একতাবদ্ধ হয়ে আসুন জঙ্গি রুখে দিই।
বাংলাদেশ বহুদিন থেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রিতীর দেশ হিসেবে পরিচিত ছিলো। এখানকার পরিবেশ যথেষ্ট ঠান্ডা। সেটা সাম্প্রদায়িক কিংবা আবহাওয়াগত পরিবেশ। আবহমাল কাল থেকে সারল্য লালিত হয়ে আসছে এই দেশে। এমনকি সাম্প্রদায়িক দেশ বিভাজনের সময়ও এই ধারায় কোন ছেদ পড়েনি।
কিন্তু দেশের অবস্থা ইদানিং মোটেও স্বাভাবিক যাচ্ছেনা। সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ এক অদৃশ্য অপচ্ছায়ার আতংকে দিন যাপন করছেন। এই অপচ্ছায়া বাসা বেঁধেছে একজন হিন্দু পুরোহিত থেকে মসজিদের ইমাম পর্যন্ত সবার মনে। দুঃস্বপ্নের নাম হয়ে গেছে চাপাতির কোপ। কে কখন কোথায় এর শিকারে পরিনত হবেন তার কোন গ্যারান্টি কেউ দিতে পারেন না। না সরকার, না প্রশাসন না পুলিশ! কেউ না।
আইএস নামক মধ্যপ্রাচ্যের মধ্যযুগীয় বর্বর বাহিনী বিস্তার লাভ করেছে বাংলাদেশ পর্যন্ত। একদিকে আইএস অন্যদিকে আমেরিকা। একজন অন্যজনের প্রতিষেধক এবং পরিপূরকের ভূমিকা পালন করতে চায়। সমস্যা হল, এদের কেউই সংশ্লিষ্ট দেশের মানুষ নিয়ে আগ্রহী নয়। একদল সন্ত্রাস করে অন্যদল সন্ত্রাস দমন করে- এমন দাবি নিয়ে যেকোন মাটিকে যুদ্ধক্ষেত্র বানিয়ে নেয় এই দুই শক্তি। সুদূর ইরাক থেকে আজ বাংলাদেশ পর্যন্ত চলে এসেছে তারা। তাই আমাদের ভাবতে হবে নতুন কোন ক্রসফায়ারে বাংলাদেশ পড়বে কি পড়বে না। ভাবতে হবে প্রতিরোধের উপায় নিয়ে।
এই প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজন জাতীয় ঐক্য। এই ঐক্যে হিন্দু কি মুসলিম কিংবা আদিবাসী কোন বিষয় নয়। মানুষ এবং আগত ক্রসফায়ার থেকে আত্মরক্ষায় আগ্রহীরা এই ঐক্যের আওতায়। তাই এখানে মত, পথ, প্রথা, জাতি নির্বিশেষে সবাই এক মতে পৌঁছতে হবে। স্বীকৃতির কথা স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করে দিতে হবে। তাহলে সবাই আত্মবিশ্বাস নিয়ে থাকতে পারবেন। নচেৎ নয়।
ধারাবাহিক সম্প্রিতীর বাংলাদেশে ঐক্য তো আবহমান কালের। তবুও এই ঐক্যের মৌখিক ঘোষণা ও নাগরিক শপথের প্রয়োজন রয়েছে। একটি জীবন বাঁচাতে কোটি নাগরিকের ঘোষিত এই ঐক্য মোটেই শক্তিহীন হবেনা। প্রতিটি মানুষ তার জীবনকে ঠিক যতটা ভালোবাসেন তার শক্তিও তদ্রুপ ভাবে সর্বাত্মক। এই সর্বাত্মক শক্তির কোটি আত্মার মিলন নিঃসন্দেহে জঙ্গিবাদসহ যেকোন অপশক্তিকে রুখে দেয়ার ক্ষমতা রাখে।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি
০১ আগস্ট ’১৬ বিকাল ০৫:৪৪
জঙ্গি রুখতে জাতীয় ঐক্য আসলেই সম্ভব কিনা তাতে পর্যালোচনার বিষয় আছে। সমস্যা হল, নিজেদের গায়ে না পড়া পর্যন্ত ধার্মিক মুসলিমরা কিছু বলেনা। আর আইএস তো শরিয়াই কায়েম করতে চায়। মোল্লাদের পক্ষে তো খারাপ না।