কুমিল্লার মুক্তিযুদ্ধ
বঙ্গবন্ধুর সেদিনের মুক্তির ডাকে ৭১ এ দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় কুমিল্লার মানুষ সংগঠিত হয়ে সংগ্রামে ঝাপিয়ে পরে। তারপর চলে রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম। ডিসেম্বরের ৮ তারিখ কুমিল্লা শত্র“ মুক্ত তথা স্বাধীন হয়। তবে এই ৯মাসে ঘটে যায় কুমিল্লায় ব্যাদনা বিধুর বিষাদ সিন্ধু। বুদ্ধিজীবী, শিক, ছাত্র, নারী-পুরুষ, শিশুসহ নিরস্ত্র নিরপরাধী কত মানুষকে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যাবে বলে মনে হয়না। তবে স্বাধীনতার পর ১২টি গণ কবর খুঁড়ে এসব গন কবর থেকে ১০ হাজারের বেশি নরকঙ্কাল উদ্ধার করা হয়। সে সময়ে ১২ টি গণ কবর খনন করার পর আরো নতুন নতুন গণ কবরের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল বলে জানা যায়। গন কবরের অস্তিত্ব মুছে ফেলার জন্য পাকিস্তান সেনা বাহিনী বুলডোজার ও ব্যবহার করেছিল। এসব গণ কবরের অধিকাংশই ছিল হেলিপেড লাগোয়া নিম্নভূমিতে ব্রিগিডিয়ারের বাস ভবনের পশ্চিম অংশে। ব্রিগেড মসজিদের পশ্চিম পাশে স্কোয়াশ রুমের আশে পাশে এবং ২নম্বর কোয়ার্টারের পশ্চিম অংশে ঘটে যায় রক্তির হুলি খেলা। অগনিত লোক মারা যায়। মা বোনদের ইজ্জত লুণ্ঠিত হয়। সেই কালো দিনগুলোতে ময়নামতি ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় হাজার হাজার বাঙ্গালীর রক্তে রঞ্জিত হয়েছিল। সেনাবাহিনীর বাঙ্গালী অফিসার , সৈনিক, বুদ্ধিজীবী রাজনৈতিক, শিাবিদ , শ্রমিক, কৃষক, সরকারী কর্মচারী, স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রী, গৃহবধু এমনকি মসজিদের ইমাম পর্যন্ত হানাদার পাক শকুনের হাত থেকে রা পায়নি। মৃত্যুবরণ করতে হয়েছে নির্মমভাবে। নির্মম অত্যাচারের পর তাদের হত্যা করা হয়েছে। স্বাধীনতার পরপর ময়নামতি এলকার ছোট ঝোপ ঝার, ছোট টিলা অথবা সমতল ভূমির কাশবন, ডোবা বা নালার পাশে পাওয়া গেছে অসংখ্য নর কঙ্কাল। ইতস্তত বিপ্তি ভাবে এখানে সেখানে মানুষের কঙ্কাল দেখা গেছে। এই সেনানিবাসের অভ্যন্তরে কত লোককে এনে হত্যা করা হয়েছিল কত মা বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন করেছিল এই পিচাশের দল তার সঠিক হিসেব কে দিবে। মসজিরেদ পশ্চিমে যে স্কোয়াশ রুম ছিল সেখান থেকে দুশ গজ দেিণই রয়েছে একটি গণ কবর। এই গণ কবর থেকেই পাচশ এর বেশি কঙ্কাল উদ্ধা করা হয়েছিল সে সময়। অভিজ্ঞজনদের ভাষ্য মতে বাঙ্গালী সেনা অফিসার, সৈনিক, বুদ্ধিজীবী, সাধারণ মানুষ সহ আটশতাধিক লোককে হত্যা করা হয়েছিল। সিগনাল লাইন সংলগ্ন স্থানেও একটি গণ কবর রয়েছে। এই গণকবর থেকে চশমা টুপিসহ অন্যান্য বেশ কিছু জিনিসপত্র উদ্ধার করা হয়েছিল।এখানে যেসব লাশ পাওয়া গিয়েছিল তাদের অনেককেই সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছিল। এদের মধ্যে ব্রিগেড মসজিদের ইমাম আবদুল মান্ন্না, লে. কর্ণেল মেজর খালেক, মেজর জাহাঙ্গির, মেজর হাসিব, ক্যাপ্টেন আতাউর রহমান প্রমূখ।
প্রবীন রাজনৈতিক ও ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকেও এই এলাকায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। অমানুবিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল তাদের উপর। ইতিহাস স্যা দেয় তার সমস্ত শরীর ক্ষত বিক্শত করে টেনে হেচড়ে শাস্তি দিয়ে প্রচন্ড কষ্ট দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রত্যক্শ দর্শী রমনী শীল বলেছেন, তার সমস্ত শরীরে তুলা লাগানো ব্যান্ডেজ ছিল। তাকে সহসায় মারেননি। অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল ধীরেন্দ্র নাথ সহ অনেককেই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
প্রবীন রাজনৈতিক ও ভাষা সৈনিক ধীরেন্দ্রনাথ দত্তকেও এই এলাকায় নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। অমানুবিক নির্যাতন চালানো হয়েছিল তাদের উপর। ইতিহাস স্যা দেয় তার সমস্ত শরীর ক্ষত বিক্শত করে টেনে হেচড়ে শাস্তি দিয়ে প্রচন্ড কষ্ট দিয়ে তাকে হত্যা করা হয়েছিল। প্রত্যক্শ দর্শী রমনী শীল বলেছেন, তার সমস্ত শরীরে তুলা লাগানো ব্যান্ডেজ ছিল। তাকে সহসায় মারেননি। অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছিল ধীরেন্দ্র নাথ সহ অনেককেই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ১ টি