নিখোঁজ জোহা অপ্রকৃতিস্থ!
মানবাধিকার কাকে বলে? মানবাধিকার রক্ষার উপায় ও আইনশৃংখলা বাহিনীর সীমাবদ্ধ। এ যাতীয় বিষয়গুলো নিয়ে সরকার ও আইনশৃংখলা বাহিনীকে প্রাইমারি লেভেলে ক্লাস করাতে হবে। তা না হলে এদেশের ভবিষ্যতে খারাবী আছে। সরকার দিনে দিনে দানব হয়ে যাচ্ছে। তৃতীয় বিশ্বের একটি দেশে এটা অশনী সংকেত।
রাজনীতি যখন সরকারের নিয়ন্ত্রে চলে যায় তখনই মত প্রকাশের স্বাধীনতা লোপ পায়। বর্তমান সরকার আসার পর ঐতিহাসিক পল্টন ময়দানকে ঘিরে দেয়া হয়েছে। মুক্তাংগন; যা ছিলো সকল প্রকার সভার জন্য উন্মুক্ত। সেই মুক্তাঙ্গনও আর আবদ্ধ হয়ে গেছে।
আন্দোলনের মাধ্যমে জন্ম নেয়া দেশে আন্দোলনের পথ সংকুচিত করে এতটাই বাজে অবস্থায় এসেছে যে এখন স্বাধীন ব্যাক্তি ও বিশেষজ্ঞরাও নিরাপদ নয়। এর আগে মতপ্রকাশ বাধাগ্রস্থ করার জন্য বিরোধী পক্ষের নেতা ইলিয়াস ও সালাহউদ্দিনকে নিখোঁজ করে দেয়া হয়েছে। ইলিয়াসের ব্যাপারে কেউ কিছুই জানেনা। হয়তো কোন অন্ধকার প্রকষ্ঠে আবদ্ধ হয়ে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন কিংবা হয়তো কোথাও মাটিচাপা পড়ে আছেন! তবে ভালো খবর সালাহুদ্দিন বেঁচে আছেন। বেঁচে গিয়ে ফেঁসে গেছেন বিদেশে। পাগলের মত উদ্ভ্রান্ত হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন ভারতের পর্যটন অঞ্চলে। পুলিশের সাহায্য চেয়ে মামলার গ্যাড়াকলে তিনি।
উদ্ভ্রান্ত হয়ে গেছেন সেদিনের টিভি মুখ প্রযুক্তিবিদ জোহাও। জোহা এখন পরিবারের হাতে। মেধার অস্ত্র যার তিনি যদি অপ্রকৃতিস্থ হয়ে যান তাহলে হ্যাকিং বনাম চুরি নিয়ে লড়বেন কি করে?
মানুষ বুঝে। উপলব্ধি করে। কিন্তু বলার উপায় নাই। মানুষের সামনে থেকে মানুষ হারিয়ে যায়। মুখ বন্ধ হয়ে ফিরে আসে অথবা মারা যায়! হিসেব সোজা। কথা বন্ধ থাকলে বেঁচে থাকার অধিকার আছে। কথা বলার অধিকার নাই। পল্টন নাই। মুক্তাঙ্গন নাই। এবার মস্তিস্ক পর্যন্ত সরকারের আওতায়!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি
২৩ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৩:২৩
কথা কম বলার জন্য ধর্মীয় বিধি নিষেধ রয়েছে,বর্তমান সরকার সেটাই বাস্তবায়ন করছে!হাহাহাহাহাাাা