দেশের অস্থিরতার জন্য দায়ী কে?
রাষ্ট্র একটা সিস্টেম। পুরো রাষ্ট্রে অস্থিরতা তৈরি করলে সেই সিস্টেম সরকারের হাতে থাকেনা। সরকার চাইলেও আর তাকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে পারেনা। তবে, রাজনীতি অবশ্যই ভিন্ন বিষয়। রাজনৈতিক কারনে কোন সরকারই স্বীকার করবে না যে, তারা রাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে যে কোন কারনে ব্যার্থ হচ্ছে। অর্থাৎ কোন অপরাধী গোষ্ঠীর কারনে সিস্টেম নিয়ন্ত্রের বাইরে চলে গেলে, তার দায় কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রক গ্রহন করতে পারেনা। দুঃখজনক হলেও সত্য গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে এই দায় সরকারকেই বহন করতে হয়! এই যখন অবস্থা তখন সরকারও একদিকে নীয়ন্ত্রণহীন দেশেও শান্তি ও সমৃদ্ধর কথা বলতে বাধ্য থাকে, অন্যদিকে তার সামনে দিয়ে অপরাধী গোষ্ঠী একের পর এক অপরাধ ঘড়িয়ে দেশকে অস্থির প্রমাণ করতে চায়! আর এই নোংরামোর কারনে ক্ষতি পুরোটাই জনগনের কাধে এসে পড়ে!
ভাবুন একটি বার! একটা জনতার সরকার। জনতার কল্যাণে কাজ করতে চায়। কিন্তু অপরাধী গোষ্ঠীর কারনে একদিকে তারা সে কাজে অপারগ! অন্যদিকে তারা জনগণের কষ্টের কথাও মুখে বলতে পারে না। এমন একটি অবস্থা যেকোন দেশপ্রেমিক রাজনীতিক ও সরকারের জন্য কতটা কষ্টের, একটাবার কল্পনা করুন!!!
ঠিক এমন একটি মুহুর্ত অতিক্রম করছে মহাজোট সরকার। আমরা জনগণ সব বুঝেও বুঝিনা, দেখেও দেখিনা। কারন এদেশের জনগণ রাজনীতির পর্যবেক্ষক হলেও এখন পর্যন্ত পর্যালোচক হতে পারিনি। জনগণের মাঝে রাজনীতির পর্যালোচনা একটি দেশকে পরিবর্তন করে। একেই রাজনীতি সচেতন নাগরিক বলা হয়।
আমরা জানি গণতান্ত্রিক সিস্টেমে ক্ষমতা কেন্দ্রীক রাজনীতি, আর রাজনীতি কেন্দ্রীক সেবা। এ কারনে রাজনীতিক মাত্র সেবক না হলেও, সেবক মাত্রই রাজনীতিক। আর এজন্যই সেবকরা সেবার উদ্দেশ্যে ক্ষমতা চান। অন্যদিকে অপরাধী চক্রের অপরাধ হেতু জনতা যখন রাজনীতির সীমাবদ্ধতার কারনে সব দেখেও বুঝেনা। ঠিক তখনই সৎ রাজনীতিক অনেক কথা বলতে পারে না। যেমন বিরোধী দলের নামে হত্যা-সন্ত্রাসের কথা রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার কারনে সরকার বলতে পারেনা। এটা স্বীকার করা মাত্রই অপরাধী চক্রের পালিত বুদ্ধিজীবি রই রই করে উঠবে- সরকার ব্যার্থ!! সরকার ব্যার্থ! ক্ষমতা ছাড়ো, ক্ষমতা ছাড়ো!!! আর অসচেতন জনতা পুরো ডার্টি গেইম না বুঝেই তাদের ফাঁদে পা দেবে!
ফলে কইতে না পারার এবং একই সাথে সইতে না পারার যন্ত্রনায় ভুগতে থাকেন সৎ রাজনীতিকরা।
আজ দেশের সকল সমস্যা দূর হতে হলে এই অপরাধী চক্রের মূল হোতা খালেদাকে রাজনীতি থেকে নির্বাসন দিতে হবে। তাহলেই গণতান্ত্রিক রাজনীতিতে সকল সিটেম সঠিক ভাবে আবার ইন্সটল হবে। আর সরকারও মুক্তিযুদ্ধের মহান চেতনায় জনতার সেবা করবে। এতটুকু আশা করার মত যোগ্যতা সরকার ইতিমধ্যে দেখিয়েছে। একই ভাবে নোংরা পলিটিক্স দমনেও পারদর্শিতা দেখাতে স্বক্ষম হয়েছে।
বাংলাদেশ সুখী হোক। জয় মানবতা।
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
০২ এপ্রিল ’১৬ বিকাল ০৫:০৮
বর্তমান সরকারের বাস্তব অবস্থা যা-ই হোক, আপনার বিশ্লেষণের সাথে একমত। দেশপ্রেমিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও তাকে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হয় আর সেই কৌশলের কারনে একদিকে সরকার টিকে যায় অন্যদিকে জনগণ ক্ষতিগ্রস্থ হয়!
০২ এপ্রিল ’১৬ বিকাল ০৫:১৩
সব সরকারের সময় আপনার থিওরি দিয়ে অন্যায়কে বৈধতা দেয়া যায়। সব সরকারের কিছু কল্যানকামী থাকে। তারা আপনার এই সরলীকরন থিওরি লিখে রাখতে পারে। তাই সব কৌশল ফাঁস করবে না প্লিজ। লোল
০৩ এপ্রিল ’১৬ সকাল ১১:৫৪
ছাগুদের কাছে,মানুষের চেয়ে যেমন ধর্ম বড় তেমনী নব্য চেতনাবাজ ছাগুদের কাছে,মানুষের চেয়ে চেতনা বড়!