একজন বিচারকের মন্তব্য এবং গ্রামের ছেলের তুষ্টি
সেদিন কোর্টে গিয়ে বসে আছি। একটা চার্জের মামলা চলছিল। তবে মামলাটির চার্জ ফ্রেম আগে হয়ে যাওয়ার কারনে বিচারক আর ডিজচার্জ পিটিশন গ্রহণ করলেন না। তবে এতটুকু বললেন যে, ওনার (আসামী) শুধু সহযোগি হিসেবে বিচার হবে মূল আসামী হিসেবে নয়। আসামীর আইনজীবী এরপরও কিছু কথা বললেন, এক পর্যায়ে বললেন যে আসামী একজন সরকারী অফিসার। এই কথা বলার সাথে সাথে বিচারক কেন জানি উত্তেজিত হয়ে গেলেন। তিনি বললেন, এই সরকারী অফিসাররাই তো সবচেয়ে বেশি দূর্ণীতিগ্রস্থ, এনারাই হলেন সবচেয়ে বড় ডাকাত এটা আমার কথা নয় টিআইবিও বলেছে, সরকারী কর্মকর্তা হয়ে অফিসে বসে তারা ভাল মানুষ সেজে ডাকাতি করে। গ্রামের একজন কৃষক কখনও দূর্ণীতি করেন না, দূর্ণীতি করে আমাদের মত শিক্ষিত লোকেরাই আর এই ডাকাতি করার জন্য আমরা ভাল ভাল ড্রেস পড়ি আর ভালোর ভান করি। কেউ কেউ পড়ে টুপি পাঞ্জাবী (আসামীর মাথায় টুপি আর পাঞ্জাবী ছিল) কেউ সাজে পীর আর কেউ কেউ আমাদের মতো টাই পড়ে, আর এসব পড়েই অফিসে বসে কোটি কোটি টাকা ডাকাতি করে...।
বিচারক যাই বলুন আমার কোন সমস্যা নাই, আমার আনন্দতো সেখানেই যখন বিচারপতি বলেছেন যে গ্রামের মানুষেরা দূর্ণীতি করে না আর এই শিক্ষিত মানুষদের মতো ডাকাতিও করেন না। এই কথা শুনে তখন আমার বগল বাজানোর অবস্থা।
তাই বলি, শহরের মানুষেরা গ্রামে এসে দেখে যান আমরা গ্রামের মানুষেরা কত ভাল আছি, ভদ্র আছি। আমাদের নিকট থেকে ভাল হওয়ার মন্ত্র শিখে যান, ভাল হোন আর ভাল থাকুন।
জয় হোক গ্রামের!
জয় হোক গ্রামের মেহনতি মানুষের!!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ১০ টি
২৩ জানুয়ারি ’১৬ রাত ০২:২৮
একমত দাদা! গ্রামের মানুষকে নিপিড়ন করছে শহরে থাকা অভিজাত শ্রেণী। সংগ্রাম দীর্ঘজীবী হোক।
২৪ জানুয়ারি ’১৬ রাত ০২:১৩
বিচারক কতটুকু মন থেকে বলছে সন্দেহ আছে। ইদানিং তারা আবার একপক্ষ আরেকপক্ষেরে দেখতে পারেনা। যদিও চোরে চোরে ঠিকই মাসতুতো ভাই।