয়ে হলেও আদর্শের প্রতি অটুট থাকার যে নিদর্শন জামায়াত দেখাতে পেরেছে সেটাই জামায়াতকে আপামর শ্রেণীর মানুষের কাছে দিনকে দিন গ্রহনযোগ্য করে তুলছে।
শুধু জামায়াত নয়,পৃথিবীর যেকোন দলই যদি সর্বদা তাদের আদর্শের উপর অটল থাকে,তাহলে আপামর জনসাধারণের কাছে গ্রহনযোগ্যতা অর্জন করতে বাধ্য।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ১০ টি
২০ মার্চ ’১৬ সন্ধ্যা ০৭:৩৪
জামায়াতের যতই সমালোচনা করিনা কেন,এদের আদর্শিক ভিত্তি অনেক শক্তিশালী।
২০ মার্চ ’১৬ রাত ০৮:০৯
জামাতীর মনে জামাত জামাত। আর কেউ এদের মত কুলাংগারকে পছন্দ করেনা । করতে পারেনা।
২১ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৩:৫০
ঐক্য আর আদর্শ এক জিনিস নয়।আদর্শ ছিলোনা বলেই হিটলার বাহিনী ধ্বংস হয়ে গেছে।কিন্তু জামাতীরা যে আদর্শে বিশ্বাসী সেটার আগ্রহ দিনদিন বাড়ছে