তারুন্যের ভেজাল বিরোধী অভিযান শুরু
কবির ভাষায় বলতে হয়“আমরা যদি না জাগি মা,সকাল হবে নাকো! সত্যিই তাই,আমরা মানে তরুনরা না জাগলে একটি নির্মল ভোরের প্রত্যাশা করাটা বাতুলতা ছাড়া আর কিছুই নয়। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে একাত্তরের স্বাধিনতা আন্দোলন সফল হওয়ার পিছনে তারুন্যের রয়েছে গৌরব গাঁথা অবদান। তারুন্যে টগবগে তরুন মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম কিংবা টিটো যদি তাদের জীবনের মায়া ত্যাগ করে অস্ত্র হাতে না নিত স্বাধীনতার স্বপ্ন,স্বপ্নই থেকে যেত। শুধু তাই নয় ২০০৮ সালের সেনা সমর্থিত অবৈধ দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারকে হঠিয়ে কিভাবে গনতন্ত্র কায়েম করতে হয় সেই স্বপ্নটাও দেখিয়েছে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া তরুনরা। আমাদের ভরসার শেষ যায়গাটা তাই তারুন্য।
দুর্নীতি থেকে শুরু করে সকল ধরনের ভেজালে আজ আমাদের সোনার বাংলাদেশ তার সোনালী আভা হারাতে বসেছে। চারদিকে ভেজালের সয়লাব। নিত্য প্রয়োনীয় শাক-সবজি থেকে শুরু করে সকল ধরনের ফলে আজ কার্বাইড মিশিয়ে বিষে পরিনত করা হচ্ছে। আমরা টাকা দিয়ে বিষ কিনে খাচ্ছি আর ধিরে ধিরে মৃত্যেুর দিকে ঢলে পড়ছি।তবু যেন কারও কোন বিকার হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে,এ ব্যাপারে আমাদের যেন কারো কিছু করার নেই। বাঁচতে হলে খেতে হবে, সেটা হোকনা কেন ভেজাল যুক্ত খাবার! আমাদের মৌন সম্মতিই অসাধু ব্যবসায়ীদের পণ্যে ভেজাল মিশাতে উৎসাহী করছে।
আমাদের মনে থাকার কথা,২০১৪ সালে আম ও লিচুতে কার্বাইড মিশানোর কারনে গণমাধ্যমে ব্যাপক নিউজ করা হয়েছিল। এর ফলে আমাদের মত অনেক ভোক্তারা প্রচুর পরিমানে আম খেতে পারেনী। হাজার হাজার মন আম ও লিচু রাস্তায় ফেলে বুলডোজার দিয়ে পিশে ফেলা হয়েছিল। আর যে সমস্ত আম ও লিচু পানিতে ফেলা দেয়া হয়েছিল সেগুলো তুলে ফুটপাতের প্রান্তিক পরযায়ের মানুষেরা ভক্ষন করে সাস্থ্যহানিতে ভুগেছিল। আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছিলাম,কোন প্রতিবাদ করেনী বা কি করনীয় ছিল সেটা ভাববার সময়ও আমাদের হয়নী। যার কারনে আম উৎপাদনকারী কৃষক থেকে শুরু করে হাজার হাজার ব্যাবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার লোকসানে পড়ে। দেশ আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হ্ওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট হয়। যে দেশে মসলা থেকে শুরু করে সকল ধরনের শাক-সবজি,ফল-ফ্রুটস এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে ভেজাল মেশানো হয় সে দেশ দূর্নীতিতে প্রথম হওয়া ছাড়া উপায় কি বলেন!? শুধু মাত্র কার্বাইড যুক্ত আম বেশি পরিমানে খাবার কারনে ২০১৪ সালে শত শত শিশু সহ অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ অসুস্থ হয়েছিল সর্বপরি ৫ জন শিশু ভেজাল/ বিষ আম খেয়ে মৃত্যু বরণও করেছিল। তার পরও আমরা কোন সামাজিক ভাবে প্রতিবাদ করিনী। আন্দোলনতো দুরের কথা একটি মানব বন্ধন করার মত সৎ সাহস আমরা দেখাতে পারেনী। আমরা ভেজাল মুক্ত একটি সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে ব্যর্থ হয়েছি।ফলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম আজ ধ্বংসের মুখে!
যাদের জেগে ওঠায় ভোরের উদয় হয় সেই সকল তরুনরাই আমাদের শেষ ভরসা। আজ ষোল কোটি বাঙ্গালীর মধ্যে প্রায় অর্ধেক হল তরুন।তাদের একটি সিদ্ধান্তই পারে আমাদের কে নতুন সমাজের চিত্র একে দিতে। যে সমাজে থাকবেনা কোন দুর্নীতি,থাকবেনা কোন ভেজালের চিহ্ন। সমাজের প্রতিটি মানুষ নিশ্চিন্তে পেট পুরে আম,জাম,লিচু সহ সকল ধরনের ফল খেতে পারবে। নির্দিধায় কোন ধরনের সংকোচ ছাড়াই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে। সর্বপরি সাস্থ্যসম্মত ঠিক এসএম সুলতানের মানস পটে চিত্রিত স্বাস্থ্য সম্মত বলিষ্ঠ বাংলাদেশ গড়তে পারবে।
কনজ্যুমার কেয়ার সোসাইটি এ সকল চিন্তা ভাবনাকে সামনে রেখে, কিভাবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুনদের ভেজাল বিরোধী সমাজ গঠনে সামিল করা যায় সেই চিত্র মানস পটে আকতে থাকে।এ চিন্তা আজকের নয় প্রায় দু-বছর আগের। আমাদের এই চিন্তা গুলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুন-তরুনীর সাথে শেয়ার করলে তারা খুব আন্তরিকতার পরিচয় দেয়। তারা আমাদের এই আশ্বাস দেয় যে,আমরা আপনাদের সাথে কাজ করতে চাই। যারা আমাদের সাথে ভেজাল বিরোধী আন্দোলন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল তাদেরকে নিয়ে আমরা একটি কমিটি করার চিন্তা করতে থাকি যেটির নাম হবে,কনজ্যুমার ইয়্যুথ,।অবশেষে এসে ধরা দেয় সেই মাহেন্দ্রক্ষন। প্রায় ৩০ জন তরুন-তরুনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গঠিত হয় বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ভেজাল বিরোধী ছাত্র সংগঠন কনজ্যুমার ইয়্যুথ,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। উপষ্থিত সবার একটি কথা আমার খুব ভাল লেগেছে সেটি হল“নিজে ভেজাল মুক্ত থাকার পাশাপাশি সমাজকে ভেজাল মুক্ত রাখব”। ভেজাল বিরোধী প্রথম ছাত্র সংগঠন কনজ্যুমার ইয়্যুথ’জাহাঙ্গীরনগরের কমিটির অন্যতম সদস্যরা হলেন,উপদেষ্টা-আব্দুর রহমান স্যার পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট,উপদেষ্টা-এএ মামুন স্যার ফিজিক্স ডিপার্টমেন্ট,সভাপতি-শরিফুল ইসলাম শরিফ,সেক্রেটারী-রাইহান।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
দুর্নীতি থেকে শুরু করে সকল ধরনের ভেজালে আজ আমাদের সোনার বাংলাদেশ তার সোনালী আভা হারাতে বসেছে। চারদিকে ভেজালের সয়লাব। নিত্য প্রয়োনীয় শাক-সবজি থেকে শুরু করে সকল ধরনের ফলে আজ কার্বাইড মিশিয়ে বিষে পরিনত করা হচ্ছে। আমরা টাকা দিয়ে বিষ কিনে খাচ্ছি আর ধিরে ধিরে মৃত্যেুর দিকে ঢলে পড়ছি।তবু যেন কারও কোন বিকার হচ্ছেনা। মনে হচ্ছে,এ ব্যাপারে আমাদের যেন কারো কিছু করার নেই। বাঁচতে হলে খেতে হবে, সেটা হোকনা কেন ভেজাল যুক্ত খাবার! আমাদের মৌন সম্মতিই অসাধু ব্যবসায়ীদের পণ্যে ভেজাল মিশাতে উৎসাহী করছে।
আমাদের মনে থাকার কথা,২০১৪ সালে আম ও লিচুতে কার্বাইড মিশানোর কারনে গণমাধ্যমে ব্যাপক নিউজ করা হয়েছিল। এর ফলে আমাদের মত অনেক ভোক্তারা প্রচুর পরিমানে আম খেতে পারেনী। হাজার হাজার মন আম ও লিচু রাস্তায় ফেলে বুলডোজার দিয়ে পিশে ফেলা হয়েছিল। আর যে সমস্ত আম ও লিচু পানিতে ফেলা দেয়া হয়েছিল সেগুলো তুলে ফুটপাতের প্রান্তিক পরযায়ের মানুষেরা ভক্ষন করে সাস্থ্যহানিতে ভুগেছিল। আমরা শুধু চেয়ে চেয়ে দেখেছিলাম,কোন প্রতিবাদ করেনী বা কি করনীয় ছিল সেটা ভাববার সময়ও আমাদের হয়নী। যার কারনে আম উৎপাদনকারী কৃষক থেকে শুরু করে হাজার হাজার ব্যাবসায়ীরা কোটি কোটি টাকার লোকসানে পড়ে। দেশ আর্থিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হ্ওয়ার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলে দেশের ভাবমূর্তি চরমভাবে নষ্ট হয়। যে দেশে মসলা থেকে শুরু করে সকল ধরনের শাক-সবজি,ফল-ফ্রুটস এবং নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যে ভেজাল মেশানো হয় সে দেশ দূর্নীতিতে প্রথম হওয়া ছাড়া উপায় কি বলেন!? শুধু মাত্র কার্বাইড যুক্ত আম বেশি পরিমানে খাবার কারনে ২০১৪ সালে শত শত শিশু সহ অনেক প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ অসুস্থ হয়েছিল সর্বপরি ৫ জন শিশু ভেজাল/ বিষ আম খেয়ে মৃত্যু বরণও করেছিল। তার পরও আমরা কোন সামাজিক ভাবে প্রতিবাদ করিনী। আন্দোলনতো দুরের কথা একটি মানব বন্ধন করার মত সৎ সাহস আমরা দেখাতে পারেনী। আমরা ভেজাল মুক্ত একটি সমাজ গড়ার স্বপ্ন দেখতে ও দেখাতে ব্যর্থ হয়েছি।ফলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম আজ ধ্বংসের মুখে!
যাদের জেগে ওঠায় ভোরের উদয় হয় সেই সকল তরুনরাই আমাদের শেষ ভরসা। আজ ষোল কোটি বাঙ্গালীর মধ্যে প্রায় অর্ধেক হল তরুন।তাদের একটি সিদ্ধান্তই পারে আমাদের কে নতুন সমাজের চিত্র একে দিতে। যে সমাজে থাকবেনা কোন দুর্নীতি,থাকবেনা কোন ভেজালের চিহ্ন। সমাজের প্রতিটি মানুষ নিশ্চিন্তে পেট পুরে আম,জাম,লিচু সহ সকল ধরনের ফল খেতে পারবে। নির্দিধায় কোন ধরনের সংকোচ ছাড়াই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ক্রয় করে বাড়িতে নিয়ে যেতে পারবে। সর্বপরি সাস্থ্যসম্মত ঠিক এসএম সুলতানের মানস পটে চিত্রিত স্বাস্থ্য সম্মত বলিষ্ঠ বাংলাদেশ গড়তে পারবে।
কনজ্যুমার কেয়ার সোসাইটি এ সকল চিন্তা ভাবনাকে সামনে রেখে, কিভাবে কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুনদের ভেজাল বিরোধী সমাজ গঠনে সামিল করা যায় সেই চিত্র মানস পটে আকতে থাকে।এ চিন্তা আজকের নয় প্রায় দু-বছর আগের। আমাদের এই চিন্তা গুলো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু তরুন-তরুনীর সাথে শেয়ার করলে তারা খুব আন্তরিকতার পরিচয় দেয়। তারা আমাদের এই আশ্বাস দেয় যে,আমরা আপনাদের সাথে কাজ করতে চাই। যারা আমাদের সাথে ভেজাল বিরোধী আন্দোলন করার আগ্রহ প্রকাশ করেছিল তাদেরকে নিয়ে আমরা একটি কমিটি করার চিন্তা করতে থাকি যেটির নাম হবে,কনজ্যুমার ইয়্যুথ,।অবশেষে এসে ধরা দেয় সেই মাহেন্দ্রক্ষন। প্রায় ৩০ জন তরুন-তরুনীর সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গঠিত হয় বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ভেজাল বিরোধী ছাত্র সংগঠন কনজ্যুমার ইয়্যুথ,জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। উপষ্থিত সবার একটি কথা আমার খুব ভাল লেগেছে সেটি হল“নিজে ভেজাল মুক্ত থাকার পাশাপাশি সমাজকে ভেজাল মুক্ত রাখব”। ভেজাল বিরোধী প্রথম ছাত্র সংগঠন কনজ্যুমার ইয়্যুথ’জাহাঙ্গীরনগরের কমিটির অন্যতম সদস্যরা হলেন,উপদেষ্টা-আব্দুর রহমান স্যার পাবলিক হেলথ ডিপার্টমেন্ট,উপদেষ্টা-এএ মামুন স্যার ফিজিক্স ডিপার্টমেন্ট,সভাপতি-শরিফুল ইসলাম শরিফ,সেক্রেটারী-রাইহান।
এর পরেই আমাদের দৃষ্টি নিবন্ধিত হতে থাকে কিভাবে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর ছাত্র/ছাত্রীদেরকে ভেজাল বিরোধী আন্দোলনের সাথে যুক্ত করা যায়। ৫২ থেকে ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, সকল গনতান্ত্রিক আন্দোলনে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের বিরত্বগাথা ইতিহাস। প্রাচ্যের অক্সফোর্ড কে ব্যাতিত ভেজাল বিরোধী আন্দোলনের কথা আমরা স্বপ্নেও ভাবিনী! আমাদের মগজে সারাক্ষনই খেলা করছিল কত দ্রুত তাদেরকে এই আন্দোলনে যুক্ত করা যায়! যাইহোক ভাবনার একপর্যায়ে আমাদের মনের লুকানো কথাগুলো কিছু তরুনদের সামনে উপস্থাপন করতেই তারা একবাক্যে রাজি হয়ে যায় ভেজাল বিরোধী আন্দোলনে যুক্ত হতে। যাদের মধ্যে সুমাইয়া বিনতে কামাল ও ইমরান আহসান উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক এম আখতারুজ্জামান স্যারের কথা না বললেই নয় যিনি আমাদেরকে সব ধরনের সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত যায়গায় ভেজাল বিরোধী সংগঠন করার সাহস পেয়েছিলাম। অবশেষে এম আখতারুজ্জামান স্যারকে উপদেষ্টা,সুমাইয়া বিনতে কামালকে আহবায়ক এবং ইমরান আহসান কে যগ্ম আহবায়ক করে আহবায়ক কমিটি দিতে সক্ষম হই আমরা। এই আহবায়ক কমিটিতে আরো ২০ জন সদস্য রয়েছে।তাদের একটিই কথা,খাদ্যে ভেজাল যেখানে, লড়াই হবে সেখানে। নিরব গণহত্যাকে নিশ্চিহ্ন করতেই ভেজাল বিরোধী আন্দোলনকে সামনের দিকে এগিয়ে নেবার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে তারা। কনজ্যুমার ইয়্যুথ ছড়িয়ে পড়ুক সারা বাংলাদেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে।ভেজাল যেখানে তারুন্যের লড়াই সেখানে।ভেজাল মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার দীপ্ত শ্লোগানে এগিয়ে যাক কনজ্যুমার ইয়্যুথ বাংলাদেশ।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৫ টি
০৮ ফেব্রুয়ারি ’১৬ রাত ০৮:৪৫
জয় হো কনজ্যুমার ইয়্যুথ। আপনাদের আন্তরিকতা দেশে সত্যিই ইর্ষা হচ্ছে!