জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ার ডাক দিয়েছে বিএনপি। রাজনৈতিক বিভেদের কারনে আগ থেকেই সরকার সমর্থক দলগুলো একদিকে সরে আছে। ফলে পুরনো কৌশল থেকে, প্রধানমন্ত্রী নতুন করে জঙ্গি ইস্যুতে জোট করার কথা এড়িয়ে গেছেন। তার মতে জাতীয় ঐক্য আগে থেকেই হয়ে আছে। রাজনৈতিক বক্তব্য মতে, 'সকল ইস্যুতেই সরকারের সাথে দেশ ও দেশের সকল মানুষ একমত বিধায়' জঙ্গি ইস্যুতেও দেশবাসী একমত। তাই নতুন করে জোট দরকার নেই! এমন একটা দোলাচালে দুই জোটের সুপ্ত বাসনাও স্পষ্ট হল। মূলত যা কিছুই হোক না কেন, শ্মশানে গেলেও ব্যবসায়ীরা দেখেন লাভ আর বাংলাদেশী রাজনীতিকরা খোঁজেন রাজনীতির সুযোগ।

ইতিমধ্যে, খুব অল্প পরিসরেই ভয়াবহ ইঙ্গিত দিয়েছে আইএস। এমন একটি মুহুর্তে আক্রান্ত জাতি জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সব কিছু ভুলে যেতে চাইছে। জঙ্গি ইস্যুতে জাতীয় ঐক্য গঠনে সরকারের কোন ঘোষণা না থাকলেও বিএনপির উদ্যোগে সহায়তা করেনি সরকার। সহায়তা করার বিনিময় যদি, সরকার বিরোধী চক্রান্তেই হাওয়া দেয়ার নামান্তর হয়, সেক্ষেত্রে তারা এগোবে না তাই স্বাভাবিক। কিন্তু জঙ্গিরা কি বসে আছে? জাতি কি বিপদ মুক্ত? মোটেই নয়। ফলে রাজনীতিকরা তাদের উল্টো রথ অব্যাহত রেখেছে এই সময় এসেও।

এদিকে জাসদের একাংশের সভাপতি আ স ম রবের সাথে দেখা করেছেন বিএনপি মহাসচিব। যদিও রব স্পষ্ট কোন অভিপ্রায় দেখাননি। তার মত ছিলো, তারা যেহেতু তৃতীয় আরেকটি জোট গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন সেহেতু সেটা সমাপ্ত করার পর তারা বিএনপির প্রস্তাব ভেবে দেখবে। তার আগে নয়। তাহলে রব কি জানেন জাতীয় ঐক্য গড়ার আগেই জঙ্গিরা আরো ভয়াবহ হয়ে উঠবে কিনা? নিশ্চই নয়! তাছাড়া রাজনৈতিক জোট ও জঙ্গি বিরোধী আপদকালীন জাতীয় ঐক্য এক করে ফেললে মহাবিপদ!

বাংলাদেশে যে কোন পরিস্থিতিতে অপরাজনীতির যে মাত্রা দেখা যাচ্ছে তা ভয়াবহ। মানুষ যেখানে যেকোন সমস্যায় রাজনীতিকের দ্বারস্থ হবেন সেখানে রাজনীতিকরাই বিপরিত ক্রমে অপরাজনীতির জন্য মানুষকে ভাগ করে ফেলছেন। জঙ্গিবাদের মত বীষাক্ত থাবা থেকে বাচতে জাতীয় ঐক্যের বিকল্প নেই। তার নেতৃত্বে কারা থাকবে তা জনতার বিষয় নয়। ফলে রাজনীতির মূল কথা তথা জনতার প্রয়োজনই বড় করে দেখা উচিৎ। সেটা না করে মূলত জঙ্গিবাদের সহায়ক হয়ে উঠেছে দেশের রাজনীতিকরা। একেকজন শাখের করাত!


ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ