ছেলেকে পড়াশুনা শিখিয়েছি ঠিকই কিন্তু সত্যিকারের মানুষ বানাতে পারিনি
কয়েকদিন আগে ট্রেনে করে রাজশাহী যাচ্ছিলাম! বেশ দির্ঘপথ,পৌঁছাতে প্রায় ছয় ঘন্টা লাগে।
আমরা চেয়ার কোচে যাচ্ছিলাম। আমাদের সামনের দু’টি সিটে এক দম্পতি বসেছিলেন। তাদের ছিল প্রায় ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে! বাচ্চা দু’টি তাদের বাবা মায়ের কোলে শুয়ে ছিল। শুয়ে থাকার এক পর্যায়ে বাচ্চা দু’টি ঘূমিয়ে পড়ে।
বাচ্চা দু’টি যেন আরাম করে ঘুমাতে পারে, সেজন্য তাদের বাবা মা তাদেরকে ট্রেনের সিটে শুয়ে দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে আছে। এসময় সেই দম্পতি পরষ্পর পরষ্পরের দিকে তাকিয়ে হাসছিল। তাদের মুখে ছিল ক্লান্তি কিন্তু বিরক্তি ছিল না।
ওস্তাদ নোমান আলী খানের লেকচারে, একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলেন। একদিন এক বৃদ্ধ বাবা তার সন্তানকে বললেন, আমাকে একটু পার্কে ঘুরতে নিয়ে যাবা? ছেলে বিরক্তি নিয়ে বলল, আমার এত্তো কাজ! কখন তোমাকে নিয়ে যাবো? বাবা বলল, তোমার ছোট্ট বেলায় এরকম হাজারো কাজের ফাঁকে, তোমার আবদার গুলো আমি পূরণ করতাম। ছেলে বাধ্য হয়ে বাবাকে পার্কে ঘুরতে নিয়ে গেল!
পার্কে ঘোরার এক মুহূর্তে, বাবা তার ছেলেকে একটি কাক দেখিয়ে বললেন, এটা কি? জবাবে ছেলে বলল, এটা কাক! বাবা আবারও বললেন, এটা কি? ছেলে প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে বললেন, এক কথা কতবার বলতে হয়! এটা কাক! তখন বাবা তার হাতে থাকা ডায়রি খুলে তার ছেলেকে দেখালেন!
ছেলের যখন তিন বছর বয়স ছিল! তখন একদিন পার্কে ঘোরার সময়, ছেলে একটি কাককে দেখিয়ে বলেছিল, বাবা এটা কি? বাবা জবাবে বললেন, কাক! ছেলে আবারও প্রশ্ন করল, এটা কি? বাবা আবারও বললেন, কাক! ছেলে এভাবে ৩২ বার একই প্রশ্ন করেছিলেন! আর বাবা কোন ধরনের বিরক্তি ছাড়াই ৩২ বার উত্তর দিয়েছিলেন! আর সেটা ডায়রীতে লেখা ছিল।
বাবা তখন বললেন, তুমি আমাকে ৩২ বার একই প্রশ্ন করেও আমি একটিবারও বিরক্ত হই নি। আর আমি তোমাকে মাত্র ২ বার একই প্রশ্ন করাতে তুমি আমার উপর বিরক্তি দেখাচ্ছো!
কয়েকদিন আগে এক মা বড় আক্ষেপ করে আমাকে একটি কথা বলেছিলেন! তিনি বলেছিলেন, আমার ছেলে সরকারী চাকুরী পেয়েছে! আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোর বেতন কত? আমার ছেলে জবাবে বলেছিল, ওত্তো কিছু আপনাকে শুনতে হবে কেন? মাসে মাসে টাকা দিচ্ছি,সেটাই কি বেশি নয়?
সেই মা কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, ছেলেকে পড়াশুনা শিখিয়েছি ঠিকই কিন্তু সত্যিকারের মানুষ বানাতে পারিনি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
আমরা চেয়ার কোচে যাচ্ছিলাম। আমাদের সামনের দু’টি সিটে এক দম্পতি বসেছিলেন। তাদের ছিল প্রায় ৫ বছর বয়সী একটি ছেলে এবং ৩ বছর বয়সী একটি মেয়ে! বাচ্চা দু’টি তাদের বাবা মায়ের কোলে শুয়ে ছিল। শুয়ে থাকার এক পর্যায়ে বাচ্চা দু’টি ঘূমিয়ে পড়ে।
বাচ্চা দু’টি যেন আরাম করে ঘুমাতে পারে, সেজন্য তাদের বাবা মা তাদেরকে ট্রেনের সিটে শুয়ে দিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে আছে। এসময় সেই দম্পতি পরষ্পর পরষ্পরের দিকে তাকিয়ে হাসছিল। তাদের মুখে ছিল ক্লান্তি কিন্তু বিরক্তি ছিল না।
ওস্তাদ নোমান আলী খানের লেকচারে, একটি ঘটনার বর্ণনা দিয়েছিলেন। একদিন এক বৃদ্ধ বাবা তার সন্তানকে বললেন, আমাকে একটু পার্কে ঘুরতে নিয়ে যাবা? ছেলে বিরক্তি নিয়ে বলল, আমার এত্তো কাজ! কখন তোমাকে নিয়ে যাবো? বাবা বলল, তোমার ছোট্ট বেলায় এরকম হাজারো কাজের ফাঁকে, তোমার আবদার গুলো আমি পূরণ করতাম। ছেলে বাধ্য হয়ে বাবাকে পার্কে ঘুরতে নিয়ে গেল!
পার্কে ঘোরার এক মুহূর্তে, বাবা তার ছেলেকে একটি কাক দেখিয়ে বললেন, এটা কি? জবাবে ছেলে বলল, এটা কাক! বাবা আবারও বললেন, এটা কি? ছেলে প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে বললেন, এক কথা কতবার বলতে হয়! এটা কাক! তখন বাবা তার হাতে থাকা ডায়রি খুলে তার ছেলেকে দেখালেন!
ছেলের যখন তিন বছর বয়স ছিল! তখন একদিন পার্কে ঘোরার সময়, ছেলে একটি কাককে দেখিয়ে বলেছিল, বাবা এটা কি? বাবা জবাবে বললেন, কাক! ছেলে আবারও প্রশ্ন করল, এটা কি? বাবা আবারও বললেন, কাক! ছেলে এভাবে ৩২ বার একই প্রশ্ন করেছিলেন! আর বাবা কোন ধরনের বিরক্তি ছাড়াই ৩২ বার উত্তর দিয়েছিলেন! আর সেটা ডায়রীতে লেখা ছিল।
বাবা তখন বললেন, তুমি আমাকে ৩২ বার একই প্রশ্ন করেও আমি একটিবারও বিরক্ত হই নি। আর আমি তোমাকে মাত্র ২ বার একই প্রশ্ন করাতে তুমি আমার উপর বিরক্তি দেখাচ্ছো!
কয়েকদিন আগে এক মা বড় আক্ষেপ করে আমাকে একটি কথা বলেছিলেন! তিনি বলেছিলেন, আমার ছেলে সরকারী চাকুরী পেয়েছে! আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তোর বেতন কত? আমার ছেলে জবাবে বলেছিল, ওত্তো কিছু আপনাকে শুনতে হবে কেন? মাসে মাসে টাকা দিচ্ছি,সেটাই কি বেশি নয়?
সেই মা কেঁদে কেঁদে বলেছিলেন, ছেলেকে পড়াশুনা শিখিয়েছি ঠিকই কিন্তু সত্যিকারের মানুষ বানাতে পারিনি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ১০ টি
২১ ফেব্রুয়ারি ’১৬ রাত ১২:৪৯
ছেলে আমার মস্ত মানুষ মস্ত অফিসার
ফ্ল্যাটে তাহার যায়না দেখা এপার ও ওপার!
নানান রকম জিনিস আর আসবাব দামি দামি
সবচেয়ে কম দামি ছিলাম একমাত্র আমি!
এই গানগুলো তো রক্তের সাগর।