আফগান ওয়াশ থেকে কি নিজেদের বাঁচাতে পারবে সাকিবরা?
এমন দিন দেখার প্রত্যাশা কি কখনও করেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা! সিরিজ শুরুর আগে আফগানিস্তানকে সমীহ করার কথা বললেও অনায়াসে জেতার চিন্তাই ছিল মনে। কিন্তু দুই ম্যাচ শেষে সিরিজ হারের লজ্জা পেতে হলো সাকিব আল হাসানদের। এখন লজ্জাটা যেন আরও বড় না হয়, সেটাই লক্ষ্য। হোয়াইটওয়াশ এড়াতে আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টায় দেরাদুনে আফগানদের মুখোমুখি হচ্ছে বাংলাদেশ।
র্যাংকিংয়ে উপরে থাকলেও আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজ হারার চিন্তা মাথায় না আনাই স্বাভাবিক। যদিও সিরিজ শুরুর আগে প্রতিপক্ষকে ফেভারিট বলে নিজেদের কিছুটা ব্যাকফুটে রেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু কে জানতো, এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হেরে যাবেন সাকিব আল হাসানরা।
জিম্বাবুয়ের পর দ্বিতীয় টেস্ট খেলুড়ে দেশ হিসেবে আফগানিস্তানের কাছে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হারের লজ্জা পেয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানে হারের পর ৬ উইকেটে হেরে সিরিজ হাতছাড়া করেছে তারা। দুই ম্যাচেই ব্যাটে, বলে ও ফিল্ডিংয়ে পিছিয়ে ছিলেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহরা। অথচ বাংলাদেশ অধিনায়ক তিন বিভাগেই সবার কাছে সেরাটা চেয়েছিলেন।
দুই ম্যাচ হেরে আত্মবিশ্বাসে বড় ধাক্কা খেয়েছে বাংলাদেশ। আফগান স্পিনারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে টি-টোয়েন্টি সুলভ ব্যাটিং করতে পারেনি তারা। এমনকি ডেথ ওভারে ছিল বোলারদের দৈন্যদশা। সদ্য টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলের কাছে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়াতে শেষ ম্যাচে দায়িত্বশীল পারফরম্যান্স করতে হবে ব্যাটসম্যান, বোলার ও ফিল্ডারদের।
সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিমের মতো অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা দলের বাকি সবাইকে উজ্জীবিত করতে পারেন। সাব্বির রহমান ও মোসাদ্দেক হোসেনের মতো তরুণ ক্রিকেটারদের আগ্রাসী রুপে হাজির হতে হবে। আর সবচেয়ে বড় কথা- রশিদ খানের জটিল গুগলি বুঝে সতর্ক হয়ে খেলতে হবে।
বাংলাদেশ বড় লজ্জা এড়ানোর চিন্তা করে মাঠে নামবে। অন্যদিকে আফগানিস্তান চাইবে তাদের গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায় তৈরি করতে। ৩-০ তে বাংলাদেশকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে রশিদের সঙ্গে মোহাম্মদ নবী ও মুজিব উর রহমান দারুণ কার্যকরী হবেন। আর ব্যাটিংয়ে মোহাম্মদ শাহজাদ, সামিউল্লাহ সেনওয়ারি ও নবী তো আছেনই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.