চাদাবাজিতে নতুন মাত্রাঃ পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে চাদা!
এবার নতুন মাত্রায় চাদা সংগ্রহ হচ্ছে। মুন্সিগঞ্জে দেখা গেছে এই চিত্র। এ নিয়ে প্রথম আলো একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তা নিচে দেয়া হল-
"মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট হয়ে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা (সিএনজি) থেকে পুলিশ ও শ্রমিক লীগের নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদা দিলে গাড়ি চলে, নইলে চলে না।
যেসব অটোরিকশা চাঁদা দেয় সেগুলোতে ‘লৌহজং থানা-পুলিশ ডিউটি’ লেখা একটি স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই স্টিকার ছাড়া কেউ রাস্তায় চলতে পারে না। এসব স্টিকারে দুটি মুঠোফোন নম্বর দেওয়া আছে। এর একটিতে কল করলে ধরেন লৌহজং উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. শাহাজাহান ও অপরটি ধরেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক।
অটোরিকশার চালক ও মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লৌহজং উপজেলায় দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাট ও ঘোড়দৌড় বাজার—এই দুই স্ট্যান্ড থেকে টঙ্গিবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ শহর ও নারায়ণগঞ্জ রুটে প্রতিদিন কমপক্ষে আড়াই শ অটোরিকশা চলে। দু-তিন বছর ধরে এসব অটোরিকশার মালিকদের কাছ থেকে মাসে ৮০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন শ্রমিক লীগের নেতারা।
মুন্সিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পুলিশের স্টিকারের ছবি l প্রথম আলোঅটোরিকশার চালকদের অভিযোগ, আড়াই শ গাড়ি থেকে ৮০০ টাকা করে মাসে দুই লাখ টাকা আদায় করা হয়। এই টাকার বড় একটি অংশ লৌহজং থানা, মাওয়া টিআই ও সার্জেন্ট, মুক্তারপুর ও নারায়ণগঞ্জের সার্জেন্টের মধ্যে ভাগ হয়। বাকি অংশ নেন শ্রমিক লীগের নেতারা।
৫০ বছর বয়সী এক অটোরিকশাচালক বলেন, তিনি এই রুটে ২৬ বছর ধরে গাড়ি চালান। কখনোই এভাবে চাঁদা দিতে হয়নি। দুই বছর ধরে তাঁকে মাসে ৮০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হচ্ছে। না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না।
আরেক অটোরিকশাচালক বলেন, তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালান। চাঁদার টাকা গাড়ির মালিক পরিশোধ করেন। চাঁদা না দিলে পুলিশ গাড়ি আটকে দেয়। একাধিক অটোরিকশাচালক জানান, চাঁদা ছাড়াও প্রতি রাতে পুলিশকে বিনা ভাড়ায় দুটি অটোরিকশা ডিউটি পালন করতে দিতে হয়।
জানতে চাইলে লৌহজং শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহজাহান চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদার টাকার বেশির ভাগই মাওয়া ঘাটের টিআই ও সার্জেন্টকে দিতে হয়। তাঁরা অল্প কিছু পান। এই টাকা দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়।
তবে মাওয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কথা বলেছে এটা ঠিক বলেনি। শ্রমিক সংগঠনগুলো নিজের পরিচয়ে টাকা তুলতে পারে।’ পুলিশের নামে স্টিকার ব্যবহার করে চাঁদা আদায় প্রসঙ্গে তিনি হেসে দিয়ে বলেন, ‘তারা যে কী করে এই স্টিকার পেল, বুজতাছি না।’
লৌহজং থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, ‘পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে চাঁদা আদায় করার বিষয়টি সঠিক নয়। তারা কোথা থেকে এই স্টিকার পেল আমরা জানি না।’ খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ করলে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শাহজাহান ও মালেকের বিরুদ্ধে চাঁদা তোলার বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। কিন্তু স্থানীয় নেতারা তাঁদের পক্ষে থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।’"
এভাবে নিত্য নতুন মাত্রায় চাদাবাজি শুরু হলে জনগণ যাবে কোথায়? যেখানে দূর্নীতি প্রতিরোধের দ্বায়িত্ব দিয়ে পুলিশ বাহিনী তৈরি করা হয়। জনগনের টাকায় দেয়া হয় বেতন সেখানে খোদ পুলিশই যখন নিজস্ব স্টিকার লাগিয়ে জনগনকে জিম্মি করে তখন এসব নিয়ে আর চুপ থাকা যায়না। দেশটা যেন ডাকাতদের হাতে চলে গেছে। নতুন জনযুদ্ধ ছাড়া আর বুঝি কোন পথ খোলা নেই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
"মুন্সিগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট হয়ে চলাচলকারী সিএনজিচালিত অটোরিকশা (সিএনজি) থেকে পুলিশ ও শ্রমিক লীগের নামে চাঁদা আদায় করা হচ্ছে। চাঁদা দিলে গাড়ি চলে, নইলে চলে না।
যেসব অটোরিকশা চাঁদা দেয় সেগুলোতে ‘লৌহজং থানা-পুলিশ ডিউটি’ লেখা একটি স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হয়। ওই স্টিকার ছাড়া কেউ রাস্তায় চলতে পারে না। এসব স্টিকারে দুটি মুঠোফোন নম্বর দেওয়া আছে। এর একটিতে কল করলে ধরেন লৌহজং উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি মো. শাহাজাহান ও অপরটি ধরেন উপজেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক।
অটোরিকশার চালক ও মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, লৌহজং উপজেলায় দক্ষিণবঙ্গের প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাট ও ঘোড়দৌড় বাজার—এই দুই স্ট্যান্ড থেকে টঙ্গিবাড়ী, মুন্সিগঞ্জ শহর ও নারায়ণগঞ্জ রুটে প্রতিদিন কমপক্ষে আড়াই শ অটোরিকশা চলে। দু-তিন বছর ধরে এসব অটোরিকশার মালিকদের কাছ থেকে মাসে ৮০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করছেন শ্রমিক লীগের নেতারা।
মুন্সিগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণে সিএনজিচালিত অটোরিকশায় পুলিশের স্টিকারের ছবি l প্রথম আলোঅটোরিকশার চালকদের অভিযোগ, আড়াই শ গাড়ি থেকে ৮০০ টাকা করে মাসে দুই লাখ টাকা আদায় করা হয়। এই টাকার বড় একটি অংশ লৌহজং থানা, মাওয়া টিআই ও সার্জেন্ট, মুক্তারপুর ও নারায়ণগঞ্জের সার্জেন্টের মধ্যে ভাগ হয়। বাকি অংশ নেন শ্রমিক লীগের নেতারা।
৫০ বছর বয়সী এক অটোরিকশাচালক বলেন, তিনি এই রুটে ২৬ বছর ধরে গাড়ি চালান। কখনোই এভাবে চাঁদা দিতে হয়নি। দুই বছর ধরে তাঁকে মাসে ৮০০ টাকা করে চাঁদা দিতে হচ্ছে। না দিলে গাড়ি চলতে দেওয়া হয় না।
আরেক অটোরিকশাচালক বলেন, তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালান। চাঁদার টাকা গাড়ির মালিক পরিশোধ করেন। চাঁদা না দিলে পুলিশ গাড়ি আটকে দেয়। একাধিক অটোরিকশাচালক জানান, চাঁদা ছাড়াও প্রতি রাতে পুলিশকে বিনা ভাড়ায় দুটি অটোরিকশা ডিউটি পালন করতে দিতে হয়।
জানতে চাইলে লৌহজং শ্রমিক লীগের সভাপতি শাহজাহান চাঁদা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে প্রথম আলোকে বলেন, চাঁদার টাকার বেশির ভাগই মাওয়া ঘাটের টিআই ও সার্জেন্টকে দিতে হয়। তাঁরা অল্প কিছু পান। এই টাকা দলীয় কর্মকাণ্ডে ব্যয় করা হয়।
তবে মাওয়া ঘাটের ট্রাফিক পরিদর্শক (টিআই) মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের কথা বলেছে এটা ঠিক বলেনি। শ্রমিক সংগঠনগুলো নিজের পরিচয়ে টাকা তুলতে পারে।’ পুলিশের নামে স্টিকার ব্যবহার করে চাঁদা আদায় প্রসঙ্গে তিনি হেসে দিয়ে বলেন, ‘তারা যে কী করে এই স্টিকার পেল, বুজতাছি না।’
লৌহজং থানার ওসি মোল্লা জাকির হোসেন বলেন, ‘পুলিশের স্টিকার লাগিয়ে চাঁদা আদায় করার বিষয়টি সঠিক নয়। তারা কোথা থেকে এই স্টিকার পেল আমরা জানি না।’ খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ করলে জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘শাহজাহান ও মালেকের বিরুদ্ধে চাঁদা তোলার বিষয়ে আমার কাছে অভিযোগ এসেছে। কিন্তু স্থানীয় নেতারা তাঁদের পক্ষে থাকায় ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না।’"
এভাবে নিত্য নতুন মাত্রায় চাদাবাজি শুরু হলে জনগণ যাবে কোথায়? যেখানে দূর্নীতি প্রতিরোধের দ্বায়িত্ব দিয়ে পুলিশ বাহিনী তৈরি করা হয়। জনগনের টাকায় দেয়া হয় বেতন সেখানে খোদ পুলিশই যখন নিজস্ব স্টিকার লাগিয়ে জনগনকে জিম্মি করে তখন এসব নিয়ে আর চুপ থাকা যায়না। দেশটা যেন ডাকাতদের হাতে চলে গেছে। নতুন জনযুদ্ধ ছাড়া আর বুঝি কোন পথ খোলা নেই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ২ টি