যে কারণে বিএনপি ছাড়েন মনজুর
আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে তিনবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছিলেন সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। তৎকালীন মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর বিশ্বস্থ হিসেবে বিভিন্ন সময়ে অন্তত ১৮ বার পালন করেছেন ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে মহিউদ্দিন চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হলে টানা দুই বছর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেন। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে তিন বছর ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে ২০১০ সালের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল থেকে মেয়র প্রার্থীর মনোনয়ন চান। কিন্তু এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়। তখন বিএনপি থেকে মনজুর আলমকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করে।
প্রায় দুই লাখ ভোটের ব্যবধানে শিষ্য মনজুরের কাছে পরাজিত হন তিনবারের মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। নির্বাচিত হওয়ার পর দলের চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন মনজুর আলম। এর কিছুদিন পর তাকে চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা করা হয়। মেয়র হিসেবে ভাল মানুষ পরিচিতি পেলেও দলীয় কর্মকান্ডে সক্রিয় না থাকায় অসন্তোষ ছিল বিএনপিতে। তবে পাঁচ বছরে দলে আর্থিক সহায়তা দিয়ে গেছেন মনজুর আলম। এরপরও তাকে বিএনপি নেতাদের নানা ধরনের অভিযোগ-অনুযোগ শুনতে হয়েছে নিয়মিত।
ফলে একদিকে রক্তে মিশে থাকা বঙ্গবন্ধুর আদর্শ অন্যদিকে বিএনপি নেতাদের নেতিবাচক মনোভাবে মনজুর আলমের কাছে রাজনীতি বিরক্তিকর হয়ে উঠে। দলের জন্য অনেক কিছু করেও প্রশংসা না পাওয়ায় কষ্ট পেয়েছেন।
এরপরও ২০১৫ সালে বিএনপি থেকে প্রার্থী ঘোষণা করা হলে নির্বাচনে অংশ নেন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে প্রতি পদে পদে নানা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে তাকে এবং তার পরিবারকে। চট্টগ্রাম বিএনপির শীর্ষ নেতাদের ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের খেসারত দিতে হয়েছে আর্থিক ও মানসিকভাবে। ফলে তখনই বিএনপির রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে খুব কৌশলে নির্বাচনের দিন সকাল ১১টার দিকে নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা দেন মনজুর আলম। এসময় তিনি ভারাক্রান্ত মন ও অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়লেও রাজনীতি ছাড়ার কোন কারণ ব্যাখ্যা করেননি।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ২ টি
২০ আগস্ট ’১৬ রাত ১২:০৯
অনেক মানুষ আছে যারা নিয়মিত দল পরিবর্তন করে। এই লোকগুলো পুনরায় বিএনপিতে যোগ দিলে অবাক হবনা।