চলছে গাড়ি চিচিংপুরে!
আমার আফায় যে কিরাম দুমুখো সাপ তার কিছু বিবরণ আপনাদের সামনে পেশ করতে চাই।আপনাদের মনে থাকার কথা,১৯৮১ সাল থেকে নব্বই নাগাদ সারা বাংলাদেশে চলছিল স্বৈরাচার এরশাদ বিরোধী আন্দোলন।যেখানে আওয়ামী লীগ,বিএনপিও জামায়াত একযোগে আন্দোলন করছিল,দাবি একটাই এরশাদের পতন তার সঙ্গে কোন আলোচনা নয়।কিন্তু অন্যন্য বিরোধীদল গুলো যখন তাদের প্রতিশ্রুতিতে অটল তখনই আমার আফায় তথাকথিত বিরোধীদল হবার আশায় স্বৈরাচারের পাতানো নির্বাচনে অংশগ্রহন করেন।কি অদ্ভৃত ব্যাপার যাকে আপনি স্বৈরাচার আখ্যায়িত করে উতখাতের জন্য আন্দোলন করছেন আবার তার পাতানো নির্বাচনে যোগদান করছেন!আফা ও তার দল অন্যদের সাথে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহন করলে নব্বই সালের ১০ই নভেম্বর বুক ও পিঠে “গনতন্ত্র মুক্তি পাক” লিখা যুবলীগের নেতা নূর হোসেন বুলেট বিদ্ধ হয়ে মারা যান।আন্দোলন চাঙ্গা হতে থাকে এবং ৬ই ডিসেম্বর এরশাদ পদত্যাগ করেন।যার বুকের তাজা রক্ত এরশাদ নামক স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছিল সেই চাচার লগেই এখন আমার আফার দারুন সম্পর্ক।আফায় সরকারের প্রধানমন্ত্রী এবং চাচারে নিযুক্ত করেছেন বিশেষ দূত হিসাবে।চলছে গাড়ি চিচিংপুরে!
আপনাদের হাতে সময় থাকলে আরেকটি বিবরন পেশ করতে চাই।আমার আফায় যে,ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদে বিশ্বাসী সেটা আপনাদের সবারই জানা।মানুষ যতবেশি শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতির দিকে ঝুকে পড়বে ততবেশী পরিমানে মানুষ সেক্যুলারিজমের দিকে আকৃষ্ট হবে এটাই আমার আফা ও তার দলের বিশ্বাস।স্বাভাবিক ভাবেই আফায় ক্ষমতায় আসলে শিল্প-সংস্কৃতি চর্চার পরিমান বেড়ে যায় যেটা ম্যাডামের বেলায় ভাটা পড়ে।এজন্যই আফা ছবির হাট,সোহরার্দী উদ্যান এবং টিএসসি কে সংস্কৃতি চর্চার জন্য উন্মুক্ত করে দিলেন।যতটা সম্ভব সংস্কৃতি প্রেমিকদের পৃষ্ঠপোষকতা দিতেও কার্পণ্যবোধ করেননী।বৈশাখী মেলা থেকে শুরু করে সব ধরনের উৎসব পার্বণের জন্য শাহবাগকে করে তুললেন তীর্থভূমি হিসাবে।যেটাকে কোন ভাবেই দর্মান্ধরা মেনে নিতে পারেনী।তারা দীর্ঘদিন ধরে পায়তারা করে আসছে ছবির হাট ও সোহরার্দী উদ্যানকে বন্ধ করে দেবার জন্যে।আমার আফায় ও পায়তারা খুজছিলেন কিভাবে এগুলো বন্ধ করে ধর্মপ্রিয় সাধারন মানুষের আস্থাভাজন হওয়া যায়।কারন বাম ঘেষা সাধারন মানুষজনতো আছেই সেইসাথে যদি ডানপন্থিদের খুশি করা যায় তাহলে আগামী নির্বাচনে ঠেকায় কে!যে চিন্তা সেই কাজ!পহেলা বৈশাখের মত জাকজমক পৃর্ন অনুষ্ঠানে শাহবাগের মত জনবহুল এলাকাতে ঘটে গেল উতিহাসের কাংখিত কালো অধ্যায়!লক্ষ লক্ষ মানুষের মাঝে একজন নারীকে বেইজ্জতী করা হল। বলা হল.এ কাজ মৌলবাদী চক্রান্তকারীদের চিন্তারফসল।মৌলবাদীদের দীর্ঘদিনের চিন্তাকে রুপ দিতে লাগলেন আমার আফায়!বন্ধ করে দিলেন ছবির হাট,বন্ধ করে দিলেন সোহরার্দী উদ্যান সন্ধ্যা ৬টা সাথে সাথে।এখন আবার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যেই শিল্পকলার মাঠ খালি করে দেয়া হচ্ছে পুলিশ দিয়ে।ফলে শিল্পকলায় এখন আর আগের মত লোকসমাগম হয়না বললেই চলে।সেক্যুলারিজমের ধুয়ো তুলে একদিকে বামরামদের জোটে ভিরাচ্ছেন অন্যদিকে ডানপন্থিদের খুশি করার জন্য তাদের চিন্তা বাস্তবায়ন করছেন যাকে বলে মৌলবাদী চিন্তা!“একহাতমে প্রগতি আরেক হাতমে তসবিহ”আমার আফার দু-হাত সমানে চলে!চলছে গাড়ি চিচিংপুরে……..?
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
২১ ডিসেম্বর ’১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫৫
আওয়ামীলীগের বিরোধীতা না করে সহযোগীতা করুন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সভ্যতা এত ভালো হলে তো বঙ্গবন্ধু কন্যাকে এত অপদস্তও হতে হয়না। সেকুলারিজমের কত নাম্বার সুধী হয়েছেন? বহু সুধীই তো নিজের রুপ দেখালো! অতি বুঝের কারনেই বঙ্গবন্ধুকে ভুল ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনারা। ঐসময় তো মৌলবাদ পরাজিত ছিলো। আজ আবার যখন এক নৌকার বিপ্লবীদের ষড়যন্ত্রের সুযোগে মৌলবাদীরা শক্তিশালী হল তখন মুখ উল্টাচ্ছেন!
যারা কিছু করে তাদেরই ভুল থাকে। সেখান থেকে শিক্ষা নিতে হয়। এভাবেই আমরা ভুলকে শিক্ষক ভাবি। আপনাদের মত ঘরের কোনায় বসে লাল পতাকা দেখাইনা।
২১ ডিসেম্বর ’১৫ সন্ধ্যা ০৭:০৭
দেখেন,আবেগে কথা বলবেন না!বঙ্গবন্ধু কে আমরা ভূলভাবে উপস্থাপন করিনাই বরং তিনিই অনেকের মতে ভূলপথে অগ্রসর হয়েছিলেন।