কোটা সংস্কার দাবীদারদের ল্যাঞ্জা পরিষ্কার
কোটা সংস্কারের দাবিতে ২৫ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ‘সাবাশ বাংলাদেশ’ ভাস্কর্যের পাদদেশে ঝাড়ু উচিয়ে সমাবেশ কর্মসূচি পালন করেছে কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহন করা ছাত্ররা। মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যের সামনে এমন কর্মসূচি ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের কেউ এমন কাজ করতেই পারে না। মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননার জন্যই এমন কর্মসূচি করা হয়েছে।
গত ২৫ মার্চ সকাল সাড়ে ১০টায় গলায় সনদ ঝুলিয়ে সাদা টি-শার্ট গায়ে ঝাড়ু হাতে ক্যাম্পাসে মিছিল বের করা হয়। মিছিলে দুই শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেয়। মিছিলটি ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ‘সাবাশ বাংলাদেশ’ ভাস্কর্যের পাদদেশে যায়। সেখানে তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে পরবর্তী কর্মসূচির ঘোষণা দেয়।
তারা যে ঝাড়ু প্রদর্শন করেছে‘এই ঝাড়ু কি আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অমর শহীদদের দেখানো হচ্ছে? না হলে মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্যের দিকে ঝাড়ু তাক করা কেন?’
মূল কথা ল্যাঞ্জা লুকিয়ে রাখা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারীরা এমন কাজ করতে পারে না। যতই নাচানাচি করা হোক জামায়াত-শিবিরের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে না ত্রিশ লাখ শহীদের দেশে।’.”
কোটা সংস্কারের নামে যদি মুক্তিযোদ্ধাদের অবমাননা করা হয়, তাহলে সেটা বরদাস্ত করা হবে না। আমি মনে করি এর পেছনে অবশ্যই কোনও ইন্ধনদাতা আছে যারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে কোনও পক্ষের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে।’
কোটা সংস্কারের দাবিতে ঝাড়ু মিছিল করা চরম দৃষ্টতা। তারা মুক্তিযোদ্ধাদের চরম অবমাননা করেছেন। কারণ, ৫৬% কোটার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা আছে। আর একজন মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা মানে, স্বাধীনতাকে অপমান করা। আর শাবাশ বাংলাদেশ ভাস্কর্যের সামনে যখন ঝাড়ু মিছিল করে তখন ঝাড়ুটা কোথায় মারা হচ্ছে?
কোটা সংস্কারের পক্ষে আন্দোলনকারীরা অবশ্যই স্বাধীনতাবিরোধী, এরা অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। অন্য কেউ এর ইন্ধন যোগাচ্ছে। তাদের নিয়ে কেউ খেলছে বলে আমি মনে করি। তাই তাদের আরও সচেতন হতে হবে। প্রশাসনের গোয়েন্দাদের এই ব্যাপারে আরো নজরদারী বাড়াতে হবে।
বঙ্গবন্ধুর দেশে স্বাধীনতা বিরোধী, মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, মুক্তিযোদ্ধাদের অপমানকারীদের ঠাঁই নাই। যুদ্ধাপরাধীদের আমরা নির্মূল করেছি। এই কয়েকটা আগাছাকে উপড়ে ফেলাও কঠিন কিছু হবে না।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ১ টি