রাষ্ট্রীয় চাঁপে আদিবাসীদের অস্তিত্ব বিলুপ্তির পথে
জীবনের জন্ম যেখানে,সেখানেই হোক না মরণ-
পাহাড় হচ্ছে আদিবাসীদের জন্মভূমি ,মাতৃভূমি।পাহাড়ই আদিবাসীদের প্রাণ।পাহাড়ের প্রাণের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন প্রাণ মেলাতে পাহাড়ের আদিবাসীরা বেশ উচ্ছাসিত।তারা তাদের স্বাতন্ত্র স্বকীয়তা নিয়েই প্রকৃতির বৈচিত্রময় সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়ের বুকে স্বাধীন চিন্তা চেতনার অনুকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার নিশ্চিৎ করে জীবন প্রাবাহের গতিধারার অগ্রগতি নিয়ে পাহাড়ের কোলে মুক্ত নিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।-এরকম আরো হাজার স্বাধীন স্বপ্ন আদিবাসীদের মনে বাসা বেঁধে আছে দীর্ঘদিন ধরে।কিন্তু সেসব স্বপ্ন আদিবাসীদের আশার আকাশে এখন কালো মেঘে রূপান্তরিত হয়ে দাড়িয়ে আছে পাহাড়ের বুকে।
বর্তমানে পাহাড়ে আদিবাসীদের চরম অস্তিত্বের সংকত দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্র কতৃক পাহাড়ের উপর, পাহাড়ের আদিবাসীদের উপর ইচ্ছেকৃতভাবে চাঁপিয়ে দেয়া কিছু অসাংবিধানিক বিকৃত আইন পাহাড়ে আদিবাসীদের বিলুপ্তির পথে দাবিথ করছে।বঙ্গবন্ধু কখনো চাননি যে পাহাড়ে আদিবাসীদের অস্তিত্ব থাকুক।তিনি মনে প্রাণে চেয়েছিলেন পাহাড় থেকে অতিসত্তর আদিবাসীদের অস্তিত্বের বিলুপ্ত ঘটাতে।যে কারণে ১৯৭২ সালের গণপরিষদের অধিবেশনে আদিবাসী জাতিসত্বার অগ্রদূত ও সারা বিশ্বের খেতে খাওয়া গরীর দুঃখী মেহনতী মানুষের স্বপ্নদ্রষ্টা, মহান বিপ্লবী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে(এম,এন,লারমা) বলেছিলেন —"লারমা তুমি বেশি বারাবারি করোনা,প্রয়োজনে পাহাড়ে ১ লাখ,২ লাখ থেকে ১০ লাখ বাঙালী ঢুকিয়ে দেয়া হবে"!!!
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা বঙ্গবন্ধুর অসঙ্গতিপূর্ণ ও প্রতিক্রিয়াশীল বক্তব্যে খুবই লজ্জাবোধ করেছিলেন এবং তিনি গণপরিষদ ভবন থেকে ওয়াক আউট করে বেড়িয়ে আসেন।তাহলে ভাবুন বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কতটা প্রতিক্রিয়াশীল ও আদিবাসী বিদ্বেষী ছিলেন!!!
পাহাড়ের বর্তমান বাস্তবতাঃ
বর্তমানে আরো বেশি অধিকতর এবং প্রকতভাবে পাহাড়ের আদিবাসীদের উপর সেনা শাসন নামের দানবিয় দাবানল অব্যাহত রেখে পাহাড়ের আদিবাসীদেরকে দারুণভাবে দমন পীড়ন করা হচ্ছে।অপরদিকে সেই ৮০’র দশকে অনুপ্রবেশ করা সেটেলার বাঙালী কতৃক আদিবাসীদের উপর নিপীড়ন নির্যাতন তো লেগে আছেই।১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হওয়া “পার্বত্য চুক্তি”র পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী কোন সময়েই আদিবাসীরা সেনাবাহিনী এবং সেটেলার বাঙালী কতৃক সংঘটিত নির্যাতন, নিপীড়নের বাইরে থাকেনি এবং সাম্প্রতিক সময়েও একই বাস্তবতা পরিলক্ষিত হচ্ছে পাহাড়ের আদিবাসীদের জীবধারায়।
কখনো সেটেলার বাঙালীরা পুড়িয়ে দিচ্ছে আদিবাসীদের ঘরবাড়ী,কখনো সেটেলার বাঙালী কতৃক ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হচ্ছে আদিবাসী মা-বোনেরা!এমনকি নরপশু সেটেলার বাঙালীদের দানবিয় থাবা থেকে রক্ষা পায়নি ৯/১০ বছর বয়সী কমলমতি আদিবাসী শিশুরাও।একই কর্মকান্ডে লিপ্ত বাংলার দামাল ছেলে সেনাবাহিনীরাও।তুলনামূলকভাবে সেটেলার বাঙালীদের থেকে সেনাবাহিনীরা অন্যায় অবিচারের ক্ষেত্রে অনেকাংশে এগিয়ে। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে আদিবাসীরা হয়ে যায় রাষ্ট্রদ্রোহি, দেশদ্রোহি,বিচ্ছিনতাবাদী।বাংলার গৌরবীয় সন্তান সেনাবাহিনীরা নাটকীয়ভাবে ধরপাকর করে হয়রানির শিকার করছে নিরীহ আদিবাসীদের।ফলে একটা সংকতময় ও আতংকিত পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অস্তিত্বের চরম সংকতে পদার্পন করছে পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় আদিবাসীরা।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
পাহাড় হচ্ছে আদিবাসীদের জন্মভূমি ,মাতৃভূমি।পাহাড়ই আদিবাসীদের প্রাণ।পাহাড়ের প্রাণের সাথে নিরবিচ্ছিন্ন প্রাণ মেলাতে পাহাড়ের আদিবাসীরা বেশ উচ্ছাসিত।তারা তাদের স্বাতন্ত্র স্বকীয়তা নিয়েই প্রকৃতির বৈচিত্রময় সৌন্দর্যের লীলাভূমি পাহাড়ের বুকে স্বাধীন চিন্তা চেতনার অনুকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার নিশ্চিৎ করে জীবন প্রাবাহের গতিধারার অগ্রগতি নিয়ে পাহাড়ের কোলে মুক্ত নিঃশ্বাস নিয়ে বেঁচে থাকতে চাই।-এরকম আরো হাজার স্বাধীন স্বপ্ন আদিবাসীদের মনে বাসা বেঁধে আছে দীর্ঘদিন ধরে।কিন্তু সেসব স্বপ্ন আদিবাসীদের আশার আকাশে এখন কালো মেঘে রূপান্তরিত হয়ে দাড়িয়ে আছে পাহাড়ের বুকে।
বর্তমানে পাহাড়ে আদিবাসীদের চরম অস্তিত্বের সংকত দেখা দিয়েছে। রাষ্ট্র কতৃক পাহাড়ের উপর, পাহাড়ের আদিবাসীদের উপর ইচ্ছেকৃতভাবে চাঁপিয়ে দেয়া কিছু অসাংবিধানিক বিকৃত আইন পাহাড়ে আদিবাসীদের বিলুপ্তির পথে দাবিথ করছে।বঙ্গবন্ধু কখনো চাননি যে পাহাড়ে আদিবাসীদের অস্তিত্ব থাকুক।তিনি মনে প্রাণে চেয়েছিলেন পাহাড় থেকে অতিসত্তর আদিবাসীদের অস্তিত্বের বিলুপ্ত ঘটাতে।যে কারণে ১৯৭২ সালের গণপরিষদের অধিবেশনে আদিবাসী জাতিসত্বার অগ্রদূত ও সারা বিশ্বের খেতে খাওয়া গরীর দুঃখী মেহনতী মানুষের স্বপ্নদ্রষ্টা, মহান বিপ্লবী নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমাকে(এম,এন,লারমা) বলেছিলেন —"লারমা তুমি বেশি বারাবারি করোনা,প্রয়োজনে পাহাড়ে ১ লাখ,২ লাখ থেকে ১০ লাখ বাঙালী ঢুকিয়ে দেয়া হবে"!!!
মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা বঙ্গবন্ধুর অসঙ্গতিপূর্ণ ও প্রতিক্রিয়াশীল বক্তব্যে খুবই লজ্জাবোধ করেছিলেন এবং তিনি গণপরিষদ ভবন থেকে ওয়াক আউট করে বেড়িয়ে আসেন।তাহলে ভাবুন বাংলার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু কতটা প্রতিক্রিয়াশীল ও আদিবাসী বিদ্বেষী ছিলেন!!!
পাহাড়ের বর্তমান বাস্তবতাঃ
বর্তমানে আরো বেশি অধিকতর এবং প্রকতভাবে পাহাড়ের আদিবাসীদের উপর সেনা শাসন নামের দানবিয় দাবানল অব্যাহত রেখে পাহাড়ের আদিবাসীদেরকে দারুণভাবে দমন পীড়ন করা হচ্ছে।অপরদিকে সেই ৮০’র দশকে অনুপ্রবেশ করা সেটেলার বাঙালী কতৃক আদিবাসীদের উপর নিপীড়ন নির্যাতন তো লেগে আছেই।১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর স্বাক্ষরিত হওয়া “পার্বত্য চুক্তি”র পূর্ববর্তী এবং পরবর্তী কোন সময়েই আদিবাসীরা সেনাবাহিনী এবং সেটেলার বাঙালী কতৃক সংঘটিত নির্যাতন, নিপীড়নের বাইরে থাকেনি এবং সাম্প্রতিক সময়েও একই বাস্তবতা পরিলক্ষিত হচ্ছে পাহাড়ের আদিবাসীদের জীবধারায়।
কখনো সেটেলার বাঙালীরা পুড়িয়ে দিচ্ছে আদিবাসীদের ঘরবাড়ী,কখনো সেটেলার বাঙালী কতৃক ধর্ষণ এবং ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হচ্ছে আদিবাসী মা-বোনেরা!এমনকি নরপশু সেটেলার বাঙালীদের দানবিয় থাবা থেকে রক্ষা পায়নি ৯/১০ বছর বয়সী কমলমতি আদিবাসী শিশুরাও।একই কর্মকান্ডে লিপ্ত বাংলার দামাল ছেলে সেনাবাহিনীরাও।তুলনামূলকভাবে সেটেলার বাঙালীদের থেকে সেনাবাহিনীরা অন্যায় অবিচারের ক্ষেত্রে অনেকাংশে এগিয়ে। এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গেলে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গীতে আদিবাসীরা হয়ে যায় রাষ্ট্রদ্রোহি, দেশদ্রোহি,বিচ্ছিনতাবাদী।বাংলার গৌরবীয় সন্তান সেনাবাহিনীরা নাটকীয়ভাবে ধরপাকর করে হয়রানির শিকার করছে নিরীহ আদিবাসীদের।ফলে একটা সংকতময় ও আতংকিত পরিবেশ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে অস্তিত্বের চরম সংকতে পদার্পন করছে পাহাড়ের শান্তিপ্রিয় আদিবাসীরা।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.