তনুর ময়না তদন্তে ধর্ষণের আলামতও গায়েব? এ কোন দেশে বাস করি?
কলেজছাত্রী সোহাগী জাহান তনুকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া কোনো রাসায়নিক ক্রিয়ায় তনুর মৃত্যু হয়নি। আজ সোমবার বিকেলে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান কামদা প্রসাদ সাহা সাংবাদিকদের প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে জানিয়ে এসব কথা বলেন।
২০ মার্চ রাত সাড়ে ১০টার দিকে তনুর লাশ সেনানিবাসে তাঁদের বাসার দুই-তিন শ গজ দূরে উদ্ধার হয়। খুন করার আগে হত্যাকারীরা তনুর মাথার হিজাব টেনে খুলে ফেলে এবং মাথার লম্বা চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেয়। তনু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তাঁর বাবা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ডের কর্মচারী ইয়ার হোসেন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি এখন তদন্ত করছে সিআইডি।
গত ২১ মার্চ কুমিল্লা সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। এরপর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ভিসেরা পাঠানো হয়। ভিসেরা গতকাল রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আসে। কুমিল্লা ফরেনসিক ও মেডিসিন বিভাগের প্রভাষক শারমিন সুলতানা তনুর প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করেন।
প্রথম ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন সম্পর্কে আজ কামদা প্রসাদ সাহা সাংবাদিকদের বলেন, তনুকে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। কোনো রাসায়নিক ক্রিয়ায়ও তনুর মৃত্যু হয়নি। প্রথম প্রতিবেদন বিবেচনায় নিয়ে দ্বিতীয় প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ২ টি