ছোট্ট শিশু আতরশিরা আমাদের!
মানুষ শব্দটি শর্ত স্বাপেক্ষ। মান+হুঁশ। এই 'মান' বিপুল বিষয়। আমরা মানুষ হিসেবে আমাদের মান বজায় রাখবো বলেই আমাদের এই নামটি হয়েছে। অথচ আজ বিশ্বের নানা প্রান্তে আমাদের চোখের সামনে মানের অবনতি চরম পর্যায়ে চলে গেছে। ঢাকার রাস্তায় আতরশির আর্তনাদ মানুষের কানে পৌছে না। কোন এক সময় ৫ টা বছরের শিশুরাও পা জড়িয়ে কান্না করতে বাধ্য হয়।
আতরশিরা ক্ষুধার জ্বালায় অন্যের পা ধরে। অথচ মানুষ হিসেবে মানুষের দ্বায়িত্ব ছিলো দরিদ্রের আহারের খোজ রাখা। আমরা এত নিচেই নেমে গেছি যে বস্তিতে বাস করা দিনমজুর বাবা আতরশির মত ছোট্ট সন্তানকে জিজ্ঞেস করে- 'টাকা এনেছিস কত'? দুই মুঠো ভাত খাবার জন্য আপন বাবার হাতে গুজে দিতে হয় মূল্য। ৫ বছরের শিশু মাথা ঠুকে দিন শেষে যে টাকা আনে তা দিয়ে ৩ বছরের আরেক জীবের খাদ্য জোটে। সে তার ছোট ভাই।
মা মারা গেছে। আতরশির আদর বন্ধ হয়ে গেছে। অভিমানি আতরশির অভিযোগ কেউ কি কানে নেয়? ‘মায় আমারে রাইখা অনেক বছর আগে মইরা গেছে। আমি কি কইছি মরতে?’
আমরা বুঝি সত্যিই বিশ্বে বুকে মনুষ্যত্ব হারিয়ে ফেলেছি। বলা হয় কেয়ামত বা ধ্বংস আসার জন্য মনুষ্যত্ব হারানো জরুরি। তবু কেয়ামত আসেনা। মৃত্যুর মাঝেই যে এই হতভাগাদের জীবন। তবুও শ্রষ্ঠা কেন অমানুষের জীবনকে প্রলম্বিত করছেন? বিশ্বের নানা প্রান্তে মানবিক সহায়তা সংস্থাগুলো দারুন কিছু কাজ করে। ঐ দেশে মানুষ থাকলেও এই অগণিত কোটিপতির দেশে মানুষ নেই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি