মাননীয় সরকার মহাশয়! একটু ভাববেন কী?

ধরুন আপনার রেজাল্ট খুব ভালো। সরকারি চাকুরি করতে চান। সেখানে আপনি সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু? আপনার পিতা কিংবা দাদা কি মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন? যদি উত্তর না হয় তবে আপনার চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা ৩০% হারালেন। আপনি যদি নারী না হন তবে আরও ১০% হারালেন। যদি আপনি দেশের ২১টি বিশেষ জেলার জন্মগ্রহণ না করে থাকেন তবে আরও ১০% হারালেন। সর্বশেষ আপনি যদি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কিংবা আদিবাসিদের অন্তর্ভুক্ত না হন তবে আরও ৫% হারালেন। অর্থাৎ দেশের সর্বোচ্চ সম্মানের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনি মাত্র ৫৫% সম্ভাবনা হারিয়েছেন! আপনি যদি প্রতিবন্ধি না হন তাহলে আরো ১% হারিয়েছেন।
ভাবছেন আপনার যে মেধা তা দিয়ে বাকি ৪৪% বিরুদ্ধে লড়াই করে জয়ী হয়ে আপনি ঠিকই আপনার অবস্থান তৈরি করতে পারবেন। এখানেও কিছু গোপন কথা আছে। মাত্র ৪৪% সুযোগের মধ্যে আপনাকে আরও কিছু সমস্যার মোকাবিলা করতে হবে। চাকরির ক্ষেত্রে উপরোক্ত ৫৬% অধিকার আপনার কাছ থেকে রাষ্ট্র কেড়ে নিলেও বাকি ৪৪% রাষ্ট্র কেড়ে নিচ্ছে না। প্রথা, স্বজনপ্রীতি এবং অনৈতিকতা এখানে অন্তরায় সৃষ্টি করে রেখেছে। আপনি সহজ কিছু প্রশ্নের উত্তর না মিলাতে পারলেই আপনার কপালে চাকরি জুটছে না।
প্রথম প্রশ্ন আপনার বাবার ব্যাংক-ব্যালেন্স কতোটা স্বাস্থ্যবান? যদি স্বাস্থ্যবান হয় তবে চাকরি পাচ্ছেন আর যদি রোগা হয় তবে আপনাকে দুঃসংবাদ শোনার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
দ্বিতীয় প্রশ্ন আপনার কোনো মামা-চাচা আছে কি? আপনি যদি ভেবে থাকেন এরা সংকীর্ণ অর্থের মামা-চাচা তবে আপনার ভাবনাকে বদলাতে হবে। এ মামা-চাচাকে অবশ্যই বিশেষ অর্থের মামা-চাচা হতে হবে। আপনাকে চাকরি দেয়ার ক্ষমতা কিংবা আপনার জন্য সুপারিশ করার ক্ষমতা এদের অবশ্যই থাকা চাই। উপরোক্ত সবগুলো কিংবা গুরুত্বপূর্ণ দু-একটি যোগ্যতা যদি আপনার থেকে থাকে তবে আপনি এদেশে চাকরি পাওয়ার জন্য উপযুক্ত।
যদি উত্তর নেতিবাচক হয় তবে আপনার শিক্ষাজীবনে অর্জিত সনদ চেয়ে চেয়ে দেখা এবং যত্ন করে কোনো গোপন স্থানে তালাবদ্ধ রাখা ছাড়া অন্য কোনো উপকার করতে পারবে না। এটাই আপনার জন্য দেশের পক্ষ থেকে সবচেয়ে বড় বাস্তবতা। উপরোক্ত যোগ্যতা যদিও দেশের হাতেগোনা কিছু মানুষের। তবে সেই অল্পসংখ্যক মানুষের অধিকার রক্ষা করতে গিয়ে রাষ্ট্র অবলীলায় সিংহভাগ মানুষের অধিকার হরণ করেছে।
শিক্ষাজীবন সমাপান্তে চাকরি চরম আরাধ্য বিষয়। শিক্ষা অর্জনের প্রকৃত লক্ষ্য, উদ্দেশ্য যাই হোক না কেন বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষা অর্জনের একমাত্র উদ্দেশ্য মানসম্মত সরকারি চাকরি লাভ। একটি চাকরি একটি পরিবারকে প্রতিষ্ঠা দেয়। ব্যক্তি জীবনকে উন্নতকরে। সকল যোগ্যতা থাকার পরেও একজন শিক্ষার্থী যখন তার আকাঙ্ক্ষিত চাকরি লাভে ব্যর্থ হয় তখন তার ওপর রাজ্যের সকল হতাশা ভর করে। সৎ পথে জীবিকা নির্বাহ করার সুযোগ হারানোর পর অন্ধকার জগৎ তাকে হাতছানি দিয়ে ডাকে। ন্যায়ের পথে থেকে যেভাবে যশ-খ্যাতি, টাকা-পয়সা অর্জন করা সম্ভব তার চেয়ে অনেক সহজে, অতিদ্রুত অবৈধভাবে সব কিছু অর্জন করা যায়।
কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে নামকরা ছাত্রটি রাষ্ট্রের জন্য বিপজ্জনক হওয়ায় অনেকে অবাক হন। তার বিপথে যাওয়ার মূল কারণ অনেকেই খোঁজেন না। প্রত্যেক শিক্ষার্থী তার অর্জিত শিক্ষা এবং বিবেক কাজে লাগিয়ে ন্যায়ভাবে জীবিকা নির্বাহ করতে চায়। কিন্তু জীবিকা নির্বাহের ক্ষেত্রে ন্যায়ের রাস্তাগুলো যখন তার জন্য রুদ্ধ হয়ে যায় তখন সে হিংসাত্মক এবং আক্রমণাত্মক হয়ে পড়েন। সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রতি ঘৃণা জন্মে। এ ঘৃণা তাকে এমন কতগুলো কাজ করতে প্রলুব্ধ করে যার বদৌলতে শুধু ব্যক্তিই ক্ষতিগ্রস্ত হয় না বরং পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্রও মারাত্মকভাবে হুমকির সম্মুখীন হয়।
অন্যায়কারীকে ঢালাওভাবে আমরা সকলেই দোষ দিতে থাকি কিন্তু কেন সে অন্যায় করছে তার প্রকৃত কারণ আমরা কখনও খুঁজি না। বর্তমান সময়ে দেশের মোট দক্ষ জনসংখ্যার প্রায় ৩০% বেকার। যাদের সংখ্যা প্রায় কোটির কাছাকাছি। দক্ষ, অর্ধদক্ষ বেকারের সংখ্যা প্রায় তিন কোটি। সম্প্রতি প্রকাশিত এক জরিপের তথ্যমতে আগামী ১০ বছর পরে বেকারের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৬ কোটি। দেশের সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে এ সংখ্যক বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা অসম্ভব নয়। যোগ্য নেতৃত্ব এবং সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে যদি বেকারদের তাদের যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দেয়া হয় তবে নিকট ভবিষ্যতে দেশের অভ্যন্তরে সকল বেকারের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা সম্ভব। বাংলাদেশের জনশক্তির জন্য বিদেশের শ্রম বাজার প্রায় উন্মুক্ত। সামান্য কিছু প্রতিবন্ধকতা থাকলেও সেগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করে বিপুলসংখ্যক জনশক্তির জন্য শ্রমবাজার সৃষ্টি করে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনয়ণ করা সম্ভব। কাজেই দেশে দেশের বাইরে বেকারদের এবং যোগ্যদের তাদের প্রাপ্য স্থানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দিতে পারলে দেশের সর্ববৃহৎ সমস্যার যেমন সমাধান হবে তেমনি দেশ অর্থনীতিকভাবেও গতিশীল হবে।
সরকারি চাকরি লাভের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মুক্তিযোদ্ধা কোটা। স্বাধীনতা পরবর্তী দীর্ঘ ৪১ বছর শুধু মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানরা কোটা পদ্ধতির সুযোগ পেলেও দুই বছর পূর্বে নবম জাতীয় সংসদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা করেছিলেন, শুধু মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা নয় বরং তাদের নাতি-নাতনিরাও কোটা পদ্ধতির আওতায় পড়বে। প্রধানমন্ত্রীর সে ঘোষণানুযায়ী মুক্তিযোদ্ধাদের উত্তরাধিকারীরা চাকরির ক্ষেত্রে সুযোগ পাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা রাষ্ট্রের আইন।
একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে তার সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো এবং তা মেনে নেয়া আবশ্যক। কিন্তু দেশের প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা কত? সরকার পরিবর্তনের সাথে সাথে যেভাবে মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়ছে তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৪০ ঊর্ধ্বদের সকলে মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেও বিস্মিত হওয়ার সুযোগ থাকবে কি? ২০১৪ সালের ৮ মে ‘দৈনিক সংবাদে’ প্রকাশ পায়, ফেনী জেলায় ৪ হাজার তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা। অথচ তারা রাষ্ট্রের আর্থিক সুবিধাসহ সকল সুবিধা গ্রহণ করছে। ২০১০ সালের ২৭ অক্টোবর মুক্তিযোদ্ধাদের এক সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছিলেন, ‘দেশে ৬০ হাজার ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা আছে।’
একই সমাবেশে তৎকালীন মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবি তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় অমুক্তিযোদ্ধা রয়েছে। এদের চিহ্নিত করে সনদ বাতিলের প্রক্রিয়া চলছে। মুক্তিযোদ্ধার সুবিধা গ্রহণকারী অমুক্তিযোদ্ধার সন্ধান পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’ মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বাড়ার পেছনে অতিরিক্ত সময় চাকরি করার লোভও কাজ করেছে। সরকার যখন মুক্তিযোদ্ধাদের ৫৭ বছর থেকে ৫৯ বছর অর্থাৎ দুই বছর চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধি করে তখন বিভিন্ন দফতরের কিছু অসাধু ব্যক্তি (যাদের মধ্যে উপরস্থ কর্মকর্তাও রয়েছে) মুক্তিযোদ্ধা না হয়েও মুক্তিযোদ্ধার সনদ গ্রহণ করেছে। খবরে জানা গেছে, নবম জাতীয় সংসদের সরকারের পাঁচ বছর মেয়াদে এভাবে মুক্তিযোদ্ধার সনদ নিয়েছে সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মোট ১১ হাজার ১৪০ জন।
স্বাধীনতার পরবর্তী ৪৩ বছরে এভাবে প্রতিবছর নতুন নতুন মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হচ্ছে। ১৯৮৬-৮৭ সালে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ২ হাজার ৪৫৮ জন। ১৯৯৭-০১ সালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ প্রণীত তালিকায় মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা দাঁড়ায় ১ লাখ ৮৬ হাজার ৭৯০ জন। ২০০১-০৬ পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ১০ হাজার ৪৮১ জনে। ২০০৮ থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা যে আরও বেড়েছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। ৪৩ বছর পূর্বে দেশের মুক্তিযুদ্ধ শেষ হলেও মুক্তিযোদ্ধার জন্ম এখনও শেষ হয়নি।
যে সকল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার জন্ম হয়েছে তারা রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতির চেয়েও বেশি ক্ষতি করছে দেশের শিক্ষিত সমাজের। তাদের অনৈতিকতার খেসারত দিতে হচ্ছে যোগ্য চাকরি প্রার্থীদের। এ সকল ভুয়া মুক্তিযোদ্ধাদের কারণে তাদের উত্তরসূরিরা চাকরির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় সুযোগ গ্রহণ করছে এবং অন্যদের প্রতারিত করছে। কাজেই সঠিক মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকাবদ্ধ করে যোগ্য প্রজন্মের ওপর অবিচার বন্ধ করা আবশ্যক। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ের নারীদের অবস্থান আর বর্তমান সময়ের নারীদের অবস্থান কোনো অবস্থাতেই মেলানো যাবে না। সামাজিক পরিবর্তনের সাথে সাথে নারীরাও উল্লেখযোগ্য উন্নতি করেছে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ করে শিক্ষাক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীরা এগিয়ে গেছে। বিভিন্ন পরীক্ষায় প্রকাশিত ফলাফলে দেখা যাচ্ছে, নারী শিক্ষার্থীরা ছেলেদের চেয়ে ভালো করছে। কাজেই নারীর জন্য কোটা পদ্ধতি বরাদ্দ রাখা নারীদের প্রতি করুনার শামিল। নারীরা তাদের বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে প্রমাণ করেছে তারা পুরুষের করুণার পাত্রী হয়ে ঘরে বসে থাকার অবস্থায় নেই।
সুতরাং চাকরির ক্ষেত্রে নারীদের কোটা পদ্ধতির সুযোগ দেয়ার আবশ্যকতা কতটুকু তা ভেবে দেখা আবশ্যক। কোটা পদ্ধতির মধ্যে সবচেয়ে হাস্যকর হলো জেলাভিত্তিক কোটা ব্যবস্থা বহাল রাখা। বাংলাদেশে বর্তমানে জেলার সংখ্যা ৬৫টি কিন্তু স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে জেলার সংখ্যা ছিল মাত্র ২১টি। সে সময় এ জেলাগুলোর জন্য কোটা সংরিক্ষত ছিল। কিন্তু বর্তমানে কোন যুক্তিতে সে জেলাগুলোর জন্য কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে তার হিসেব মিলানো অসাধ্য। আদিবাসী বা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অগ্রযাত্রার জন্য কোটার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ব্যবস্থা প্রশংসার দাবিদার। আদিবাসীদের জন্য ৫% কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের সাথে আদিবাসী বা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের আনুপাতিক হার করলে এ কোটা পদ্ধতির হিসাব ১.৫% নেমে আসবে।
দেশের অধিকাংশ মানুষ কোটা পদ্ধতি সংস্কারের পক্ষে। কেউ কেউ কোটা পদ্ধতি বিলোপ করে দেয়ারও দাবি করেন। তবে আপাতত কোটা পদ্ধতির সংস্কার আবশ্যক। সরকার এবং জাতির ভবিষ্যৎ নির্ধারক শ্রেণী যদি জাতির নেতৃত্ব থেকে যোগ্যদের দূরে রাখতে না চান তবে জাতির জাতীয় স্বার্থে কোটা পদ্ধতির সংস্কার আশু আবশ্যক। কাজেই দেশের মেধাবীদের সুযোগ করে দিতে এবং আন্তর্জাতিক পরিম-লে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য মেধাবীদের সুযোগ দেয়া আবশ্যক।
মেধাবীদের সুযোগ দানে সবচেয়ে বড় অন্তরায় কোটা পদ্ধতির সংস্কার করে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের জন্য অনধিক ১০% কোটার সুযোগ রেখে সর্বমোট ১৫ শতাংশ কোটার ব্যবস্থা রাখা হোক। ৫৬% মধ্য থেকে বাকি ৪০ শতাংশ আনুপাতিক হারে বিলুপ্ত করা হোক। রাষ্ট্রের সিংহভাগ মানুষের মঙ্গল যে কাজের মধ্যে নিহিত সে কাজই যেন আমরা করতে পারি। রাষ্ট্র দেশের মেধাবীদের মেধা ধরে রাখতে কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করুক সেটাই কাম্য। কোনো বিশেষ শ্রেণীর স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে যেন অন্য মানুষকে হুমকির দিকে ঠেলে দেয়া না হয়। বিভিন্ন সময়ে কোটা পদ্ধতি নিয়ে ছাত্রদের পক্ষ থেকে দাবি উত্থাপিত হয়েছে এবং তাদের সমাধানের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করা হয়েছে। তবে সমাধান কখনোই হয়নি। কাজেই পরবর্তী শিক্ষার্থীদের পরবর্তী কোনো আন্দোলন হওয়ার পূর্বেই সরকারের নির্ধারিত প্রশাসন যেন এ কোটা পদ্ধতির ব্যাপারে ভেবে দেখেন এবং কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন সে দাবি রাখছি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.