বেঁচে থাকাটাই সবচেয়ে বড় মানবাধিকার
স্বাধীনতা উত্তর সকল দেশেই সাধারণত মানুষের মৌলিক চাহিদার ব্যাত্যয় ঘটে। হাজারো মানুষ না খেয়ে খেয়ে কঙকালসার হয়ে মৃত্যু বরণ করে। দু-মুটো ভাতের জন্য মানুষ হয়ে মানুষের গোসত খেতেও কুন্ঠাবোধ করেনা। বেঁচে থাকাটা যে সবচেয়ে বড় মৌলিক দাবি! ঘর ছাড়াও রাস্তায় ঘুমানো যায়,কাপড় ছাড়াও গাছের ছাল বাকল জড়িয়ে লজ্জা নিবাড়ন করা যায়, শিক্ষা ছাড়াও দিব্বি সমাজে স-সম্মানে মাথা উচু করে বেঁচে থাকা যায়। কিন্তু খাদ্য ছাড়া কি বেঁচে থাকা সম্ভব! এজন্যই বুঝি,মরা গরুর মাংস খেতে কুকুরের সাথে কুকুরের কামড়া-কামড়ি,শকুনের সাথে শকুনের! আবার কখনোবা কুকুরের সাথে শকুনের বা কুকুরের সাথে শিয়ালের লড়াই। সবশেষে,শুধুমাত্র বেঁচে থাকার জন্য, একটি রুটির দুপাশ ধরে ক্ষুধার জ্বালায় হাপিত্যেশ করা কঙ্কালসার শিশু ও কুকুরের মাঝে কামড়াকামড়ি চিরন্তন বাস্তবতা।ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে কত মানুষ সাগরের লোনা পানি পান করে মরলো। কত মেধাবী ছাত্র ,তার ছাত্রত্ব বিসর্জন দিয়ে দাঁড়োয়ানের চাকরি বেছে নিল,কত সুন্দরী নারী তার স্বাভাবিক জিবনকে বলি দিয়ে বেশ্যার জিবন বেঁছে নিল, তার ইয়ত্যা নেই! যার ঘরে খাবার নেই,তার কাছে স্বাধীনিতার কোন মূল্য নেই,মূল্য নেই লাল সবুজের মিশেলে তৈরি জাতীয় পতাকার! এজন্যই বুঝি কবি রফিক আজাদ বলেছেন,“ভাত দে হারাম জাদা,তা নইলে মানচিত্র চিবিয়ে খাবো”। বেঁচে থাকাটা যে সবচেয়ে বড় মৌলিক দাবি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৩ টি