চা বাগান ও চা শ্রমিকদের ভূমি অধিকার রক্ষা সময়ের দাবি।
দেড় শতাধিক বছরের ঐতিহ্য সমৃদ্ধ চা শিল্পের মূল স্তম্ভ আমরা চা শ্রমিকেরা যুগ যুগ ধরে অমানবিক পরিশ্রম করে এই চা শিল্প গড়ে তুলেছি। সেই সংগ্রামের ইতিহাস আপনাদের সবারই জানা। কিন্তু কখনোই শ্রমের ন্যায্য মূল্য কিংবা অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আমরা ভোগ করতে পারিনি। যার জন্য অর্থনৈতিক মুক্তির লড়াই আমাদের অব্যাহত আছে। চা বাগান প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই আমাদের পূর্ব পুরুষরা ছোট টিলা,ঝোপ-ঝাড় ব্যতিত জমি গুলোকে আবাদ যোগ্য করে তুলেছেন এবং বংশ পরম্পরায় আমরা সেই জমিতে চাষাবাদ করে আসছি এবং কোন রুপে আমাদের মানবিক অস্তিত্ব রক্ষা করে আসছি। ভোগ দখলকৃত জমির বিপরীতে আমরা কোম্পানীকে খাজনা প্রদান করে থাকি। কিন্তু বিভিন্ন সময় বিভিন্ন স্থানে শ্রমিকদের ভোগ দখলে থাকা জমিগুলো নানান অজুহাতে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কিংবা জোর করে কেঁড়ে নিয়েছে। সাম্প্রতিককালে চুনারুঘাট উপজেলার চান্দপুর-বেগমখান চা বাগানের ৫১১.৮৩ একর কৃষি জমিকে সরকার“অকৃষি খাস জমি”দেখিয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কতৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করেছে। সরকার এই যায়গায় বিশেষ অর্থনৈতিক জোন গড়ে তুলতে চায়। শ্রমিকদের পক্ষ থেকে সরকারের বিভিন্ন মহলে যোগাযোগ করলে তারা এই জমিতে আমাদের অধিকার অস্বীকার করে এবং ইকোনোমিক জোনে চা শ্রমিকদের চাকরির আশ্বাস প্রদান করে। কিন্তু অতীতের অভিজ্ঞতা এবং চা শ্রমিকদের শিক্ষাগত যোগ্যতার বিবেচনায় আমরা জানি এই আশ্বাস প্রতারনা ছাড়া কিছুই নয়। যার ফলে আমরা দীর্ঘ এক বছর ধরে আন্দোলন করে আসছি।
সামগ্রীক পস্থিতি বিবেচনায় আমরা সকল চা শ্রমিকদের বলতে চাই অতীত কিংবা বর্তমান.চা শ্রমিকদের ভিটা,কিংবা জমি কেঁড়ে নেওয়ার একমাত্র কারণ। এই জমিতে আমাদের অধিকার রাষ্ট্র কতৃক স্বিকৃত নয়। যার ফলে যখন তখন যেকোন অজুহাতে সরকার কিংবা মালিক আমাদের ভিটা,জমি কেঁড়ে নিতে পারে। ফলে চা শ্রমিকেরা আজ এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের দ্বার প্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। ভুমির অধিকার আদায়ের আন্দোলন আজ চা শ্রমিকদের অস্তিত্ব রক্ষার সাথে যুক্ত। তাই আসুন,যুগ যুগ ধরে যে শোষনের তিমিরে শ্রমিকেরা বাস করছে,সে শোষনের জাল ছিন্ন করি। দেশব্যাপি সকল চা শ্রমিক,ছাত্র,যুব জনতাকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলি এবং চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
সামগ্রীক পস্থিতি বিবেচনায় আমরা সকল চা শ্রমিকদের বলতে চাই অতীত কিংবা বর্তমান.চা শ্রমিকদের ভিটা,কিংবা জমি কেঁড়ে নেওয়ার একমাত্র কারণ। এই জমিতে আমাদের অধিকার রাষ্ট্র কতৃক স্বিকৃত নয়। যার ফলে যখন তখন যেকোন অজুহাতে সরকার কিংবা মালিক আমাদের ভিটা,জমি কেঁড়ে নিতে পারে। ফলে চা শ্রমিকেরা আজ এক ঐতিহাসিক আন্দোলনের দ্বার প্রান্তে এসে দাড়িয়েছে। ভুমির অধিকার আদায়ের আন্দোলন আজ চা শ্রমিকদের অস্তিত্ব রক্ষার সাথে যুক্ত। তাই আসুন,যুগ যুগ ধরে যে শোষনের তিমিরে শ্রমিকেরা বাস করছে,সে শোষনের জাল ছিন্ন করি। দেশব্যাপি সকল চা শ্রমিক,ছাত্র,যুব জনতাকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলি এবং চা শ্রমিকদের ভূমির অধিকার প্রতিষ্ঠা করি।
এ ক্ষেত্রে যুথবদ্ধতার বিকল্প নেই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৩ টি
১০ ফেব্রুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৪:০৩
জমির কি অভাব সরকার মহোদয়ের!আপনাদের সাথে আমরাও আছি আন্দোলনে