ভাষার মাসই ভাষা হারিয়ে ফেলার মাস?
মায়ের উদরে মায়ের যোগাযোগ সন্তানকে নির্ভয় করে। নির্ভয় সন্তানেরা জন্মের পর উচ্চ স্বরে চিৎকার করে দূর্দান্তপনা জানান দেয়। এই দূরন্তপনা তার জন্মলব্ধ অধিকার। এ পথে কোন জোর চলে না। জবরদোস্তি চলেনা। থাকেনা কোন বাধ। মায়ের ভাষার জন্য সংগ্রাম করা তো অভাবনীয়, কেউ এসে তাকে ভাষা নিয়ে প্রশ্ন করবে, তা হতেই পারেনা। কক্ষনৈ না। অথচ দুরন্ত বাঙ্গালী শিশুদের সামনে যখন বুলেটকে ভাষার ব্যরিকেড বানানো হল। তখন সে বুলেটকে শক্তিমত্বা দেখানো ছাড়া অনুগ্রহের আর কোন পথ যে খোলা ছিলোনা।
বাঙ্গালী অধিকার হারাতে রাজি নয়, সে তার চলার পথে ক্ষুব্ধ হলে কতটা হয় তা বুঝিয়ে না দিলে বুলেটের সকল পুরুষ যে ঘোর অমানিশায় অনিরুদ্ধ হয়ে যেত। তাই তো বেয়াড়া কিছু বুলেটকে শক্তি দেখানো ছাড়া উপায় ছিলোনা।
পাকিস্তানি শাসকদের এদেশের মানুষ নিজেদের শাসক ভেবে স্বতঃস্ফূর্ত ভাবেই পথ চলতে চেয়েছিলো। কিন্তু কথায় আছে স্বভাব যায়না মলে। যতই পবিত্র ধর্মের দোহাই দেয়া হোক পাকিস্তানি জান্তা বাহিনী বুলেটের ভাষা ছাড়া আর কিছুই জানতো না। তারা মনের ভাষা পড়তে পারেনি। গণমানুষের চাওয়া পাওয়া জানতে চায়নি। জানতে চায়নি মনে দাম, ভাষার দাম। ভাষার জন্য প্রত্যক্ষ্য লড়াই করে তাই বিজয় ছিনিয়ে আনা ছাড়া আর কোন পথ খোলা ছিলোনা।
খ,
আজ যখন স্বাধীন বাংলাদেশে নানা অঙ্গনে ভাষার অপমান খুবই স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে, তখন '৫২র আয়নার সামনে দাঁড়ালে নিজের চেতনা বোধ বড় অদ্ভুত হয়ে সামনে আসে। সত্যিই কি ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছিলেন রফিকরা? ডেয়ারিং প্রশ্ন বটে। উত্তরটা যদি সাবলিল হত তাহলে কতই না মধুর হত। আজ বুলেটেলের বদলে মন ভাঙ্গার গান গেয়ে প্রভাত ফেরি করতে হয়!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.