ধর্ম ও বিজ্ঞান

ধর্ম কথাটার ব্যাখ্যা করা যায় এইভাবে যে এটি হচ্ছে এক ধরনের প্রক্রিয়া ও বিশ্বাস----- যার মূলে রয়েছে এই ধারণার মধ্যে যে এই বিশ্ব পরিচালিত হয় একটি অতিপ্রাকৃত শক্তি দ্ধারা, যে শক্তির কাছে প্রার্থনা জানিয়ে বা বলিদান দিয়ে তাকে সন্তুষ্ট করা যায় এবং জ্ঞানের দ্ধারা নয়,বিশ্বাসের দ্ধারাই যে শক্তিকে জানা যায়।
আর বিজ্ঞান হচ্ছে এমন এক ধরনের প্রক্রিয়া ও বিশ্বাস যার মূলে রয়েছে এই চিন্তা যে এই বিশ্ব হচ্ছে প্রাকৃতিক নিয়মে পরিচালিত বস্তুগত বিকাশ পদ্ধতি এবং যে পরিমানে মানুষ এই বিকাশ পদ্ধতি জানতে পারে সেই পরিমানে মানুষ তাকে প্রভাবিত করতে পারে।
বিশ্বাসের দৃষ্টি দিয়ে দেখলে যে ঘটনাকে ঈশ্বরের ইচ্ছা বলে মনে হয়,বৈজ্ঞানিক অনুশীলনে তাকেই বস্তুগতভাবে প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ উপায়ে বিশ্লেষণযোগ্য ঘটনা বলে বোঝা যায়।ধর্ম বলে যে,ঈশ্বরের অনুকরণেই মানুষ সৃষ্টি হয়েছে।কিন্তু ধর্মের ইতিহাসে বৈজ্ঞানিকভাবে অনুসন্ধান করলেই দেখা যাবে যে,মানুষ তার নিজের কল্পনা থেকেই ঈশ্বরকে সৃষ্টি করেছে।এক ধর্ম যে আরেক ধর্ম থেকে বেশি সত্য এ কথা প্রমাণের কোন গ্রহনযোগ্য ভিত্তি নেই।ভূল ধারণার উপর ভিত্তি করেই সব ধর্ম দাঁড়িয়ে আছে।যদি তার কোনোটির মধ্যে সামান্য কিছু সত্য থাকেও তবে দেখা যাবে যে সে সত্যটুকু বিজ্ঞানই তাকে মানতে বাধ্য করেছে।
বিজ্ঞান হচ্ছে প্রকৃত জ্ঞান বা বাস্তবভাবে প্রামাণ্য।বিজ্ঞান তার শেষ সিদ্ধান্তে গিয়ে পৌঁছাইনি।বিজ্ঞান সব সময়েই ক্রমপ্রকাশমান।যে পরিমানে বিজ্ঞান বিকাশ লাভ করছে সেই পরিমানেই ধর্ম লোপ পাচ্ছে।কারণ জ্ঞান শক্তি জন্ম দেয় এবং মানুষ যে পরিমাণে তার নিজের এবং তার পরিবেশের উপর ক্ষমতা অর্জন করেছে সেই পরিমাণেই তার ঈশ্বরের উপর আস্থার প্রয়োজন ফুরিয়ে যাচ্ছে।ঈশ্বরের উপর আস্তা হচ্ছে মানুষের অজ্ঞতা এবং দুর্বলতারই বহিঃপ্রকাশ।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.