রাষ্ট্রধর্মঃ বাংলাদেশ ও বিশ্ব
৯ মাস কষ্টের পর সন্তান জন্ম দিয়ে ধন্য হন মা! ৯ মাসের যুদ্ধের পর ধন্য বাংলা মা যখন তার সকল সন্তানের মাঝে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সমমর্যাদায় সংসার সাজাচ্ছিলেন ঠিক তখন নরপিশাচের দল সেই সংসারকে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিলো! অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ দখল চলে গেলো! সাম্প্রদায়িক অপশক্তির লালসার কাছে বন্দি হল পবিত্র সংবিধান।
সেই সাম্প্রদায়িক অপশক্তির অপরাজনীতির ফসল আজকের রাষ্ট্রধর্ম বিতর্ক।
অনেকেই যুক্তি প্রদর্শন করে থাকে। এ নিয়ে বউ তথ্য উপাত্ত হাজির করতে চায়। বিশ্বের নানা দেশের উদাহরন টানে। শুধু মুক্তিযুদ্ধের উদাহরন টানেনা। শুধু অসাম্প্রদায়িকতায় জন্ম নেয়া মুক্তির বাংলাদেশের চেতনার উদাহরন টানেনা।
প্রতিটি দেশের ইতিহাস আলাদা। প্রতিটি দেশে জন্ম আলাদা আলাদা উপলক্ষে। প্রতিটি দেশ তার ইতিহাস ও ঐতিহ্যের আলোকে রচনা করে সংবিধান। একইভাবে অসাম্প্রদায়িকতার চেতনায় পাকিস্তান ভেঙ্গে বাংলাদেশের সৃষ্টি বলে বাংলাদেশ তার ইতিহাসের আলোকেই সংবিধান রচনা করবে, এটাই স্বাভাবিক।
আজ মনে পড়ে পাকিস্তানের সাম্প্রদায়িক অপরাজনীতি। শুধু হিন্দু হবার কারনে সংখ্যালঘুরাই নয় একই সাথে বাঙ্গালী হবার কারনে এদেশের মুসলিমরাও তাদের ভাষায় মালাওন হয়ে গিয়েছিলো। বাংলা হয়েছিলো মালাওনের ভাষা!!! ছিঃ
সেই সাম্প্রদায়িকতা সমর্থন করিনা বলেই অসাম্প্রদায়িকতার ঐতিহ্যের বাংলাদেশ নিজেকে স্বাধীন করেছে। সংবিধান রচনা করেছে অসাম্প্রদায়িক চেতনায়। অথচ পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা সেই সংবিধানকে অগনতান্ত্রিক উপায়ে কেটে-ছিড়ে হত্যা করেছে। আজ কোন বিতর্ক নয়। বিতর্কের কোন যুক্তি নেই। স্বাধীন বাংলাদেশে স্বাধীনতার চেতনায় যে সংবিধান সেই সংবিধানকেই পুনঃস্থাপনের পথে বিতর্ক সৃষ্টির কোন সুযোগ নাই। মুক্তিযুদ্ধ অসাম্প্রদায়িকতার। আমাদের সংবিধানও অসাম্প্রদায়িকতার! এখানে বৈশ্বিক কিংবা দেশভিত্তিক বিতর্কের কোন সুযোগ নেই।
জয় বাংলা, জয় মানবতা
ট্যাগ ও ট্রেন্ডঃ
মন্তব্য: ৩ টি
২৬ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৩:৫৮
রাষ্ট্রধর্ম বিষয়টা মানুষের আবেগের সাথে জড়িত। তাছাড়া ইসলাম ও উগ্র সাম্প্রদায়িকতা এক নয়। ধন্যবাদ।
২৭ মার্চ ’১৬ বিকাল ০৫:৩৫
ধর্মকে মানবিকতার বিরুদ্ধে নেয়ার কোন সুযোগ নেই। রাষ্ট্রধর্ম মানেই সাম্প্রদায়িকতা না। অনেক রাষ্ট্রেই রাষ্ট্র ধর্ম আছে। সেখানে অমানবিকতা ভরে যায়নি।