আলবদর রহস্যঃ কেন ও কিভাবে?
বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধী জামায়াত-শিবিরের বিচার চলছে। রায় হয়েছে বড় বড় যুদ্ধাপরাধী পাপীর। এমন একটি মুহুর্তেও জঘন্য গণহত্যাকারী আলবদর, আশ শামস ইত্যাদি বাহিনী সম্পর্কে মানুষ অজ্ঞ। অবাক হতে হয় সাধারন মানুষ জানেই না এসব বাহিনীর নানা রহস্য। যার পূর্ণ সুযোগ নিচ্ছে ঘাতক দালালদের সহযোগী জামায়াত শিবিরের কর্মচারীরা। প্রায়ই নানা মিথ্যাচার ও প্রতারনা পূর্ণ তথ্য দিয়ে জনতাকে ভুল পথে পরিচালিত করার একটি উদ্যোগ দেখা যায়। আমরা সৌভাগ্যবান যে, দেশের স্বাধীনচেতা মানুষ এদের অপপ্রচারে জবাব দিতে অপারগ হলেও দেশপ্রেমের বাহুল্য তাদেরকে বিপথগামী করেনা। মুখের ওপর রাজাকারকে রাজাকার বলে দেয়ার যে অদম্য চর্চা দেখেছি তা সত্যিই পৃথিবীতে বিরল। আমার নিয়মিত ব্লগ হিসেবে আলবদর নিয়ে লিখার ইচ্ছা রয়েছে। আশা করি এ সম্পর্কে অনেক গুলো তথ্য আপনাদের সামনে হাজির করতে পারবো। বিশেষ করে সচেতন তরুন ব্লগারদের মুক্তির লিখনিতে এসব তথ্য কাজে লাগবে বলে আমার বিশ্বাস।
প্রায়ই আলবদর বাহিনীর উৎপত্তি, বিকাশ ও আদর্শ নিয়ে অপপ্রচারে বলা হয় এই বাহিনিটি নাকি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর অংশ ছিলো এবং তা সামরিক নির্দেশনায় পরিচালিত হত। একটু খেয়াল করলে খুব সহজেই চাতুর্যের সীমা বুঝার কথা। যখন একটি বিশেষ বাহিনীকে বিশেষ অবস্থা থেকে সরিয়ে তথ্য দিয়ে ভিন্ন অবস্থায় নিয়ে যাবার প্রচেষ্টা হয় তখন সাধারন মানুষ বিষেশ অবস্থা সম্পর্কে না জানার কারনে খুব সহজেই বিভ্রান্ত হয়। আলবদর যদিও সামরিক বাহিনীর আওতায় কাজ করতো তদুপরি এটি ছিলো বিশেষ ভাবে পরিচালিত একটি যুদ্ধাপরাধ বাহিনী। এরা কোনভাবেই সামরিক প্রধানদের নির্দেশ বা আদশে কাজ করতো না। বরং এরা পরিচালিত হত বেসামরিক নিজামী, মুজাহিদের নির্দেশে। এই বাহিনীড় প্রধান ছিলো নিজামি আর সহকারী ছিলো মাজাহিদ। এরা বিশেষ ক্ষমতায় স্বীদ্ধান্ত মেকিং করতো যদিও সামরিক বাহিনীর গণোহত্যার অংশ হিসেবেই এদেরকে সৃষ্টি করা হয়। এদের বিশেষ লক্ষ্য ছিলো মুক্তিযুদ্ধের সময় বাঙ্গালী পেশাজীবিদের হত্যা করা।
এরা মূলত ভ্রাম্যমান খুনি বাহিনী। কখনো মাইক্রো কখনো বাহিনীর জীপ আবার কখনো ভাড়া বাহনে করে এরা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ঘুরে ঘুরে গুরুত্বপূর্ণ বাঙ্গালী পেশাজীবিদের অপহরন করতো। কখনো রায়েরবাগ আবার কখনো মীরপুরে এনে লাশ ফেলে দিয়ে যাওয়া হত। এছাড়াও নানা জেলা শহরের পেশাজীবিদের লাশ আশপাশে গুম করে কিংবা ফেলে দিয়ে যেত তারা।
একটু খেয়াল করলেই বোঝা যাবে, সামরিক বাহিনীর একটি সহযোগী বিশেষ বাহিনী যুদ্ধের সময় কেবল যুদ্ধাপরাধের সাথে যুক্ত হতে যখন গঠন করা হয় তখন একে স্বাভাবিক ভাবেই বিশেষ কিছু ক্ষমতা প্রদান করা হয়।
(চলমান)
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৩ টি
০২ এপ্রিল ’১৭ রাত ০১:১২
আরো ডিটেইল হলে ভালো হত। জামাতীদের তীরের মুখে আপনার এই ব্লগের অবস্থান কখনোই শক্তিশালী অবস্থান পাবে না। আরো ইমফরমেটিভ হওয়ার দরকার ছিল যেমন কখন, কোথায়, কিভাবে, কারা কারা মিলে এই বাহিনী গঠন করেছে এগুলো আসা দরকার ছিল। অনেকটা রাজনৈতিক বক্তব্যের মতই মনে হচ্ছে।
যাই হোক ধন্যবাদ। এই যুগে এটাই অনেক...