বাঁশখালিতে কিছু হল কিনা জানা গেলো না।
কিছু একটা হয়েছে। অনলাইন ট্রেন্ডে অজ পাড়ার নাম এত ভাসে কেন? কিন্তু আসলেই যদি কিছু হবে সংবাদে এত রাখঢাক কেন? তনু নয় বলে? কিংবা এখানে যুদ্ধাপরাধীদের সংযোগ নাই, সেজন্য? প্রচার যন্ত্রের নিরবতা আসলে কেন? ঘটনা কী?
চট্টগ্রামের একেবারেই অনুনন্নত এলাকা বাশখালী। এই থানার একটা ইউনিয়ন পর্যায়ে গতকাল যা ঘটেছে তা কেউ শক্ত রেফারেন্স দিয়ে বলতে পারছেন না। কারন মিডিয়া গুলো এ নিয়ে তেমন কোন উচ্চবাচ্য করছে না। এমনকি গণজাগরন মঞ্চ নামধারীরাও মানবতাবোধে উজ্জীবিত হতে দেরি করছেন। কোন সাড়া শব্দ না থাকলে বুঝি মানুষের প্রাণ অপেক্ষায় থাকে? থাকেনা। পুলিশের গুলি ঝড়ে গেলো অসংখ্য প্রাণ। লোকে শুধু মিডিয়ার ফিল্টারিং নিউজে জানে চার চারটা প্রাণ ঝরে গেছে। জানেনা এই সংখ্যা কত বেশি হলে তারা চমকে উঠবেন! ইতিমধ্যে ঐ এলাকার লোক পাগল হয়ে গেছে!
লোকে বলে চারটা প্রাণ গেছে চারটা লাখ টাকার মামলা। কেন এত হই চই? এবার বোঝ ঠেলা? ৩ হাজার গ্রামবাসীই আসামী! কত বড় ঘটনা ছিলো সেটা? কেউ জানলো না। এ পর্যন্ত ২০ জনের মৃত্যুর খবর শক্ত করে বলা যায়। বাকীরা নিখোঁজ। একটা পরিবারেই ৪ টা প্রাণ চলে গেছে! সবাই অন্ধ। সবাই বধির। ঘটনার ঘ্রাণ ইমরানরাও পায়! জাগরন মঞ্চে ভাটা পড়েছে বটে, তবে এই ইস্যুতে নবজোয়ার আসবে কিনা, সন্দেহ।
সবাই শুয়োর হয়ে গেছে। মানুষ পাবো কোথায়? তাই প্রতিবাদ না হলেও প্রাণ গুলো চলে গেলো। প্রতিবাদ, জাগরন, মানবাধিকার, নাগরিক অধিকার এই শব্দগুলো সুশীলদের জন্য থাকুক। প্রতিবাদকারীদের কবরে ফুল দিয়ে কী হবে? মানুষ নাই বা জানলো! বীরের কবরে ফুল উঠে না। ফুল উঠে রাজনীতির মঞ্চে। কবর কী রাজনীতির মঞ্চ হতে পারে??
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৪ টি
০৫ এপ্রিল ’১৬ সন্ধ্যা ০৬:২৩
আরে ভাই,রাষ্ট্রের পুলিশ রাষ্ট্রের নাগরিক মেরেছে,তো কি হয়েছে বলুন!রাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য এতটুকু না করলে, বেতন যে হালাল হয়না,বউ!
০৫ এপ্রিল ’১৬ সন্ধ্যা ০৭:৪৮
ঘটনার নিন্দা জানাই। কিন্তু জামাতি টাইপ লেখা কেন? এর সাথে যুদ্ধাপরাধী কিংবা শাহবাগকে জড়ানোর মানে কী??