রোহিঙ্গাদের মানবিক কারণে আশ্রয় দিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন খালেদা জিয়া।
বাংলাদেশের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিতে প্রতিবেশী অন্য মুসলিম দেশগুলোর প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন।
মিয়ানমারে সীমান্ত চৌকিতে জঙ্গি হামলার পর রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মধ্যে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে সীমান্তে ছুটে এলেও বিজিবি তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে।
বাংলাদেশে দশকের পর দশক আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি তুলে ধরে সরকার শরণার্থী সমস্যার সমাধান করতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সামাজিক সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েই খালেদা বলেন, “তা সত্ত্বেও গণহত্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জনকারী জাতি হিসেবে জীবন রক্ষায় আশ্রয় প্রার্থী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে যতদূর সম্ভব আশ্রয় দেওয়ার জন্য আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
“পাশাপাশি প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতিও আমি অভিন্ন আহবান জানাচ্ছি।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানের প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ইতোমধ্যে বলেছেন, নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণ দেখাবে বাংলাদেশ।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেওয়া ঘর- ছবি: রয়টার্স মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেওয়া ঘর- ছবি: রয়টার্স
আশ্রয় দিতে আহ্বান জানালেও এটি রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয় বলে মানছেন বিএনপি চেয়ারপারসনও। সেজন্য সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
“রোহিঙ্গারা যাতে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে জীবন-সম্পদ-সম্ভ্রমের অখণ্ড নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ মাতৃভূমিতে বসবাস করতে পারে, সেই নিশ্চিয়তা বিধান কল্পে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ কুটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।”
বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমারের সরকার রাখাইন প্রদেশে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে নারাজ। সামরিক শাসনের অবসানের পর গণতন্ত্রপন্থি অং সান সু চির দল এখন ক্ষমতায় থাকলেও সরকারের অবস্থান বদলায়নি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মিয়ানমারে সীমান্ত চৌকিতে জঙ্গি হামলার পর রাখাইন রাজ্যে সেনা অভিযানের মধ্যে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে সীমান্তে ছুটে এলেও বিজিবি তাদের ফেরত পাঠাচ্ছে।
বাংলাদেশে দশকের পর দশক আশ্রয় নিয়ে থাকা রোহিঙ্গাদের নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের বিষয়টি তুলে ধরে সরকার শরণার্থী সমস্যার সমাধান করতে মিয়ানমারকে চাপ দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে।
রোহিঙ্গাদের নিয়ে সামাজিক সমস্যার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েই খালেদা বলেন, “তা সত্ত্বেও গণহত্যার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা অর্জনকারী জাতি হিসেবে জীবন রক্ষায় আশ্রয় প্রার্থী রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক কারণে যতদূর সম্ভব আশ্রয় দেওয়ার জন্য আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
“পাশাপাশি প্রতিবেশী অন্যান্য দেশ এবং মুসলিম বিশ্বের প্রতিও আমি অভিন্ন আহবান জানাচ্ছি।”
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের আহ্বানের প্রেক্ষাপটে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ইতোমধ্যে বলেছেন, নিপীড়িত রোহিঙ্গাদের প্রতি মানবিক আচরণ দেখাবে বাংলাদেশ।
মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেওয়া ঘর- ছবি: রয়টার্স মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের পুড়িয়ে দেওয়া ঘর- ছবি: রয়টার্স
আশ্রয় দিতে আহ্বান জানালেও এটি রোহিঙ্গা সমস্যার স্থায়ী সমাধান নয় বলে মানছেন বিএনপি চেয়ারপারসনও। সেজন্য সরকারকে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বানও জানান তিনি।
“রোহিঙ্গারা যাতে স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে জীবন-সম্পদ-সম্ভ্রমের অখণ্ড নিরাপত্তা ও পূর্ণ নাগরিক অধিকার নিয়ে নিজ মাতৃভূমিতে বসবাস করতে পারে, সেই নিশ্চিয়তা বিধান কল্পে বাংলাদেশসহ সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রগুলোকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বলিষ্ঠ কুটনৈতিক উদ্যোগ নিতে হবে।”
বৌদ্ধপ্রধান মিয়ানমারের সরকার রাখাইন প্রদেশে বসবাসরত মুসলিম রোহিঙ্গাদের তাদের নাগরিক হিসেবে স্বীকার করতে নারাজ। সামরিক শাসনের অবসানের পর গণতন্ত্রপন্থি অং সান সু চির দল এখন ক্ষমতায় থাকলেও সরকারের অবস্থান বদলায়নি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
কোন মন্তব্য নাই.