একাত্তরের চেতনায় ভাস্বর হতে চাইলে...
অনেকেই একাত্তরের স্মৃতিচারণ করেন। আমার মতে প্রকৃত বীরের স্মৃতির চেয়ে বর্তমান উজ্জ্বল থাকে। তাই স্মৃতিচারনের সময় ও অবসর তার থাকেনা।
স্মৃতির চেয়ে দরকার চেতনা। তাহলেই বিপ্লব জীবিত থাকে।
অনেকেই মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে দোটানায় ভুগেন। একে অবুঝ আবেগের রঙ্গে রাঙ্গাতে চান। এই রাঙ্গানো যে মুক্তিযুদ্ধের অপমান তাও বুঝতে পারেননা তৎক্ষনাৎ। এটাই আমাদের জাতীয় সমস্যা। আমরা এতটাই আবেগী যে কখন কোনটা করে বসি তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই!
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কী?
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। এটা নিয়েই যত ভয়, যত ক্ষোভ আর যত ইতিহাসের বিকৃতি! ভয় এখানেই। আপনি গান মুক্তির সঙ্গীত! কোন সমস্যা নেই। যান স্মৃতিসৌধে। যান না! কেউ বাঁধা দেবে না। কিন্তু বহু দূরান্তেও কোন একবার মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আওড়াবেন দেখবেন এলাকায় আপনি শিরোনাম হয়েছেন! দেখবেন সুশৃংখল একটা সিস্টেম হঠাৎ চঞ্চল হয়ে উঠেছে। কেন জানেন?
কারন মুক্তিযুদ্ধের পর এই চেতনাকে ঢেকে দেয়ার জন্য একদল মানুষ এমন ভাবে জেঁকে বসেছে যে আজ তারা অনেকতাই সফল। আজ তারা সুশৃংখলাবদ্ধ! তাদের শান্তি ধ্বংস হয়ে যায় যখন নতুন করে সেই চেতনার গোড়ায় কেউ সঞ্জীবণী বারি ঢালে। এখানেই তাদের ভয়। আর এখানেই আমাদের বিজয় লুকিয়ে আছে। মুক্তিযুদ্ধের বিজয়! মুক্তিযুদ্ধকে আহত করার এই সিস্টেম স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পর থেকেই শুরু হয়েছে।
আপনি কখনো ওয়াজ মাহফিলে গিয়েছেন? সেখানে উর্দূ কবিতায় আবেগ চড়াতে দেখেন কি? কখনো মনে হয়েছে বাংলার চেয়ে ঐ দিকে আবেগ ঢালা হচ্ছে? জানিনা। আবার, আপনি কখনো আপনার অধ্যাপককে পাকিস্তানি ক্রিকেট নিয়ে ক্লাস মাতাতে দেখেছেন? মনে হয়েছে রুক্ষ কোন অধ্যাপক এই বর্ণনায় অত্যন্ত আনন্দিত? মনে হয়েছে কি? আপনার এলাকার জনপ্রিয় নেতাকে কখনো ধর্মীয় স্থানে মাহফিলে গিয়ে উর্দু কিংবা পাকিস্তানী কোন বয়ানে দুলতে দেখেছেন? কখনো চায়ের স্টলে নিয়ন্ত্রণহীন রাজনীতিকের ভারত বিরোধীতা দেখেছেন? জানিনা।
আমি জানিনা আপনি এসব কখনো দেখেছেন কিনা। আমি দেখে এসব ঘটনাকে পড়ার চেষ্টা করেছি। আমার মনে হয়েছে এসব একই সূত্রে মালা গেঁথে এগিয়েছে। পরিনতিতে শৃংখলাবদ্ধ একটি সিস্টেম দাঁড়িয়েছে সবখানে। শহর থেকে সুদূর গ্রাম, সর্বত্র।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কি?
শোষণ, নিপীড়ন আর ধর্মীয় সন্ত্রাস- এসব হল পাকিস্তানের আদর্শ। এককথায়, সহজ করে বললে পাকিস্তানের আদর্শ ভেঙ্গে খান খান করে দেয়াই মুক্তিযুদ্ধের চেতনা। আপনি মুক্তির চেতনায় ভাস্বর হলে আপনার মাধ্যমেই পাকিস্তানের মৌলিকত্ব ধ্বংস হবে। কারন ঐ মৌলিকত্বের স্বমন্বয়ে একটি শয়তানিস্তান গঠিত হয়েছিলো।
ব্যাস। আমার কথা এতটুকুই। এরপর আপনার চিন্তার পালা।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
২৪ জানুয়ারি ’১৬ রাত ০২:৫১
দাদা! তুমি এত সুন্দর লিখ কিকরে? তুমি কি জানো কত শক্ত কথাগুলো সহজে লিখে গেলে তুমি? ধন্যবাদও দেবনা। তোমায় আমি ছোট করব না! আমার ভালোবাসা জেনো!
২৪ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৩:০৯
মুক্তি যুদ্ধের চেতনাকে ভালোবাসলে ভোটাধিকারের পক্ষে কথা বলতে হবে,স্বৈরতন্ত্রের কিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে সর্বপরি গণমানুষের মুক্তির জন্য লড়াই করতে হবে
২৪ জানুয়ারি ’১৬ বিকাল ০৪:১৪
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শিখতে হলে গ্রামে আসতে হবে, এখনও গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা কিছুটা জীবিত আছে। হানাহানী, মারামারি আর দূর্ণীতি না করাই মনে হয় মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।