সাংস্কৃতিক আগ্রাসন!
ঢাকাইয়া চলচ্চিত্র নয়, দুই বাংলার ফিল্ম ইন্ডাষ্ট্রির উন্নয়নের দিকে নজর বাংলাদেশি স্টার ও শিল্পী সমিতির সভাপতি শাকিব খানের!! ইনি-ই ঢালিউডের কিং খান! যিনি একটা সময় যৌথ প্রযোজনায় ব্যাপক প্রতিবাদী ছিলেন। এখন হাওয়া বদলিয়ে ‘শিকারি’ নামক যৌথ প্রযোজনার সিনেমার জালে আটকে আছেন। শিকারি’র ফিল্মি কেমিস্ট্রি নিয়ে কলকাতার হিরোইন শ্রাবন্তীকে নিয়ে খানের সংবাদ সম্মেলন দেখলাম আজ। মুচকি হেসে সমস্বরে আমাদের সাংঘাতিকবৃন্দ, দিদি প্রনাম!
চিরাচরিত ধারায় সাংঘাতিক(!) মহলের কমন প্রশ্ন, দিদি ইলিশ খাইছেন তো? বহুদিন পর আদি নিবাসে আসলেন কেমন লাগছে? ওপার বাংলার কাউকে পেলেই বাংলাদেশি সাংঘাতিকরা এ দু’টো প্রশ্ন করে থাকেন। দিদিরাও হাফ ডজন সাদা ধবধবে দাঁত বের করে ইলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন! ঢেকুর তুলে বলেন, আরে বাংলাদেশে আসব ইলিশ খাবো না তা কি হয়?
ইলিশে ক্লিক মারলে যে আমাদের সাংবাদিকরা সীমান্তে বিএসএফের গুলির শব্দ, তিস্তা চুক্তি এমনকি সবরকম পাইরেসির কথা বেমালুম ভুলে যান। সেটা তাদের ভালো করে জানা! বিনোদন সাংবাদিকরা তো বলবেন, এসব তো কুটনৈতিক বুঝাপড়া।
ওকে, তাহলে ওপার বাংলায় কয়টি বাংলাদেশি চ্যানেল ওপেন আছে কিংবা কলকাতায় কেন বাংলাদেশি সিনেমা রিলিজ হয় না এসবও কি রাজনৈতিক প্রশ্ন? এটাও কি অফ টপিক?
অন্যদিকে যৌথ সিনেমায় আসলে কারা লাভবান হন তা বুঝতে মাইক্রোস্কোপ লাগেনা। শুটিং স্পট, কয়জন আর্টিস্ট এমনকি গায়ক নির্বাচনে বাংলাদেশের কত পার্সেন্ট থাকে তা দেখলেই আন্দাজ করা যায়। বরাবরই থাকে কলকাতার প্রভাব।
তবে কি শুধু নাম ভাঙিয়ে কৌশলে বাংলাদেশে কলকাতা সিনেমার মার্কেট প্লেস এস্টাবলিস্ট করা? না সরাসরি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন?
বিপরীতে এফডিসিতে ভালো গল্প, স্কিপ্ট রাইটার, দক্ষ কারিগর ও পর্যাপ্ত বাজেটের শূন্যতা থেকেই যাচ্ছে। এক কথায় দেশীয় চলচ্চিত্রের লেজ গোবরে অবস্থায় শাকিব, ফেরদৌসরা ওপার বাংলায় দৌড়াচ্ছে! আত্ম উপলব্ধির আর কত দেরি?
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
চিরাচরিত ধারায় সাংঘাতিক(!) মহলের কমন প্রশ্ন, দিদি ইলিশ খাইছেন তো? বহুদিন পর আদি নিবাসে আসলেন কেমন লাগছে? ওপার বাংলার কাউকে পেলেই বাংলাদেশি সাংঘাতিকরা এ দু’টো প্রশ্ন করে থাকেন। দিদিরাও হাফ ডজন সাদা ধবধবে দাঁত বের করে ইলিশের ভূয়সী প্রশংসা করেন! ঢেকুর তুলে বলেন, আরে বাংলাদেশে আসব ইলিশ খাবো না তা কি হয়?
ইলিশে ক্লিক মারলে যে আমাদের সাংবাদিকরা সীমান্তে বিএসএফের গুলির শব্দ, তিস্তা চুক্তি এমনকি সবরকম পাইরেসির কথা বেমালুম ভুলে যান। সেটা তাদের ভালো করে জানা! বিনোদন সাংবাদিকরা তো বলবেন, এসব তো কুটনৈতিক বুঝাপড়া।
ওকে, তাহলে ওপার বাংলায় কয়টি বাংলাদেশি চ্যানেল ওপেন আছে কিংবা কলকাতায় কেন বাংলাদেশি সিনেমা রিলিজ হয় না এসবও কি রাজনৈতিক প্রশ্ন? এটাও কি অফ টপিক?
অন্যদিকে যৌথ সিনেমায় আসলে কারা লাভবান হন তা বুঝতে মাইক্রোস্কোপ লাগেনা। শুটিং স্পট, কয়জন আর্টিস্ট এমনকি গায়ক নির্বাচনে বাংলাদেশের কত পার্সেন্ট থাকে তা দেখলেই আন্দাজ করা যায়। বরাবরই থাকে কলকাতার প্রভাব।
তবে কি শুধু নাম ভাঙিয়ে কৌশলে বাংলাদেশে কলকাতা সিনেমার মার্কেট প্লেস এস্টাবলিস্ট করা? না সরাসরি সাংস্কৃতিক আগ্রাসন?
বিপরীতে এফডিসিতে ভালো গল্প, স্কিপ্ট রাইটার, দক্ষ কারিগর ও পর্যাপ্ত বাজেটের শূন্যতা থেকেই যাচ্ছে। এক কথায় দেশীয় চলচ্চিত্রের লেজ গোবরে অবস্থায় শাকিব, ফেরদৌসরা ওপার বাংলায় দৌড়াচ্ছে! আত্ম উপলব্ধির আর কত দেরি?
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৫ টি
২৬ জুন ’১৬ সকাল ১১:৩৪
সাধক:
ওপাড় বাংলা-এপাড় বাংলা সবই এক। কোন ভেদাভেদ নাই। কুচক্রীদের হিংসুটে মন সবসময়ই খুঁতখুঁতে। জয় হোক দু বাংলার সাংস্কৃতিক অবিচ্ছন্ন লড়াইয়ের।
২৯ জুন ’১৬ রাত ১২:১১
ভারত বাংলাদেশকে সিকিম বানিয়ে ফেলবে,লেন্দুপ দর্জি হবেন শেখের কন্যা হাসিনা!