এসব অস্ত্রধারী কারা?

বাংলাদেশ বনাম ব্লাস্টের মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের এক রায়ে দেওয়া দিকনির্দেশনার লঙ্ঘন ঘটেছে অহরহ। রায়ে বলা আছে, ‘আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো কর্মকর্তা তাঁর পরিচয় প্রকাশ করবেন এবং যদি দাবি করা হয়, তাহলে গ্রেপ্তার ব্যক্তি বা গ্রেপ্তারের সময় উপস্থিত ব্যক্তিদের কাছে তিনি তাঁর পরিচয়পত্র প্রদর্শন করবেন।
বাংলাদেশের সাদা পোষাকধারী পুলিশের কাছে পরিচয় জানতে চাওয়া আরো বড় অপরাধ। জায়গায় গুলি করে ফেলে রাখবে। কারো বাপের সাধ্যি নাই এর বিচার চাইবে।
শফিউল বারীর ভাগ্য ভালো বলতেই হয়, তাকে ক্রসফায়ারে পড়ে যেতে হয়নি। প্রেসক্লাবে হাজার হাজার মানুষের সামনে থেকে তাকে এরেস্ট করা হয়েছে। টেনে হিঁচড়ে যেভাবে তাকে এরেস্ট করা হয়েছে মনে হচ্ছে কোন পেশাদার খুনিকে আটক করা হচ্ছে।
কারা বারীকে নিয়ে যাচ্ছে কোন জবাবদিহীতা নেই। জানা নেই তাদের পরিচয়। অস্ত্র উঁচিয়ে সাদা পোষাকে মানুষকে এভাবে নিয়ে যাওয়া বাংলাদেশে খুবই সাধারণ ব্যাপার। যদি কাউকে মেরে ফেলা হয় বা গুম করা হয় ব্যাস তখন আর সেই খুনের দায় পুলিশকে নিতে হয় না। এভাবে হারিয়ে যাচ্ছে মানুষ। প্রতিদিনই গুম হয়ে যাচ্ছে মানুষ। কেউ ফিরছে কেউ ফিরছে না।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.