ভয়াবহ আইএস বাংলাদেশে! প্রতিরোধ কোথায়?
একের পর এক আইএস সম্পর্কিত খুন হচ্ছে বাংলাদেশে। হঠাত করে দক্ষিন এশিয়া ও বিশেষত বাংলাদেশকে ভিত্তি করে আইএসের কার্যক্রম শুরুর ঘোষণার পর থেকেই এ দেশে তাদের কার্যক্রম ব্যাপক ভাবে ফুটে উঠেছে। সর্বশেষ ঝিনাইদহের করাতিপাড়ায় সনাতন ধর্মাবলম্বী এক পুরোহিতকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ মঙ্গলবার সকালে মহিষাডাঙ্গা গ্রামের একটি মাঠে তাঁর লাশ পাওয়া গেছে।
একের পর এক সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় নেতাদের চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করছে। হত্যা করছে ব্লগার ও অনলাইন একটিভিস্টদেরকে। হত্যা করছে স্বধর্মের মাঝে থাকা ভিন্ন মতাবলম্বীদেরকেও। পক্ষান্তরে আইএস এর ঘাটি উদ্ধারের অপরাধে পুলিশ কর্মকর্তার স্ত্রীরাও আজ নিরাপদ নয়! এমন একটি স্বাশ্রুদ্ধকর মুহুর্তেই বাংলাদেশের সরকার বলছে দেশে কোন আইএস নাই। আবার খুনের পর পরই বলা হচ্ছে জঙ্গি গোষ্ঠীর কাজ!
আসলে ঘটনা কী? কোন ধরনের তদন্ত না করেই একদিকে যেমন বলা হচ্ছে দেশে আইএস নাই আবার ঠিক একই ভাবে বলা হচ্ছে জঙ্গি হামলায় নিহত হচ্ছেন নিহতরা। অন্যদিকে দিন গড়াতে গড়াতে খুনের পরিমান বৃদ্ধি হয়ে যাচ্ছে। সরকারের কোন অগ্রগতিও নাই। মানুষের জীবন যখন সীমাবদ্ধ হয়ে যাচ্ছে। জীবনের মূল্য শূণ্যের কোঠায় নেমে গেছে তখনও সরকার পরিস্থিতির কোন কূল করতে পারছেনা। কিন্তু এভাবে কোন দেশ স্বাভাবিক থাকতে পারেনা। ফলে জঙ্গিবাদী গোষ্ঠীরাই আপাত দৃষ্টে বিজয়ী হচ্ছে। বাংলাদেশেও সুদূর মধ্যপ্রাচ্যের বর্বরতা মাথা চাড়া দিচ্ছে।
নাগরিক হিসেবে আমাদের উতকন্ঠা দমনের দায় সরকারের। ফলে বিরাজমান পরিস্থিতিতে যথাযথ উদ্যোগ বাস্তবায়নই সরকার, দেশ ও জাতিকে অস্পৃশ্য থেকে মুক্ত করতে পারে।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি
০৭ জুন ’১৬ রাত ০১:১৪
জামাতি ইসলাম আর তার সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করলে বাংলাস্তান হতে বেশি দিন লাগবে না।