আসুন, সংবিধান ভঙ্গ করি!
গড়াই হয় ভাঙ্গার জন্য। অবাক হলেন! আসলেই তাই। যে দুর্গাকে এত ভালোবেসে তৈরী করা হল,দশমীতে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে অথবা লাথ্থি মেরে ভেঙ্গেই কিন্তু জলে ফেলে দিতে হয়! কারন, এটাই মা দুর্গার প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ। আবার ধরুন,প্রেমের কথা। যে ছেলে বা মেয়ে একে অপরকে ছাড়া চিন্তাই করতে পারতোনা,জীবনকে অর্থহীন ভাবতো,তারাই আবার ব্রেকাপ করছে! কখনো এক তরফা কখনোবা মিউচ্যুয়াল আন্ডারস্ট্যানডিংয়ের মাধ্যমে। আবার পারিবারিক ভাবে সম্পন্ন বিয়ের ক্ষেত্রেও ঘটছে একই ঘটনা। মানে কারনে বা অকারনে ভেঙ্গে যাচ্ছে দাম্পত্য জীবন। অনেক কষ্টের টাকা দিয়ে যে বহুতল ভবন তৈরি করলেন,সেটাকেও কিন্তু আপটার ৪০ অথবা ৫ বছর পরে ভেঙ্গে ফেলতে হচ্ছে! কারন সবার কাছে স্পষ্ট। এখন খুব ভালো করে ভাবুনতো,যদি উপরের সম্পর্কগুলো বা স্থাপনাগুলো তৈরি না করতেন বা না গড়ে তুলতেন,তাহলে ভাঙ্গার প্রশ্ন আসতো?
বাংলাদেশের সংবিধান তৈরির পর থেকে তিনবারের মত রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রায় পনেরো বার ভাঙ্গাচুরা করা হয়েছে! সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে,নাগরিকের সভা,সমাবেশ বা মিছিল করার অধিকার রয়েছে। সরকার মহোদয় দিচ্ছে সেই অধিকার পালন করবার স্বাধীনতা! এও লিখা আছে,যদি প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারী, অপরাধের কারনে আদালত কর্তৃক অপরাধী প্রমানিত হন এবং সে কারনে ছয় মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত হন অথবা এক হাজারের বেশি টাকার জরিমানায় বাধ্য হন,তাহলে আপনাআপনি তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হবেন! বরখাস্ত কি হচ্ছেন? হচ্ছে না! স্পষ্ট সংবিধানকে লংঘন। এত “মায়া” থাকলে রাষ্ট্র চলেনা আফা!
আমাদের সংবিধান,আমরা লঙঘন করতেই পারি! এটাতো তৈরিই হয়েছে ভাঙ্গার জন্য! নইলে,গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অগনতান্ত্রিক সরকার দেশ চালায় কেমনে!? আসুন,তনুর হত্যার বিচারের দাবিতে কর প্রদান বন্ধ করে দেই অথবা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের গেটকে সিলগালা করে দেই! নইলে যে,সংবিধান বেটা আস্ত থেকে যায় দাদা! ভাঙ্গার জন্যই যে সংবিধান তাকে আস্ত রেখে লাভ কি ? ভাঙ্গা গড়ার এই ধারাবাহিক আন্দোলনে আপনিও যুক্ত হোন! কারন,ভাঙ্গাই পারে নতুন কিছু গড়তে!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
বাংলাদেশের সংবিধান তৈরির পর থেকে তিনবারের মত রাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য স্থগিত করা হয়েছে এবং প্রায় পনেরো বার ভাঙ্গাচুরা করা হয়েছে! সংবিধানে স্পষ্ট করে বলা আছে,নাগরিকের সভা,সমাবেশ বা মিছিল করার অধিকার রয়েছে। সরকার মহোদয় দিচ্ছে সেই অধিকার পালন করবার স্বাধীনতা! এও লিখা আছে,যদি প্রজাতন্ত্রের কোন কর্মচারী, অপরাধের কারনে আদালত কর্তৃক অপরাধী প্রমানিত হন এবং সে কারনে ছয় মাসের কারাদন্ডে দন্ডিত হন অথবা এক হাজারের বেশি টাকার জরিমানায় বাধ্য হন,তাহলে আপনাআপনি তিনি রাষ্ট্রের দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত হবেন! বরখাস্ত কি হচ্ছেন? হচ্ছে না! স্পষ্ট সংবিধানকে লংঘন। এত “মায়া” থাকলে রাষ্ট্র চলেনা আফা!
আমাদের সংবিধান,আমরা লঙঘন করতেই পারি! এটাতো তৈরিই হয়েছে ভাঙ্গার জন্য! নইলে,গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে অগনতান্ত্রিক সরকার দেশ চালায় কেমনে!? আসুন,তনুর হত্যার বিচারের দাবিতে কর প্রদান বন্ধ করে দেই অথবা ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবার জন্য জাতীয় সংসদ ভবনের গেটকে সিলগালা করে দেই! নইলে যে,সংবিধান বেটা আস্ত থেকে যায় দাদা! ভাঙ্গার জন্যই যে সংবিধান তাকে আস্ত রেখে লাভ কি ? ভাঙ্গা গড়ার এই ধারাবাহিক আন্দোলনে আপনিও যুক্ত হোন! কারন,ভাঙ্গাই পারে নতুন কিছু গড়তে!
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৩ টি
১৩ এপ্রিল ’১৬ বিকাল ০৪:০৭
সংবিধানের রক্ষকই প্রতিনিয়ত ভাঙ্গছেে,আমাদের আর দরকার হবেনা!