প্রত্যেকে তার মূলের দিকে ফিরে যায়!
কথায় বলে,আগের নাও যেদিকে যায় পিছনের গুলোও সেদিকে যায়। আবার এভাবেও অনেকে বলে,মাদি ঘোড়া যেদিকে যায় পুরুষ ঘোড়াও তার পেছন পেছন যায়! প্রথম প্রবাদ বাক্যটি আমার লেখার শিরোনামের সাথে বেশি যায় বলে এটিকে কেন্দ্র করে আগানোই ভালো।
আমাদের গ্রামের সুদর্শন এক পুরুষের নাম হল আব্দুল লতিফ সরকার। দেখতে যেমন সুন্দর উচ্চতাও বেশ ভাল।জমি-জমা ভালই আছে। নামে শুধু সরকার নয় কামেও সরকার। কারন তার বাবা আব্দুর রহিম সরকার প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ করে গ্রাম সরকারের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। প্রায় ৩০ বিঘা জমির মালিক হচ্ছেন আব্দুর রহিম সরকার।অনেক গুলো টাকা খরচ করে তার বড় সন্তান আব্দুল লতিফ সরকারকে আরবের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েতে পাঠিয়েছেন।বেশ টাকা পয়সার মালিক এখন তার বাবা মানে নগদ টাকার মালিক রহিম সরকার। বাবা-মা কোন ধরনের বিয়ের কথা মুখে নেয়না বলে বেশ চিন্তিত লতিফ সরকার।
প্রবাশে বসে বসে তাই ভাবছে এবার বাংলাদেশে ফেরার পরে বাবা-মা বিয়ে না দিলে একাই বিয়ে করবেন। দীর্ঘ দুই বছর পর দেশে ফেরার পর কথা যা কাজ তাই।পাশের ইউনিয়নের এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সুন্দরী মেয়ের সাথে বিয়ের কথা পাকাপাকি করে ফেলেছে লতিফ সরকার। বাবা-মা ছাড়া মেয়েকে বিয়ে দেবেননা মেয়ের বাবা। তখন লথিফ বলে আমার বাবা-মা দুজনেই গত মাসে মারা গেছেন। আমার আপন বলতে আমার পাশে বসে থাকা বনধু গুলো ছাড়া আর কেউ নেই। তারাই আমার মা-বাবা সবকিছু,এখন বলুন আমার সাথে আপনার মেয়েকে বিয়ে দিবেন কিনা? সবকিছু ভেবে চিন্তে বিশেষ করে ছেলেটির মানবিক দিক বিবেচনা করে রাজি হয়ে যান মেয়ের বাপ। কাজি এসে যথারিতী হাজির। মেয়ের কবুল নামা গ্রহন শেষে কাজি সাহেব বলতে শুরু করলেন,পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহর ধারয করিয়া,২০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করিয়া এবং ৩০ হাজার টাকা বাকি রাখিয়া,পাবনা পাড়া সাকিনের মোঃ আব্দুর রহিম সরকারের প্রথম ছেলে আব্দুল লতিফ সরকারকে[ মানে আপনাকে] টুনি পাড়া সাকিনের একমাত্র মেয়ে ছকিনা স্বামী বলিয়া কবুল করিয়াছে আপনি তাকে[ছাকনাকে]স্ত্রী বলিয়া কবুল করুন।
বর কবুল বলবে,এমন সময় কন্যার চাচা আব্দুল মজিদ,যিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করছেন,বলে উঠলেন এ বিয়ে হবেনা। সাথে সাথে এক ধরনের নিরবতা ও উৎকন্ঠা নেমে আসলো বিয়ে বাড়িতে।কন্যার বাপের কেন? প্রশ্নের জবাবে মজিদ সাহেব বলে উঠলেন,আমি যতটুকু জানি বরের বাবা একজন নামকরা জুয়াখর। জুয়া খেলে খেলে আব্দুর রহিম সরকার তার বাপের থেকে পাওয়া সম্পদের প্রায় সব জলাঞ্জলী দিয়ে এখন প্রায় নিস্ব। কারনে অকারনে তার সুন্দরী স্ত্রীকে নির্যাতন করতো।স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে পর্যন্ত জুয়া খেলতে দ্বিধা করতোনা। এমনকি পঁচা পানিও পান করতো। এমন বাপের সন্তানের গ্যারান্টি নেই। তারপরও যদি বিয়ে দিতে চাও,আমার বক্তব্য হল ছেলেটির সার্বিক খবরা-খবর নিয়ে যদি ভাল প্রমানিত হয় তাহলে দাও! এ ধরনের পরিস্তিতিতে বিয়ে এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেয়া হল।
চলছে অনুসন্ধান!পাবনা পাড়া গ্রামের কয়েক জনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে যে বিষয় গুলো বেরিয়ে আসলো সেগুলো নিম্নরুপঃ-
#ছেলেটি অন্য কোন সমস্যা নেই সামান্য তামাক খোর!
#দ্বিতীয়জন বললো,ছেলেটি মাঝে মাঝে একটু আধটু জুয়া খেলে আরকি!
#আরেকজন বললো,এর পূর্বে সে একজন মেয়ের সাথে লিভ টুগেদার করতো,এখন অবশ্য করেনা!মেয়েটিকে সে বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্ত মেয়ের মা-বাবার দ্বিমতের কারনে হয়নি।
#শেষ ব্যাক্তির কাছে মেয়ে পক্ষের মানুষজন জানতে পারলো যে,এর পূর্বে ছেলেটির ইচ্ছাতেই একটি মেয়ের সাথে বিবাহ রেজিস্ট্রি ছিল কিন্তু লতিফই সে বিবাহের চুক্তি ভেস্তে দেয়।এ কারনে তার বাবা-মা আর লতিফ এর জন্য মেয়ে দেখার সাহস পায়না।এ ছাড়া ছেলেটির কোন সমস্য নেই!
এর পরেও আপনার মেয়েকে এ ধরনের ছেলের সাথে বিয়ে দেবেন? প্রশ্ন কন্যার আপন চাচার! ছকিনার বাপ বলে ফেললো,এ জন্যই বলে বাপকা বেটা চিহিকো ঘোড়া! এ ধরনের বদমাইশ ছেলের সাথে আমার একমাত্র মেয়ের বিয়ে হতে পারেনা। ভেস্তে গেল আব্দুল লতিফ সরকারের বিবাহ।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
আমাদের গ্রামের সুদর্শন এক পুরুষের নাম হল আব্দুল লতিফ সরকার। দেখতে যেমন সুন্দর উচ্চতাও বেশ ভাল।জমি-জমা ভালই আছে। নামে শুধু সরকার নয় কামেও সরকার। কারন তার বাবা আব্দুর রহিম সরকার প্রায় দুই লক্ষ টাকা খরচ করে গ্রাম সরকারের প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। প্রায় ৩০ বিঘা জমির মালিক হচ্ছেন আব্দুর রহিম সরকার।অনেক গুলো টাকা খরচ করে তার বড় সন্তান আব্দুল লতিফ সরকারকে আরবের অন্যতম ধনী দেশ কুয়েতে পাঠিয়েছেন।বেশ টাকা পয়সার মালিক এখন তার বাবা মানে নগদ টাকার মালিক রহিম সরকার। বাবা-মা কোন ধরনের বিয়ের কথা মুখে নেয়না বলে বেশ চিন্তিত লতিফ সরকার।
প্রবাশে বসে বসে তাই ভাবছে এবার বাংলাদেশে ফেরার পরে বাবা-মা বিয়ে না দিলে একাই বিয়ে করবেন। দীর্ঘ দুই বছর পর দেশে ফেরার পর কথা যা কাজ তাই।পাশের ইউনিয়নের এক নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সুন্দরী মেয়ের সাথে বিয়ের কথা পাকাপাকি করে ফেলেছে লতিফ সরকার। বাবা-মা ছাড়া মেয়েকে বিয়ে দেবেননা মেয়ের বাবা। তখন লথিফ বলে আমার বাবা-মা দুজনেই গত মাসে মারা গেছেন। আমার আপন বলতে আমার পাশে বসে থাকা বনধু গুলো ছাড়া আর কেউ নেই। তারাই আমার মা-বাবা সবকিছু,এখন বলুন আমার সাথে আপনার মেয়েকে বিয়ে দিবেন কিনা? সবকিছু ভেবে চিন্তে বিশেষ করে ছেলেটির মানবিক দিক বিবেচনা করে রাজি হয়ে যান মেয়ের বাপ। কাজি এসে যথারিতী হাজির। মেয়ের কবুল নামা গ্রহন শেষে কাজি সাহেব বলতে শুরু করলেন,পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহর ধারয করিয়া,২০ হাজার টাকা নগদ প্রদান করিয়া এবং ৩০ হাজার টাকা বাকি রাখিয়া,পাবনা পাড়া সাকিনের মোঃ আব্দুর রহিম সরকারের প্রথম ছেলে আব্দুল লতিফ সরকারকে[ মানে আপনাকে] টুনি পাড়া সাকিনের একমাত্র মেয়ে ছকিনা স্বামী বলিয়া কবুল করিয়াছে আপনি তাকে[ছাকনাকে]স্ত্রী বলিয়া কবুল করুন।
বর কবুল বলবে,এমন সময় কন্যার চাচা আব্দুল মজিদ,যিনি দীর্ঘদিন ধরে ঢাকায় বসবাস করছেন,বলে উঠলেন এ বিয়ে হবেনা। সাথে সাথে এক ধরনের নিরবতা ও উৎকন্ঠা নেমে আসলো বিয়ে বাড়িতে।কন্যার বাপের কেন? প্রশ্নের জবাবে মজিদ সাহেব বলে উঠলেন,আমি যতটুকু জানি বরের বাবা একজন নামকরা জুয়াখর। জুয়া খেলে খেলে আব্দুর রহিম সরকার তার বাপের থেকে পাওয়া সম্পদের প্রায় সব জলাঞ্জলী দিয়ে এখন প্রায় নিস্ব। কারনে অকারনে তার সুন্দরী স্ত্রীকে নির্যাতন করতো।স্ত্রীর গয়না বিক্রি করে পর্যন্ত জুয়া খেলতে দ্বিধা করতোনা। এমনকি পঁচা পানিও পান করতো। এমন বাপের সন্তানের গ্যারান্টি নেই। তারপরও যদি বিয়ে দিতে চাও,আমার বক্তব্য হল ছেলেটির সার্বিক খবরা-খবর নিয়ে যদি ভাল প্রমানিত হয় তাহলে দাও! এ ধরনের পরিস্তিতিতে বিয়ে এক সপ্তাহের জন্য পিছিয়ে দেয়া হল।
চলছে অনুসন্ধান!পাবনা পাড়া গ্রামের কয়েক জনের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে যে বিষয় গুলো বেরিয়ে আসলো সেগুলো নিম্নরুপঃ-
#ছেলেটি অন্য কোন সমস্যা নেই সামান্য তামাক খোর!
#দ্বিতীয়জন বললো,ছেলেটি মাঝে মাঝে একটু আধটু জুয়া খেলে আরকি!
#আরেকজন বললো,এর পূর্বে সে একজন মেয়ের সাথে লিভ টুগেদার করতো,এখন অবশ্য করেনা!মেয়েটিকে সে বিয়ে করতে চেয়েছিল কিন্ত মেয়ের মা-বাবার দ্বিমতের কারনে হয়নি।
#শেষ ব্যাক্তির কাছে মেয়ে পক্ষের মানুষজন জানতে পারলো যে,এর পূর্বে ছেলেটির ইচ্ছাতেই একটি মেয়ের সাথে বিবাহ রেজিস্ট্রি ছিল কিন্তু লতিফই সে বিবাহের চুক্তি ভেস্তে দেয়।এ কারনে তার বাবা-মা আর লতিফ এর জন্য মেয়ে দেখার সাহস পায়না।এ ছাড়া ছেলেটির কোন সমস্য নেই!
এর পরেও আপনার মেয়েকে এ ধরনের ছেলের সাথে বিয়ে দেবেন? প্রশ্ন কন্যার আপন চাচার! ছকিনার বাপ বলে ফেললো,এ জন্যই বলে বাপকা বেটা চিহিকো ঘোড়া! এ ধরনের বদমাইশ ছেলের সাথে আমার একমাত্র মেয়ের বিয়ে হতে পারেনা। ভেস্তে গেল আব্দুল লতিফ সরকারের বিবাহ।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.