যুদ্ধাপরাধী কাসেমের ফাঁসি
বহু আশংকার মধ্য দিয়ে জামাতি টাকার মেশিন মির কাসেমের ফাসির রায় এলো। এর মধ্য দিয়ে জাতি আবারও মুক্তির আনন্দে ভাসলো। একদল মুক্তিবাজ তরুনের পদচারনায় যুদ্ধাপরাধী, রাজাকার, আলশামসের কুখ্যাত গোডাউন জামাতের বিরুদ্ধে সঞ্জিবীত হয়েছিলো শাহবাগ চত্বর! সেই শাহবাগ বারবার প্রমাণ করেছে তার শক্তি।
এদেশে যখন মুক্তিবিরোধী অপশক্তি মাথা চাড়া দিয়ে উঠছিলো ঠিক তখন শহীদ জননী জাহানারা ইমামের অক্লান্ত পরিশ্রম আর নিষ্ঠার কাছে হার মানে সব ষড়যন্ত্র। সেই ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটির সেচ দেয়া আদর্শিক জল সৃষ্টি করেছে শাহবাগ তরুন প্রজন্ম। সেই প্রজন্ম শহীদ জননীর সন্তান হয়ে হাতে তুলে নিয়েছে লাল-সবুজের পাহারা। শহীদ রুমির রক্তে যে চারা গুলো জন্মেছিলো তাদের বড় হয়ে উঠতে দারুন ভূমিকা রেখেছে জননী জাহানারা ইমামের অশ্রু! আজ আর হীনমন্যতা নয়! আজ আর পিছুটান নয়। আজ আমাদের আরেকটি বিজয়। এই বিজয়ের পথ ধরেই একদিন রুমিরা প্রতিটি জনপদে সচেতন স্তম্ভ হয়ে দাঁড়াবে। দেশ থেকে চিরোদিনের জন্য দূর হয়ে যাবে সকল প্রেতাত্মা!
গর্বের সাথে বাঙালি জেগে উঠতে শিখেছে। কোটি ডলার খরচ করে বিবেক কিনে নেয়া কুলাঙ্গারদের পরাজিত করতে জেনেছে। এই জাতি মাথা নোয়াতে জন্ম নেয়নি। ৫২ তে যে বিজয়! তার চূড়ান্ত পরিনতি এসেছিলো ৭১ এ। আর আজ সে অপেক্ষা করছে তার দায় শোধের।
এরপরের পুরো ঘটনাই আমাদের আনন্দে ইতিহাস রচবে। বিশ্বের বিস্ময় হয়ে আত্মমর্যাদা নিয়ে আমরা সমৃদ্ধি অর্জন করে দাঁড়াবো। বিশ্ব দেখবে এক নতুন শক্তির অভ্যুদয়! মান-সম্মান-সমৃদ্ধিতে আমরাই হব শ্রেষ্ঠ জাতি। নতুন প্রজন্ম আজ সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি।
দূর হোক সব অপশক্তি। মুক্তির আনন্দে ভোর আসুক!
জয় বাংলা!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৬ টি
০৮ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৩:২০
আশা জাগানিয়া পোস্ট। মানুষ বেঁচে থাক! মানুষের কষ্ট গুলো দূর হোক।