ইসলাম বিদ্বেষ বা ইসলাম বিরোধী চক্রান্ত
ইসলাম আমার ধর্ম, পুরো বিশ্বের ধর্ম। গুটি কয়েক মানুষের জন্য এই ধর্ম নয়। আমাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ হচ্ছে @আল কুরআন যাকে পরিপূর্ণ জীবন বিধান বলা হয়। এই গ্রন্থ মানব সমাজের সকল সমস্যার সমাধান দিতে পারে। এমন কোনো ব্যাপার নেই যার সমাধান কুরআনে নেই। এত বড় একটা ব্যাপার। তবুও আমরা পরিপূর্ন ধর্মের পরিপূর্ণ ধর্মগ্রন্থের পরিপূর্ণ ব্যভার করতে পারি না। কীভাবে করব?
জানেন কি?
কীভাবে করব বা কীভাবে করবেন???
এটা কোনো প্রশ্ন হতে পারে না। এত বড় জীবন বিধান, এত বড় ধর্ম অথচ আমরা!!!
সৃষ্টির সেরা জীব আমরা!!
এটাও মানতে হবে??? হুম. মানতেই হবে। কারণ গুটিকতেক যুগের মানুষের জন্য তো আর সর্বগ্র মানবজাতিকে ছোট করা যায় না। কারণ, হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে হযরত ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ, মুসা কালিমুল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পর্যন্ত সকল নবী রাসূল ছাড়াও হাশরের ময়দানে যারা বেহেশত পাবে তারাও তো মানুষ। তারাই আশরাফুল মাখলুকাত। আর যারা দোযখে পতিত হবে তারা কুলাঙ্গার। বিবেক, বুদ্ধি-জ্ঞান, স্বাধীনতা এসব আল্লাহ মানব জাতির হাতে দিয়েছেন। যারা কাজে লাগাতে পারে তারা কখনোই বিপথগামী হবে না। কিন্তু যারা এসবকে কাজে লাগায় না তারা অবশ্যই অবশ্যই বিপথগামী হবে। বর্তমানে একুশ শতক চলতেছে খ্রিস্টীয় ক্যালেন্ডার মোতাবেক। একুশ শতকে এসে পৃথিবীর মানুষ আজ জঘন্যতম অবস্থানে এসে দাড়িয়েছে। বর্তমানে পরিপূর্ণ জীবন বিধানকে ছেড়ে সকলেই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। এতে করে কুরআন সম্পর্কে অজ্ঞতা বাড়ছে। ইসলামের সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে। মানুষের বিবেক, বুদ্ধি অচল হয়ে গেছে। সবাই নামে নিজেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)'র উম্মত, আল্লাহর বান্দা বলে পরিচয় দিলেও কাজকর্মে সম্পূর্ণই ভিন্নপথগামী। নিজেকেও তাদের থেকে আলাদা মনে করি না। বর্তমানে আমাদের ইসলাম সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞানটুকুও অনেক দূর্বল ভিত্তিতে গড়া। যা অনেক সময় দোলাচলে থাকে। সামান্য অবিশ্বাসের বৃষ্টিতেও যা দোদুল্যমান। আমাদের এই দূর্বলতাকেই এখন সারা বিশ্বের ইসলাম বিরোধীরা কাজে লাগাচ্ছে। আমাদের নিজেদের মাঝেই বহুধরণের সৃষ্টি হয়েছে৷ আর সব দূর্বল জায়গা গুলোতেই লক্ষ্য করেই এগোচ্ছে ইসলামবিদ্বেষীরা। এতে বাড়ছে চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, ধর্ষণ, নারীপাচার, জঙ্গীবাদ। এর মাঝে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে জঙ্গীবাদ। জঙ্গীবাদ হলো জিহাদের নামে সন্ত্রাস।
জঙ্গীবাদ!!!
কতটা নির্মম শুনতে, বলতে আবার কাজেও। আমাদের দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান আনুমানিক কয়েক হাজার বছর পূর্বেই। যখন আমাদের দেশ একক স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না। ছিল কয়েকটা দেশ মিলে একটা উপমহাদেশ ভারতবর্ষ। ভারতবর্ষ কিন্তু তখনো ইসলাম আসে নি। একটা পুরোই ধর্মহীন জাতি বলা না গেলেও কোনো নির্দিষ্টতা ছিল না। সমাজে ছিল কুসংস্কার। এই উপমহাদেশের মানুষের মাঝে ছিল চরম শূণ্যতা। এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধর্ম হিসেবে মানুষের মনে পৌরাণিক কল্পকাহিনী। নারীদের জায়গা হয় শোষিত শ্রেণিতে। পৌরাণিক কল্পকাহিনি থেকেই যতদুর জানি হিন্দুত্বের সৃষ্টি। এর মাঝেই এদেশে প্রবেশ করে সারা বিশ্বের সকল মানুষের ধর্ম ইসলাম। অনেক অলী আঊলিয়ারা ইসলাম প্রচারে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। এদেশের মানুষ খুজে পায় নির্ভর করার মতো একটা ধর্ম। এছাড়াও এদেশে আসে অনেক সুলতান, সম্রাট। এনাদের মাধ্যমে এদেশে ইসলামের আগমন। বেশির ভাগ লোক হয়ে গেল নবমুসলিম। আর অনেকে আগের ধর্মেই থেকে গেল। নব মুসলিমরা ইসলাম গ্রহণ করলেও সকলে সম্পূর্ণ জ্ঞান আরোহণ করতে পারে নি। তাই যদি না হয় এদেশের হিন্দু শ্রেণির লোকের মতো মসলিমরাও নারীদের প্রতি সহজ ছিল না। তখন ছিল নারীদের দাসত্ব। নারী জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মতো ঘটানাও ঘটত। আর কুসংস্কারের কারণে নারীদের এ সমাজের লোক ভিন্ন চোখে দেখত। সম্মান করত না। নবমুসলিম সনাজের মাঝেও এই কাজগুলা অব্যাহত ছিল। অথচ ইসলামে বরাবরই নারীদের অনেক সম্মেনের অধিকারী করে দিয়েছে। নারীদের ব্যাবসা করার অনুমতি দেয়া আছে। নারীদের পুর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। যা মুসলিম হওয়ার পরে স্থান নিতে পারে না। অবশেষে নারী আন্দোলনের পথিকৃতের সন্ধান পাওয়া যায়। বেগম রোকেয়া সর্বপ্রথম নারী আন্দোলনের সূচনা করেন যা তখন ইসলামের পরিপন্থী থাকলেও বর্তমানে ইসলাম বিরোধী কাজে রুপান্তরিত হয়েছে। ইসলামে নারী স্বাধীনতা থাক্লেও নারী পর্দার ব্যপারে ইসলামে কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে নারী স্বাধীনতার নামে পোষাক অশালীনতার মাত্রা অতিক্রম করেছে। যার ফলে অনেক নারীই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পরে বিপথগামী হয়ে পড়ে। এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইসলাম সম্পর্কে ভীতি ছড়ানোর চেস্টা চালাচ্ছে। আর বিশ্বকে ইসলামের থেকে দূরে সরানোর জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা নিজেদের অজানাতেই ওসব পথে পরিচালিত হচ্ছি। আমাদের অজ্ঞতার কারণে, আমরা ভ্রান্ত ধারণার দোলাচলে পরে বিরোধীদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ইসলাম থেকে, মহান আল্লাহ থেকে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।(নাউযুবিল্লাহ) অথচ আমরা একবারের জন্যও নিজেদের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে বিচার করছি না। জঙ্গীবাদ ছাড়াও ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে পরছে অনলাইন ব্লগের মাধ্যমে। যার বড় উদাহরণ ২০১৩ সাল পরবর্তী অনলাইন আন্দোলন এবং গণজাগরণ মঞ্চ। ইসলামকে নিয়ে কটূক্তি বলছিল অনলাইন ব্লগে। অথচ আমরা সকলে এ বিষয়ে অবগত হয়েও কোনো কিছু বলার প্রয়োজন মনে করি নাই। আর সেই আমরাই নারী ধর্ষণ নিয়ে আন্দোলন করি। যে ইসলাম মানলে নারীদের ভয় থাকত না। শোষিত হতে হত না। নির্যাতিত হতে হত না। নারীদের হয়ে কাউকে আন্দোলনেও নামতে হত না। কারণ ইসলাম নারীদের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছে। আমরা ইসলামের হয়ে ইসলাম বিরোধীদের রুখতে জানি না। ইসলামকে চক্রান্ত হতে রক্ষা করতে জানি না। তাহলে আমরা কিসের মুসলিম??
ইসলাম মানুষকে সত পথে পরিচালিত করে। ইসলাম থেকে সরে আসা মানেই চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হওয়া। আল্লাহর রহমতের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা। যা আমাদের দুনিয়াবী জীবন, আখিরাতের জীবন দুই'ই ধ্বংস করতে যথেষ্ট।
সুতরাং, আগে পরিপূর্ণ মুসলমান হোন। সবকিছু বিস্তারিত জানুন, বুঝুন। নিজের বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে শিখুন। নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিবেন না। একজন মুসলিম হিসেবে আপনার কাছে তা অবশ্যইকাম্য নয়।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
জানেন কি?
কীভাবে করব বা কীভাবে করবেন???
এটা কোনো প্রশ্ন হতে পারে না। এত বড় জীবন বিধান, এত বড় ধর্ম অথচ আমরা!!!
সৃষ্টির সেরা জীব আমরা!!
এটাও মানতে হবে??? হুম. মানতেই হবে। কারণ গুটিকতেক যুগের মানুষের জন্য তো আর সর্বগ্র মানবজাতিকে ছোট করা যায় না। কারণ, হযরত আদম (আঃ) থেকে শুরু করে হযরত ইব্রাহীম খলিলুল্লাহ, মুসা কালিমুল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) পর্যন্ত সকল নবী রাসূল ছাড়াও হাশরের ময়দানে যারা বেহেশত পাবে তারাও তো মানুষ। তারাই আশরাফুল মাখলুকাত। আর যারা দোযখে পতিত হবে তারা কুলাঙ্গার। বিবেক, বুদ্ধি-জ্ঞান, স্বাধীনতা এসব আল্লাহ মানব জাতির হাতে দিয়েছেন। যারা কাজে লাগাতে পারে তারা কখনোই বিপথগামী হবে না। কিন্তু যারা এসবকে কাজে লাগায় না তারা অবশ্যই অবশ্যই বিপথগামী হবে। বর্তমানে একুশ শতক চলতেছে খ্রিস্টীয় ক্যালেন্ডার মোতাবেক। একুশ শতকে এসে পৃথিবীর মানুষ আজ জঘন্যতম অবস্থানে এসে দাড়িয়েছে। বর্তমানে পরিপূর্ণ জীবন বিধানকে ছেড়ে সকলেই প্রযুক্তির দিকে ঝুঁকছে। এতে করে কুরআন সম্পর্কে অজ্ঞতা বাড়ছে। ইসলামের সম্পর্কে ভুল ধারণা তৈরি হচ্ছে। মানুষের বিবেক, বুদ্ধি অচল হয়ে গেছে। সবাই নামে নিজেকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লালাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)'র উম্মত, আল্লাহর বান্দা বলে পরিচয় দিলেও কাজকর্মে সম্পূর্ণই ভিন্নপথগামী। নিজেকেও তাদের থেকে আলাদা মনে করি না। বর্তমানে আমাদের ইসলাম সম্পর্কে নূন্যতম জ্ঞানটুকুও অনেক দূর্বল ভিত্তিতে গড়া। যা অনেক সময় দোলাচলে থাকে। সামান্য অবিশ্বাসের বৃষ্টিতেও যা দোদুল্যমান। আমাদের এই দূর্বলতাকেই এখন সারা বিশ্বের ইসলাম বিরোধীরা কাজে লাগাচ্ছে। আমাদের নিজেদের মাঝেই বহুধরণের সৃষ্টি হয়েছে৷ আর সব দূর্বল জায়গা গুলোতেই লক্ষ্য করেই এগোচ্ছে ইসলামবিদ্বেষীরা। এতে বাড়ছে চুরি ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, ধর্ষণ, নারীপাচার, জঙ্গীবাদ। এর মাঝে সবচেয়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে জঙ্গীবাদ। জঙ্গীবাদ হলো জিহাদের নামে সন্ত্রাস।
জঙ্গীবাদ!!!
কতটা নির্মম শুনতে, বলতে আবার কাজেও। আমাদের দেশে জঙ্গীবাদের উত্থান আনুমানিক কয়েক হাজার বছর পূর্বেই। যখন আমাদের দেশ একক স্বাধীন রাষ্ট্র ছিল না। ছিল কয়েকটা দেশ মিলে একটা উপমহাদেশ ভারতবর্ষ। ভারতবর্ষ কিন্তু তখনো ইসলাম আসে নি। একটা পুরোই ধর্মহীন জাতি বলা না গেলেও কোনো নির্দিষ্টতা ছিল না। সমাজে ছিল কুসংস্কার। এই উপমহাদেশের মানুষের মাঝে ছিল চরম শূণ্যতা। এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে ধর্ম হিসেবে মানুষের মনে পৌরাণিক কল্পকাহিনী। নারীদের জায়গা হয় শোষিত শ্রেণিতে। পৌরাণিক কল্পকাহিনি থেকেই যতদুর জানি হিন্দুত্বের সৃষ্টি। এর মাঝেই এদেশে প্রবেশ করে সারা বিশ্বের সকল মানুষের ধর্ম ইসলাম। অনেক অলী আঊলিয়ারা ইসলাম প্রচারে ভারতবর্ষে প্রবেশ করে। এদেশের মানুষ খুজে পায় নির্ভর করার মতো একটা ধর্ম। এছাড়াও এদেশে আসে অনেক সুলতান, সম্রাট। এনাদের মাধ্যমে এদেশে ইসলামের আগমন। বেশির ভাগ লোক হয়ে গেল নবমুসলিম। আর অনেকে আগের ধর্মেই থেকে গেল। নব মুসলিমরা ইসলাম গ্রহণ করলেও সকলে সম্পূর্ণ জ্ঞান আরোহণ করতে পারে নি। তাই যদি না হয় এদেশের হিন্দু শ্রেণির লোকের মতো মসলিমরাও নারীদের প্রতি সহজ ছিল না। তখন ছিল নারীদের দাসত্ব। নারী জীবন্ত পুড়িয়ে মারার মতো ঘটানাও ঘটত। আর কুসংস্কারের কারণে নারীদের এ সমাজের লোক ভিন্ন চোখে দেখত। সম্মান করত না। নবমুসলিম সনাজের মাঝেও এই কাজগুলা অব্যাহত ছিল। অথচ ইসলামে বরাবরই নারীদের অনেক সম্মেনের অধিকারী করে দিয়েছে। নারীদের ব্যাবসা করার অনুমতি দেয়া আছে। নারীদের পুর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে। যা মুসলিম হওয়ার পরে স্থান নিতে পারে না। অবশেষে নারী আন্দোলনের পথিকৃতের সন্ধান পাওয়া যায়। বেগম রোকেয়া সর্বপ্রথম নারী আন্দোলনের সূচনা করেন যা তখন ইসলামের পরিপন্থী থাকলেও বর্তমানে ইসলাম বিরোধী কাজে রুপান্তরিত হয়েছে। ইসলামে নারী স্বাধীনতা থাক্লেও নারী পর্দার ব্যপারে ইসলামে কঠোর সিদ্ধান্ত দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে নারী স্বাধীনতার নামে পোষাক অশালীনতার মাত্রা অতিক্রম করেছে। যার ফলে অনেক নারীই বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতিতে পরে বিপথগামী হয়ে পড়ে। এসব সুযোগ কাজে লাগিয়ে ইসলাম সম্পর্কে ভীতি ছড়ানোর চেস্টা চালাচ্ছে। আর বিশ্বকে ইসলামের থেকে দূরে সরানোর জোর চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা নিজেদের অজানাতেই ওসব পথে পরিচালিত হচ্ছি। আমাদের অজ্ঞতার কারণে, আমরা ভ্রান্ত ধারণার দোলাচলে পরে বিরোধীদের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ইসলাম থেকে, মহান আল্লাহ থেকে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে দূরে সরে যাচ্ছি।(নাউযুবিল্লাহ) অথচ আমরা একবারের জন্যও নিজেদের বিবেক বুদ্ধি দিয়ে বিচার করছি না। জঙ্গীবাদ ছাড়াও ইসলাম বিদ্বেষ ছড়িয়ে পরছে অনলাইন ব্লগের মাধ্যমে। যার বড় উদাহরণ ২০১৩ সাল পরবর্তী অনলাইন আন্দোলন এবং গণজাগরণ মঞ্চ। ইসলামকে নিয়ে কটূক্তি বলছিল অনলাইন ব্লগে। অথচ আমরা সকলে এ বিষয়ে অবগত হয়েও কোনো কিছু বলার প্রয়োজন মনে করি নাই। আর সেই আমরাই নারী ধর্ষণ নিয়ে আন্দোলন করি। যে ইসলাম মানলে নারীদের ভয় থাকত না। শোষিত হতে হত না। নির্যাতিত হতে হত না। নারীদের হয়ে কাউকে আন্দোলনেও নামতে হত না। কারণ ইসলাম নারীদের সর্বোচ্চ সম্মানে ভূষিত করেছে। আমরা ইসলামের হয়ে ইসলাম বিরোধীদের রুখতে জানি না। ইসলামকে চক্রান্ত হতে রক্ষা করতে জানি না। তাহলে আমরা কিসের মুসলিম??
ইসলাম মানুষকে সত পথে পরিচালিত করে। ইসলাম থেকে সরে আসা মানেই চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হওয়া। আল্লাহর রহমতের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসা। যা আমাদের দুনিয়াবী জীবন, আখিরাতের জীবন দুই'ই ধ্বংস করতে যথেষ্ট।
সুতরাং, আগে পরিপূর্ণ মুসলমান হোন। সবকিছু বিস্তারিত জানুন, বুঝুন। নিজের বিবেক বুদ্ধিকে কাজে লাগাতে শিখুন। নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিবেন না। একজন মুসলিম হিসেবে আপনার কাছে তা অবশ্যইকাম্য নয়।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.