লেজুড়বৃত্তি হীন ছাত্ররাজনীতির জন্য দরকার ছাত্র সংসদ নির্বাচন!
সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সম্মেলনে ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক বলেছিলেন,“অনেকে বলেন আমাদের মাঝে অনেক সিন্ডিকেট আছে,ভুল কথা।আমাদের একটাই সিন্ডিকেট, সমগ্র বাংলাদেশের ছাত্রলীগের একটাই সিন্ডিকেট,সেটি হল মাননীয় প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা”।সত্যি কথাই বলেছেন ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক।যার অনূগ্রহে তিনি সাধারন সম্পাদক হয়েছিলেন তার কথা না বললে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়না!সমগ্র বাংলাদেশে ছাত্ররাজনীতির একই অবস্থা।কেন্দ্র বলছে আমাদের সিন্ডিকেট প্রধান মন্ত্রী,বিভাগীয় ছাত্রলীগের সিন্ডিকেট বিভাগীয় আওয়ামীগের সভাপতি,জেলার নেতারা বলছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি-সেক্রেটারীর কথা।যে যার অনুগ্রহে নেতা হয়েছেন সে তার কথা বলছে,তাকে গুরু হিসাবে মান্যও করছেন।বিএনপির ছাত্র সংগঠন ছাত্রদলেরও একই অবস্তা।এখন আপনিই বলুন যার অনুগ্রহে আপনি নেতা তার কথার বিপরীতে দাড়িয়ে কোন সিদ্ধান্ত নেবার ক্ষমতা কি আপনার আছে!লেজুড় বৃত্তিতো এভাবেই ছাত্ররাজনীতিকে গ্রাস করে ফেলছে।লেজুড় বৃত্তি রাজনীতি দিয়ে স্থানীয় বা মূল দলের রাজনীতিকে ব্যাকাপ দেয়া যায় কিন্ত সাধারন ছাত্রছাত্রীদের কোন কল্যান করা যায়না,জাতীয় কল্যাণতো অনেক দূরের কথা।যতদিন না কারো আশির্বাদ পুষ্ট না হয়ে নিজের যোগ্যতার বলে ছাত্রনেতারা নেতা নির্বাচিত হচ্ছে ততদিন লেজুরবৃত্তিহীন ছাত্ররাজনতি সম্ভব নয়।আর এজন্য প্রয়োজন ছাত্র সংসদ নির্বাচন।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচারয অনেকভাবে দায়ী।আসলে উনি কোনভাবেই চাননা ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক।ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেতো যাদের অনুগ্রহে তিনি উপাচারয হয়েছেন তাদের তথাকথিত ছাত্রনেতারা নির্বাচিত হতে পারবেননা।আর সরকার দলীয় নেতারা নির্বাচিত হতে না পারলে উনার গদি পাহারা দেবে কে?উনার সকল দূর্নীতিকে ধামাচাপা দেবে কে?উনার বিরোধী ছাত্রনেতাদের পিটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করবে কে?সবকিছু মিলিয়ে সরকারী দল ও উপাচারয চাননা ছাত্রসংসদ নির্বাচন হোক।যদিওবা নির্বাচন হয় তাহলে সরকার দলীয় নেতারা যে নির্বাচিত হতে পারবে না সেটা তারা ভালো করেই জানেন।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে সকল ধরনের লেজুড় বৃত্তিতা থাকবেনা।আপামর সাধারন ছাত্র/ছাত্রীদের মেনডেট নিয়ে আপনি যদি ভিপি,জিএস হতে পারেন,তাহলে দেখবেন আপনার পিছনে সরকারী দল ঘুরছে,উপাচারয আপনাকেই বেশি সময় দিচ্ছে।কারন সকল ছাত্র/ছাত্রীদের আস্থার প্রতিক হচ্ছেন আপনি।যেহেতু আপনি কারো অনূগ্রহ নিয়ে নেতা হননী সেহেতু আপনি আপনার মতো করে ছাত্রবান্ধব সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।আপনি ভালো ছাত্র বলেই আপনাকে ভোট দিয়েছে তারা,আপনি ভালো মানুষ বলেই ভোট দিয়েছে তারা,আপনি সবার আস্থাশীল বলেই ছাত্রদল,ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাসী নেতাকে বাদ দিয়ে আপনাকে ভিপি বা জিএস নির্বাচিত করেছে।কাজেই ইচ্ছা করলেই ছাত্রদের স্বার্থের বাইরে গিয়ে আপনি কিছু করতে পারবেননা।গনতান্ত্রিক,সামষ্টিক সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোন দলের কথা অনুযায়ী চলতে পারবেনা।তার মানে দাড়াচ্ছে ছাত্র সংসদের ভিপি বা জিএস কোন একক দল বা গোষ্ঠির নয়,তারা হচ্ছেন সমগ্র ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি।ব্যাক্তিগত ভালো লাগা কোন দলের প্রতি থাকতেই পারে,কিন্ত সামষ্টিক ছাত্রসমাজের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোন দলের লেজুড় বৃত্তিরাজনীতি করতে বাধ্য নয়।ফলে মেরুদন্ড শক্ত নেতার জন্ম হয়,গনতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক ভাবে।অন্যন্য রাজনৈতিকক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতারা তখন ভালো ছাত্রের পাশাপাশি ভালো মানুষ হবার চেষ্টায় আত্বনিয়োগ করবে।আর তখনই সোনার বাংলাদেশ হয়ে উঠবে গনতন্ত্রের জন্য আদর্শ রাষ্ট্র।বৈদেশিক রাষ্ট্রের লেজুড় বৃত্তি করে রাজনৈতক দল গুলো দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারেনা তেমনী রাজনেতক দলের লেজুড় বৃত্তি করে ছাত্রনেতারা শিক্ষিত সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে পারেনা।মদ্দা কথা হলো,লেজুড় বৃত্তি করে কখনোই ভালো কিছু হয়।যারা লেজুড় বৃত্তি করে তারা হচ্ছে আগাছা,আগাছা সর্বদা ধ্বংসই ডেকে আনে।আর এজন্যই এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন,“লেজুড় বৃত্তি করে কখনো বিপ্লব হয়”।লেজুড় বৃত্তির খোলস থেকে বেড়িয়ে আসুক ছাত্ররাজনীতি।ছাত্রদের সার্বিক কল্যানের জন্য ছাত্র সংসদের বিকল্প নেই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হবার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচারয অনেকভাবে দায়ী।আসলে উনি কোনভাবেই চাননা ছাত্র সংসদ নির্বাচন হোক।ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলেতো যাদের অনুগ্রহে তিনি উপাচারয হয়েছেন তাদের তথাকথিত ছাত্রনেতারা নির্বাচিত হতে পারবেননা।আর সরকার দলীয় নেতারা নির্বাচিত হতে না পারলে উনার গদি পাহারা দেবে কে?উনার সকল দূর্নীতিকে ধামাচাপা দেবে কে?উনার বিরোধী ছাত্রনেতাদের পিটিয়ে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করবে কে?সবকিছু মিলিয়ে সরকারী দল ও উপাচারয চাননা ছাত্রসংসদ নির্বাচন হোক।যদিওবা নির্বাচন হয় তাহলে সরকার দলীয় নেতারা যে নির্বাচিত হতে পারবে না সেটা তারা ভালো করেই জানেন।
ছাত্র সংসদ নির্বাচন হলে সকল ধরনের লেজুড় বৃত্তিতা থাকবেনা।আপামর সাধারন ছাত্র/ছাত্রীদের মেনডেট নিয়ে আপনি যদি ভিপি,জিএস হতে পারেন,তাহলে দেখবেন আপনার পিছনে সরকারী দল ঘুরছে,উপাচারয আপনাকেই বেশি সময় দিচ্ছে।কারন সকল ছাত্র/ছাত্রীদের আস্থার প্রতিক হচ্ছেন আপনি।যেহেতু আপনি কারো অনূগ্রহ নিয়ে নেতা হননী সেহেতু আপনি আপনার মতো করে ছাত্রবান্ধব সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।আপনি ভালো ছাত্র বলেই আপনাকে ভোট দিয়েছে তারা,আপনি ভালো মানুষ বলেই ভোট দিয়েছে তারা,আপনি সবার আস্থাশীল বলেই ছাত্রদল,ছাত্রলীগ ও ছাত্র শিবিরের সন্ত্রাসী নেতাকে বাদ দিয়ে আপনাকে ভিপি বা জিএস নির্বাচিত করেছে।কাজেই ইচ্ছা করলেই ছাত্রদের স্বার্থের বাইরে গিয়ে আপনি কিছু করতে পারবেননা।গনতান্ত্রিক,সামষ্টিক সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোন দলের কথা অনুযায়ী চলতে পারবেনা।তার মানে দাড়াচ্ছে ছাত্র সংসদের ভিপি বা জিএস কোন একক দল বা গোষ্ঠির নয়,তারা হচ্ছেন সমগ্র ছাত্রসমাজের প্রতিনিধি।ব্যাক্তিগত ভালো লাগা কোন দলের প্রতি থাকতেই পারে,কিন্ত সামষ্টিক ছাত্রসমাজের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কোন দলের লেজুড় বৃত্তিরাজনীতি করতে বাধ্য নয়।ফলে মেরুদন্ড শক্ত নেতার জন্ম হয়,গনতান্ত্রিক রাজনীতির চর্চা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে ব্যাপক ভাবে।অন্যন্য রাজনৈতিকক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতারা তখন ভালো ছাত্রের পাশাপাশি ভালো মানুষ হবার চেষ্টায় আত্বনিয়োগ করবে।আর তখনই সোনার বাংলাদেশ হয়ে উঠবে গনতন্ত্রের জন্য আদর্শ রাষ্ট্র।বৈদেশিক রাষ্ট্রের লেজুড় বৃত্তি করে রাজনৈতক দল গুলো দেশের জন্য ভালো কিছু করতে পারেনা তেমনী রাজনেতক দলের লেজুড় বৃত্তি করে ছাত্রনেতারা শিক্ষিত সমাজের জন্য ভালো কিছু করতে পারেনা।মদ্দা কথা হলো,লেজুড় বৃত্তি করে কখনোই ভালো কিছু হয়।যারা লেজুড় বৃত্তি করে তারা হচ্ছে আগাছা,আগাছা সর্বদা ধ্বংসই ডেকে আনে।আর এজন্যই এমিরেটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন,“লেজুড় বৃত্তি করে কখনো বিপ্লব হয়”।লেজুড় বৃত্তির খোলস থেকে বেড়িয়ে আসুক ছাত্ররাজনীতি।ছাত্রদের সার্বিক কল্যানের জন্য ছাত্র সংসদের বিকল্প নেই।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৫ টি
১৬ এপ্রিল ’১৬ রাত ০২:৩০
একমত। ছাত্ররাজনীতি সঠিক দিকে পরিচালিত না হলে ভবিষ্য্যত বাংলাদেশও আজকের অবস্থাতেই পড়ে থাকতে বাধ্য।