প্রেমের কবি নজরুল

প্রিয় কবি কাজী নজরুল ইসলামকে আমরা সাধারণত দ্রোহের কবি কিংবা বিদ্রোহী কবি বলে জানি। যারা কবিতা সম্পর্কে খুব একটা খোঁজ খবর রাখেননা তারা নজরুল বলতেই বুঝেন ঝংকার কিংবা হুংকার। তবে নজরুল আমার কাছে প্রেমের কবি হিসেবেই প্রিয়... আমার কিছু প্রিয় গানের তালিকা দিলাম।
শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে
বাহিরে ঝড় বহে নয়নে বারি ঝরে
ভুলিও স্মুতি মম, নিশীথ স্বপন সম
আচলের গাথামালা ফেলিও পথ পরে ।।
Click Here
চেয়ো না সু নয়না আর চেয়ো না
এ নয়ন পানে
জানিতে নাহিকো বাকি সই ও আঁখি
কি যাদু জানে।।
একে ঐ চাওনি বাঁকা সুরমা আঁকা
তায় ডাগর আঁখি
বধিতে তায় কেন সাধ যে মরেছে
ঐ আঁখির বাণে।।
Click Here
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
বিনোদ বেনির জরিন ফিতায়
আন্ধা ইশক মেরা কাস গায়ি
Click Here
মোর প্রিয়া হবে এস রানী
দেব খোপায় তাঁরার ফুল
……………….
কন্ঠে তোমার পরাব বালিকা
হংস সারির দুলানো মালিকা
বিজলি জরিণ ফিতায় বাধিব
মেঘরঙ এলো চুল।।
Click Here
নয়ন ভরা জল গো তোমার আঁচল ভরা ফুল
ফুল নেব না অশ্রু নেব ভেবে হই আকুল।।
ফুল যদি নিই তোমার হাতে
জল রবে গো নয়ন পাতে
অশ্রু নিলে ফুটবে না আর প্রেমের মুকুল।।
Click Here
পদ্মার ঢেউ রে
মোর শূণ্য হৃদয়
পদ্ম নিয়ে যা যারে
এই পদ্মে ছিল রে যার রাঙ্গা পা
আমি হারায়েছি তারে।।
মোর পরান বঁধু নাই
পদ্মে তাই মধু নাই নাই রে
বাতাস কাঁদে বাইরে
সে সুগন্ধ নাই রে
…………………..
সে প্রেমের ঘাটে বাঁশী বাজায়
যদি দেখিস তারে দিস এই পদ্ম তার পায়
বলিস কেন বুকে আশার দেয়ালী জ্বালিয়ে
ফেলে গেল চির-অন্ধকারে।।
Click Here
পেয়ে অবলা ঘটালে জ্বালা
বাজায় কালা বাঁশের বাঁশী
মোহন স্বরে হৃদ পিঞ্জরে
করিলো মোরে মন উদাসী।।
………………………
বাঁশীটি মন করলে চুরি
ভাংলে বুকে প্রেমের চুরি
অবলা বলে ভুলালে ছলে
পরালে গলে প্রেমের ফাসি।।
Click Here
উচাটন মন ঘরে রয় না
প্রিয়া মোর
ডাকে পথে বাঁকা তব নয়না
প্রিয়া মোর।।
ত্যাজী আর লোক লাজ
সুখ সাধ গৃহ কাজ
নিজ গৃহে বনবাস সয়না
প্রিয়া মোর।।
Click Here
আজও মধুর বাঁশরী বাজে
গোধুলী লগনে বুকের মাঝে।।
আজও মনে হয় সহসা কখনো
জলে ভরা দুটি ডাগর নয়ন
ক্ষনিকের ভুলে সেই চাঁপা ফুলে
ফেলে ছুটে যাওয়া লাজে।।
হারানো দিন বুঝি আসিবে না ফিরে
মন কাঁদে ক্যান স্মৃতির তীরে
মন কাঁদে কেন।
Click Here
ব্রজগোপী খেলে হোরি
খেলে আনন্দ নব ঘণ
শ্যাম সাঝে।।
পিরীতি ফাঁদ মাখা গোরীর সঙ্গে
হোলি খেলে হোরী উন্মাদ রঙ্গে
বসন্তে এ কোন কিশোর দুরন্ত
রাঁধা রে যে নিতে এল পিচকারী হাতে।।
Click Here
প্রিয় এমন তার যেন যায় না বৃথায়
পরি চাঁপা রঙের শাড়ী খয়েরী টিপ
জাগে বাতায়নে জ্বালি আঁখি প্রদীপ
মালা চন্দন দিয়ে মোর কালা সাজাই।।
Click Here
মোর ঘুম ঘোরে এলে মনোহর
নম নম নম নম নম নম
শ্রাবণ মেঘে নাচে নটবর
রম ছম ছম ছম রম ছম।।
…………………………….
মোর ফুল বনে ছিল যত ফুল
ভরি ডালি দিনু থালি দেবতা মোর
হায় নিলেনা সে ফুল
চিঠি বেভুল নিলে তুলি
খোপা খুলি কুসুম ডোর।
স্বপনে কি যে কয়েছি তাই গিয়াছ চলি
জাগিয়া কেঁদে ডাকি দেবতায়
প্রিয়তম প্রিয়তম প্রিয়তম।।
Click Here
হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে
কুড়াই ঝরা ফুল একেলা আমি
তুমি কেন হায় আসিলে হেথায়
সুখের সরগ হইতে নামি।।
…………………………..
এলে অবেলা পথিক বেভুল
বিধেছে কাঁটা নাহি যবে ফুল
কিদিয়ে বরণ করি ও চরণ
নিভিছে জীবন জীবনস্বামী।।
Click Here
প্রিয় যাই যাই বোল না
আর কোর না ছলনা
না না না।।
কেন শরমে বাধিল কে জানে
আঁখি তুলিতে নারিনু আঁখি পানে।
প্রথম প্রণয় ভীরু কিশোরী
যত অনুরাগ তত লাজে মরি
এত আশা সাধ চরণে দোলনা
না না না।।
Click Here
অঞ্জলি লহো মোর সঙ্গীতে
প্রদীপ শিখা সম কাপিছে প্রাণ মম
তোমারে সুন্দর বন্দিতে সঙ্গীতে।।
তোমার মুখে চাহি আমার বাণী যত
লুটাইয়া পরে ঝরা ফুলের মত
তোমার পদতল রঞ্জীতে সঙ্গীতে।।
Click Here
আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়
আমার কথার ফুল গো
আমার গানের মালাগো
কুড়িয়ে তুমি নিয়ো।।
মোর আঁখির পাতায় নাই দেখিলে
আমার আঁখি জল
মোর কন্ঠের সুর অশ্রু ভারে
করে টলমল।
Click Here
নাই চিনিলে আমায় তুমি
রইবো আধেক চেনা
চাঁদ কি জানে কোথায় ফোটে
চাঁদনী রাতে হেনা।।
……………………….
একটু চেনার মধু পিয়ে
বেড়াই শুধু গুন গুনিয়ে
তুমি জান আমি জানি
আর কেহ জানেনা।।
Click Here
মেঘ মেদুর বরষায় কোথায় তুমি
ফুল ছড়ায়ে কাঁদে বনভূমি।।
ঝুরে বারিধারা ফিরে এস পথ হারা
কাঁদে নদী তটচুমি।।
Click Here
রুমুঝুম রুমুঝুম নূপুর বাজে
আসিল রে প্রিয় আসিল রে।।
কদম্ব কলি শিহরে আবেশে
বেণীর তৃষ্ণা জাগে এলোকেশে
হৃদি ব্রজধাম রদ তরঙ্গে
প্রেম আনন্দে ভাসিল রে।।
Click Here
মোরা আর জনমে হংস মিথুন ছিলাম
ছিলাম নদীর চরে
যুগলরুপে এসেছি গো আবার মাটির ঘরে ।
Click Here
খেলিছ এ বিশ্বলয়ে
বিরাট শিশুর আনমনে।
প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা
নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
Click Here
আমায় নহে গো ভালোবাসো শুধু
ভালোবাসো মোর গান
বনের পাখিরে কে চিনে রাখে
গান হলে অবসান ।
শূন্য পত্র পুটে ।
সবাই তৃষ্ণা মেটায় নদীর জলে
কি তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া তলে
বেদনার মহা সাগরের কাছে করো সন্ধান ।
Click Here
এত জল ও – কাজল চোখে
পাষানী আনলে বল কে ?
টলমল জল মোতির মালা
দুলিছে ঝালর –পলকে ।।
দিল কি পুব – হাওয়াতে দোল ,
বুকে কি বিঁধিল কেয়া ?
কাঁদিয়া কুটিরে গগন
এলায়ে ঝামর অলকে।।
Click Here
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী
বলে না তো কিছু চাঁদ।।
Click Here
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
২২ ডিসেম্বর ’১৫ রাত ১২:২২
আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়
আমার কথার ফুল গো
আমার গানের মালাগো
কুড়িয়ে তুমি নিয়ো।
২২ ডিসেম্বর ’১৫ বিকাল ০৪:১৯
ফুল যদি নিই তোমার হাতে
জল রবে গো নয়ন পাতে
অশ্রু নিলে ফুটবে না আর প্রেমের মুকুল।।
শাওন রাতে যদি স্মরণে আসে মোরে
বাহিরে ঝড় বহে নয়নে বারি ঝরে
আমার প্রিয় গান ...
২২ ডিসেম্বর ’১৫ বিকাল ০৫:১১
নজরুল এমন প্রতীভা যে তাকে একশভাগ উপস্থাপন করা অসম্ভব। তিনি যেসময় বিদ্রোহ করেছেন সে সময় সেটা ছিলো অনন্য। একজন কবি হিসেবে বিদ্রোহের মাধ্যমে তিনিই তার স্বকীয়তা দেখিয়েছেন।
এতে সবাই এই বিষয়টাকেই বিশেষ দৃষ্টিতে দেখে থাকেন। অথচ নজরুল এমন একজন ব্যাক্তিত্ব যিনি সর্বাধিক ভক্তি সংগীতেরও রচয়িতা। তার ভক্তি সংগীত গেয়ে পুঁজো করা হয়। শতগুণের পাশাপাশি তিনি প্রেমের কবিও।
জীবন্ত দুখু মিয়া শুধু আর্থিক দিক থেকেই বঞ্চিত ছিলেন না, নিজের বহু গুণের কদর না পাওয়া চিরো দুখী মানুষ হলেন নজরুল। উনি বাঙ্গালী জাতির দ্রুবতারা।
২২ ডিসেম্বর ’১৫ বিকাল ০৫:৫৫
আলগা করো গো খোপার বাঁধন
দিল ওহি মেরা ফাস গায়ি
বিনোদ বেনির জরিন ফিতায় আন্ধা
ইশক মেরা কাস গায়ি
অসাধারন!